বন্ধুরা আজকের এ ভিডিওতে আমরা বলবো যে,একজন হাজীসাহেব যেভাবে একটি জিনের জানাজা পরিয়েছিলেন। সেই সম্পর্কে একটি বিস্ময়কর ঘটনা যা শুনে আপনিও বিস্মিত হয়ে যাবেন। তাই ভিডিওটি একদম শেষ পর্যন্ত দেখুন।
পাকিস্তানি আজাদের সমায় কার ঘটনা,তখন কার সময় জিলহাবাদ নামক এক যায়গায় হাজী কুদরতুল্লা নামে একজন হাজী সাহেব বসবাস করতেন। যখন পাকিস্তানি আন্দোলনের বিক্ষোভ শুরু হয় তখন তিনি তার জন্ম স্থান ছেরে পার্শবর্তী এলাকায় চলে আসেন এবং সেখানে বসত বাড়ি করে বসবাস করা শুরু করেন। হাজী সাহেব ছিলেন নিতান্তই আল্লাঅলা একজন ব্যক্তি। তিনি সবসময় তজবী-তাহসিল পরে নিজের দিন অতিবাহিত করতেন। তখন কার সময়ে পাকিস্তানে গুটি কয়েক মানুষ পড়ালেখা জানতো,তবে অধিকাংশ মানুষ কোরআন শরিফ পরতে জানতো।পড়ালেখা জানা মানুষের মধ্যে হাজী সাহেব ছিলেন তার মধ্যে একজন,যিনি সবসময় মানুষের পাশে হেদায়েতের আলোচনা করতেন।যার জন্যে মানুষ তাদের সন্তানদের কে তার নিকট কোরআন শরিফ পরার জন্য পাঠাতো। আর তিনি সেসব সন্তানদের কে অনেক সুন্দর ভাবে কোরানুল কারিম দেখাতেন।যেহেতু হাজিসাহেব ছিলেন শিক্ষিত মানুষ, সেই কারনে যখন গ্রামের কেউ মৃত্যু বরন করতো,তখন হজী সাহেব তাদের জানাজা নামাজ পরতেন এবং সেই মৃত ব্যক্তির সুন্দর ভাবে দাফন - কাফনের ব্যাবস্তা করতেন। একদিন রাতে হাজী সাহেব তার ঘরে বসে কোরআন শরিফ তেলওয়াত করছিলেন,এমন সময় হঠাৎ করে কে যেন তার দরজায় করাঘাত করলো।তাই করাঘাতের শব্দে তিনি সদর দরজা খুলে দেখলেন যে, একজন নুরানি চেহারার ব্যক্তি দারিয়ে আছে এবং সে ব্যক্তি পিছনে আরও দুইজন ব্যক্তি দারিয়ে আছে।সামনে থাকা ব্যক্তি হাজীসাহেব কে উদ্দেশ্য করে বললেন এটা কি হাজীকুদরতুল্লা সাহেবের বাসা?তখন তিনি জবাবে বললেন জ্বী হ্যা আর আমি হাজীকুদরতুল্লা, বলুন আমি আপনাকে কি ভাবে সহযোগিতা করতে পারি। তখন সামনে দারিয়ে ব্যক্তি হাজী সাহেব কে উদ্দেশ্য করে বললেন,আজ বিকালে আমার ভাই ইন্তেকাল করেছেন।উনার মনে একান্ত খায়েস ছিল,যে উনার মৃত্যুর পর তার জানাজা নামাজ যেন আপনি আদায় করেন।কারন যখন আপনি জিলহাবাদের পুরাতন ঘরে থাকতেন তখন আমার ভাই প্রায়ই আপনার ওয়াজ নসিহত শোনার জন্য আপনার কাছে আসতো। তাই দয়া করে যদি আপনি আমাদের সাথে আসেন খুবই উপকৃত হব।কিন্তু হাজী সাহেব সেই ব্যক্তির মাঝে একটি আশ্চর্যজনক জিনিস লক্ষ করছিলো,আর সেটা হলো হাজী সাহেবের সাথে কথা বলার সময় সে একটি বাড়ো চোখের পলক ফেলেনি।এক দিষ্টিতে হাজী সাহেবের দিকে তাকিয়ে আছে,যেটা হাজী সাহেবের নিকট কেমন যেন মনে হলো।সেই সাতে সেই ব্যক্তির পিছনে থাকা লোকগুলো একদম চুপ করে দারিয়ে আছে। তারা একটি টু শব্দও পর্যন্ত করেনি।যেহেতু রাতের বেলা হাজী সাহেব অনেক জানাজা নামাজ পরেছেন,তাই হাজী সাহেব তাদের উদ্দেশ্য করে বললেন,আপনারা একটু অপেক্ষা করেন আমি আমার জামা পল্টে আসছি।কিছুক্ষণ পর হাজী সাহেব পোশাক পরিবর্তন করে তাদের সাথে রওনা দিলেন।চলতে চলতে হাজী সাহেব তাদের সাথে গ্রামের বাহিরে চলে আসলেন।যদিও গ্রামটি ছিল ছোট্ট তার পরেও তিনি গ্রামের বাহিরে আজ পর্যন্ত কোনো জানাজা পরাননি।আরো আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে গ্রামের বাহিরে কোনো বসতি নেই, আর সেখানে বসতি আছে বলে তিনি কখনো শোনেননি। হাজীসাহেব অনেক কষ্ট তাদের সাথে গতি মেন্টেন করে হাটছিলেন।যকন হাজী সাহেব গ্রাম থেকে অনেক দূরে চলে আসলেন,তখন হাজী সাহেব তাদের উদ্দেশ্য করে বললেন, জনাব আপনারা মনে হয়ে ভুল রাস্তা দিয়ে চলছেন।যদি আমাকে বললেন তাহলে আমি হয়তো আপনাদের কোন সহযোগিতা করতে পারি।ওই কথা শুনে যে ব্যক্তি হাজী সাহেবের সাথে কথা বলেছিল, সে ব্যক্তি হাজী সাহেব কে উদ্দেশ্য করে বললেন, হে আদম সন্তান আমরা সঠিক রাস্তা দিয়ে চলছি তুমি আমাদের সাথে চলো।এ কথা শুনে হাজী সাহেবের অন্তরে ভীতি সন্চার হতে সুরু করলো।তিনি নিজের মনে অনেক কিছু চিন্তা ভাবনা করতে শুরু করে দিলেন। আমি যখন আমার আগের এলাকায় ছিলাম তখন এমন কারো সাথে তো সম্পর্ক ছিলনা।আমিতো আমার গ্রামের সবাইকে চিনতাম।তাছারা এই ব্যক্তি আমাকে উদ্দেশ্য করে আদম সন্তান কেন বললো?যখন তিনি এসব কথা ভাবছিলেন,তখন সেই ব্যক্তি হাজী সাহেব কে উদ্দেশ্য করে বললো,তুমি মনে মনে যা চিন্তা ভাবনা করছো তা আমরা সবাই শুনতে পাচ্ছি। কারণ মূলত আমরা হচ্ছি মুসলমান জিন জাতি। যদি আমার ভাই এর মনের খায়েস এটা না থাকতো তাহলে আমরা তোমাকে এখানে আনতাম না।তুমি ভয় পেওনা আমরা তোমার কোনো ক্ষতি করব না।তুমি শুধু চুপ চাপ আমাদের সাথে চলো।একথা শুনে হাজী সাহেবের অন্তরে আরও ভীতি শস্চয় হতে শুরু করলো।তবে তিনি কোনো কথা না বলে চুপচাপ তাদের সাথে হাটতে শুরু করলেন।অবশেষে তারা একটি এমন যায়গায় এসে পৌছালো,যেখানে সাধারন কোনো মানুষ আসেনা।আর সেখানে একটি লাসের খাটিয়া রাখা ছিল, যার আসে পাসে লম্বা লম্বা কাদ বিশিষ্ট অনেক ব্যক্তি দারিয়ে ছিল।হাজী সাহেব গিয়েই জানাজা নামাজ শুরু করে দিলেন।যখন তিনি জানাজা নামাজ শেষ করলেন,তখন সে ব্যক্তি হাজী সাহেব কে উদ্দেশ্য করে বললো,আপনি অনেক বড় উপকার করেছেন। আমাদেরকে অনেক দূরে যেতে হবে।এ কথা বলে জিনটি তার পকেট থেকে কিছু কয়লা বের করে হাজী সাহেব কে দিয়ে বললেন, এগুলো হচ্ছে আমাদের পক্ষ থেকে আপনার হাদিয়া। দয়া করে এগুলো গ্রহণ করুন।এখন আপনি আপনার ঘড়ে চলে যান। আমাদেরকে এখন অনেক দূর যেতে হবে।হাজী সাহেব যখন তাদের দেওয়া কয়লা গুলো পকেটে ভরে সেখান থেকে চলে আসলেন, তখন পিছন থেকে তিনি খোদা হাফেজ শব্দটি শুনলেন, কিন্তু তিনি যখন পিছনের দিকে ফিরে তাকালেন, তখন তিনি দেখলেন যে সেখানে আর কেউ নেই। অতঃপর হাজী সাহেব সেখানে অজ্ঞান হয়ে পরে গেলেন।যখন জ্ঞান ফিরে আসে তখন তিনি নিজেকে নিজের ঘড়ে আবিষ্কার করলেন।সেখানে উপস্থিত থাকা লোক জন তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন আপনি অজ্ঞান হয়ে ওমুক ঘড়ের সামনে পরেছিলেন। আর আপনাকে যখন নিয়ে আসা হয় আপনার গায়ে অনেক জরছিল।আপনি লাগাটার তিনদিন যাবত বেহুশ হয়ে পরেছিলেন।আজ আপনার জ্ঞান ফিরলো।একথা শুনে হাজী সাহেব মনে মনে চিন্তা করতে লাগলেন আমিতো গ্রামের বাহিরে ছিলাম তাহলে এখানে এলাম কি ভাবে!অতঃপর যখন ওনার জ্বীনের দেওয়া হাদিয়ার কথা মনে পলো তার পর তিনি পকেটে হাত দিয়ে দেখলেন যে,সেই কয়লাগুলো হিরেতে রুপান্তরিত হয়ে গিয়েছে।অতঃপর তিনি ঘটনাটি সবাইকে শোনালেন, যা শুনে সবাই অবাক এবং হতভম্ব হয়ে গেলেন এবং তিনি যে এখনো বেচে আছেন এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলেন।
তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আমাদের আজকের এই ঘটনাটি কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
0 Comments