Header Ads Widget

Responsive Advertisement

কিয়ামতের দিন কি হবো" আল্লাহ সর্বশক্তিমান

 আসসালামু আলাইকুম ওরহমাতুল্লাহ 

বন্ধুরা আশাকরছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। 

বন্ধুরা আমরা প্রতিনিয়তই চেষ্টা করি আপনাদের নতুন নতুন ভিডিও উপহার দেওয়ার জন্য,

আজকে যে ভিডিওটি নিয়ে আলোচনা করবো সেটি হচ্ছে, আপনারা হয়তো কিয়ামতের কথা শুনেছেন,কিয়ামতের দিন সম্পুর্ন ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে,মানুষকে পুনরায় জীবিত করা হবে,এই কিয়ামতের দিন কি কি হবে তা নিয়ে আজ আলোচনা করা হবে।

তাই অনুরোধ করছি ভিডিওটি না টেনে সম্পুর্ন দেখুন। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক। 

হে ভাইয়েরা হে বোনেরা, তোমাদের উদ্দেশ্য কথাগুলো বলছি,যেদিন কিয়ামত চলে আসবে, সেদিন আল্লাহ তায়ালা সব ধ্বংস করে দিবে,আল্লাহর নিজ হাতে সৃষ্টি করা, এই সুন্দর পৃথিবী, এই সুন্দর মানুষ, সব কিছু ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।

এবং যখন সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে, তারপর সকলেই,কবর থেকে ওঠে আসা শুরু করবে,কবর থেকে তাদের লাশ ওঠে আসবে,তারা আবার পুনরায় মানুষে পরিনত হবে,আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,যখন আমি প্রথমে সুন্দর ভাবে মানুষের দেহ সৃষ্টি করেছি,এবং তার ভেতর একটি রুহ দিয়েছি,একটি মানুষ মৃত্যু বরণ করলে তার রুহ আমি নিয়ে আসি,দেহটি মাটিতে পচে যায়,আমি যেমন সুন্দর ভাবে একটি দেহ সৃষ্টি করেছি, ঠিক কিয়ামতের দিন অনুরূপ ভাবে,সেই দেহ কে পুনরায় সৃষ্টি করা হবে।এবং তার ভেতরে রুহ টি দেওয়া হবে।এবং কিয়ামতের দিন সকল রুহ সকল আত্বা,সকল মৃত মানুষ, কবর থেকে ওঠে আসা শুরু করবে। এবং আল্লাহ তায়ালা সবাইকে একটি কাতারে দার করাবেন,সেটাকে বলা হয় হাশরের ময়দান।সেই হাশরের ময়দানের দিন সকলকে দাড় করাবেন,দাড় করিয়ে হিসাব নিবেন,যে মানুষ দুনিয়াতে কি কি খারাপ কাজ করেছে,মানুষ দুনিয়াতে কি কি ভালো কাজ করেছে।সব কিছুর হিসাব নিবে, নিয়ে আল্লাহ তায়ালা আপন আপন শাস্তি দিবেন।

কেউ যদি দুনিয়াতে ভালো কাজ করে, তার জন্য হাশরের ময়দানের দিন রয়েছে,জান্নাত।সারা জীবনের জন্য জান্নাত,তার জীবনটি হয়ে যাবে জান্নাত।এবং যারা দুনিয়াতে জিনা করেছেন,পরকীয়া করেছেন,অবৈধ কাজ করেছেন,সুধ খেয়েছেন ঘোষ খেয়েছেন,যত প্রকার কবিরা গুনাহ আছে সব কবিরা গুনাহ করেছেন।তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ বিপদ,তাদের জন্য অপেক্ষা করছে জাহান্নাম, তাদের কাছে অনেক হিসাব নিকাস নেওয়া হবে,প্রতিটি খারাপ কাজের হিসাব নেওয়া হবে,তারপরে তাদের কে জাহান্নামে দিয়ে দেওয়া হবে।

আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন,অনেকেই একটি প্রশ্ন করেন,যে ভাইয়েরা, মুসলমান বলে একদিন হলেও জান্নাতে যাবে কথাটা কতটুকু সত্য,সেটাও একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই বলতে পারেন।

যে আমরা মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছি আমরা শেষ নবীর উম্মত,আমরা হযরত মোহাম্মদ  স. এর উম্মত,আমরা কি কোনদিন জান্নাতে যেতে পারবো।

সেটি একমাত্র আল্লাহ'ই ভালো জানেন।

কিন্তু যদি আপনি খারাপ কাজ করেন,আপনি যদি অবৈধ কাজ করেন,হাশরের ময়দানের দিন আপনাকে জাহান্নামীদের সাথে যুক্ত করে দেওয়া হবে।আল্লাহ তায়ালা বলেন,যে আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি যারা আমার কাছে ক্ষমা চায়,একটি মানুষ বললো আল্লাহ তায়ালা কে,যে হে আল্লাহ আমি অনেক পাপী,তখন আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে উত্তর আসলো,যে আমি ক্ষমা করতে বেশি পছন্দ করি।একটি মানুষ বললো,যে হে আল্লাহ, আমি খুব অসহায়,আমার কেউ নেই তখন আল্লাহ তায়ালা বললো মুমিনদের জন্য আল্লাহ'ই যথেষ্ট। হায় আপসোস যে তুমি একজন মুসলিম,তুমি আল্লাহ কে বিশ্বাস করছো না,আল্লাহ তায়ালা তোমার সাথে যেটি করছেন,সেটিকে তুমি অমান্য করছো,সেটি তুমি পেতে চাও না,সেটি তুমি আল্লাহর কাছে চাও না,কিন্তু আল্লাহ তায়ালা হচ্ছে,সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী, তিনি ভবিষ্যৎ চিনেন, তুমি আজকে একটি জিনিস চাইলে আল্লাহ তায়ালা তোমাকে দিলো না,কিন্তু আজকে এই জিনিসটি পেলে যদি তোমার ভবিষ্যতে ক্ষতি হয়,তাহলে তো আল্লাহ তায়ালা কখনোই দিবেন না,একটি বার চিন্তা করে দেখুন তো,হে ভাই ও বোনেরা, আজকে থেকে ৪-৫ বছর পুর্বে সবারই লাইফে চলে যান,সবারই জীবনের কথা ভাবুন,আপনি যে মেয়েটিকে ভালোবেসে ছিলেন,তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন,আপনি ভেবে দেখুন,ঐ সময় আল্লাহর কাছে প্রচুর চেয়েছিলেন,যাতে সেই মেয়েটিকে আপনি পান,সেই মেয়েটিকে যেন আপনি বিয়ে করতে পারেন,হয়তো বা আপনার বিয়েটি সেখানে ভেঙে গিয়েছে,হয়তো বা আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে আপনি হারিয়েছেন,এখন আজকে চিন্তা করে দেখুন,যদি সেই ভালোবাসার মানুষটিকে পেতেন,আপনি কি সুখে থাকতে পারতেন?? ঐ যে আল্লাহর কাছে চার বছর আগে টাকা চেয়েছিলেন,আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দেননি,আজকে ভাবুন ঐ সময়ে যদি টাকাটি পেতেন,আপনি কি আজকে ভালো থাকতে পারতে ন??

বিশেষ করে ছোট ভাইদের উদ্দেশ্যে করে বলছি,ছোট ভাইয়েরা অনেক কিছুই আল্লাহর কাছে চেয়ে থাকে,আল্লাহ তায়ালা দেয় না,আজকে ভাবুন আপনি,হে ভাইয়েরা ঐ সময় যদি ঐ জিনিসটি পেতেন,আজকে কি আপনার পড়ালেখাটা হতো??

আজকে আপনি পড়া লেখা করে কখনোই মানুষের মতো মানুষ হতে পারতেন না,হে ভাইয়েরা হে বোনেরা তোমার উদ্দেশ্যে করে বলছি,রোজ হাশরের ময়দানের দিন অতিরিক্ত ভয়াবহ হবে,সূর্যটা মাটির নিচে চলে আসবে,তোমার মাথার একটাক উপরে থাকবে সূর্য, যে সূর্যের তাপে সব কিছু গলিত হয়,সব কিছু গলে যায়,তোমার মাথার মগজ টগবক করে ফোটা শুরু করবে,তুমি হায় আফসোস করতে থাকবে।তোমার মাথার মগজ গলে গলে পড়তে থাকবে তোমার শরীর দিয়ে,সেটি হচ্ছে কিয়ামত,সেটি হচ্ছে হাশরের ময়দান,।।

একটি হাদিসের মধ্যে এসেছে,তুমি যদি ভালো মানুষ হয়ে থাকো,কবর তোমার জন্য জান্নাতের বাগানে পরিনত হবে,তুমি যদি খারাপ মানুষ হয়ে থাকো,তাহলে কবর তোমার জন্য জাহান্নামের আগুনে পরিনত হবে,একটি বার মনে রাখো,তুমি কোন পথে চলতে যাচ্ছো..একটিবার মনে রাখো,আল্লাহ তোমাকে বর্তমান যেমনই রেখেছেন অনেক ভালো রেখেছেন,বর্তমান দেখা গেছে একটি ভাব্য ভাইরাস আমাদের দেশে আক্রমণ করেছে,আপনি ভাবুন যে আল্লাহ চাইলে কি না করতে পারে,সকলে এখন দলে দলে মসজিদে যাচ্ছে, নামাজ পড়ছে,এখন মসজিদ থেকে বলে দিচ্ছে, তোমরা বাসায় নামাজ পড়ো,কারন আল্লাহ তায়ালাও তোমাদের কে চিনে নিয়েছেন,যখন আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তোমার মসজিদে আসো নামাজ পড়ো,তখন তো তোমরা যাওনি,এখন আল্লাহ তায়ালা একটি রোগ দিয়েছেন,তোমরা সকলেই মসজিদে দৌড়াচ্ছো...এর মানে মানব জাতিকে এটাই বুঝায়...যখন তোমার কিছুর প্রয়োজন হয় তখন তুমি আল্লাহকে ডাকো,কিন্তু যখন তোমার প্রয়োজন মিটে যায়,তখন তুমি আল্লাহকে ভুলে যাও,হেরে নাফরমান,তোমার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ বিপদ,তুমিও একদিন মৃত্যু বরণ করবে,তোমার অন্ধকার কবরে সাপ এসে কামড় দিবে,সেটি তোমার দেহ দ্বারা সহ্য হবে না,তোমার শরীর দ্বারা সহ্য হবে না,আমার চ্যানেলে অনেক ভাইয়েরা আছে,অনেক বোনেরা আছে, অনেক খারাপ কমেন্ট করে,যে ইসলামের বাহিরে কথা বলে,হে ভাই বোন তোমাদের উদ্দেশ্য কথাগুলো বলছি,আমার চ্যানেলের সকল ভিডিওগুলি দেখো,আমি হয়তো বা মানুষকে নামাজের দিকে অগ্রসর করেছি,আল্লাহর দিকে অগ্রসর করেছি,ইসলামের বিরুদ্ধে কোন কথা বলিনাই, আল্লাহর বিরুদ্ধে কোন কথা বলি নাই,আমাকে গালিগালাজ করেন,একটি হাদিসের মধ্যে এসেছে, হুজুর স. এর সম্পর্কে মিথ্যা হাদিস বলা যাবে না,সেটি কবিরা গুনাহ,। কিন্তু আমি সেদিন একটা ভিডিও বানিয়েছি যে,একটি বিড়াল নামাজ পড়ে দেখুন,আর আপনারা মুসলিম হয়ে নামাজ পড়েন না,এটি আমার কি অপরাধ হয়েছে বলুন আপনারা,আমাকে গালিগালাজ দিচ্ছেন যে বিড়ালটি এডিট করে বানানো,সেটি যেই হোক না কেন,আমিতো আপনাদের ইসলামের দিকে অগ্রসর করেছি,আমি বুঝাতে চেয়েছি একটি বিড়াল যদি নামাজ পড়তে পারে আপনি মানুষ হয়ে কেন পারবেন না,এটি আমার অপরাধ হয়ে গেছে,তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ বিপদ, হে ভাইয়েরা হে বোনেরা তোমাদের পরিবর্তন করতে হবে,।


Post a Comment

0 Comments