Header Ads Widget

Responsive Advertisement

রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার শর্ত👇👇

 আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা,, আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন।

 প্রিয় দর্শক আজকের ভিডিওতে আলোচনা করবো,,,রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার শর্তগুলো কি কি?????

 তো প্রিয় দর্শক চলুন,,ভিডিওটি শুরু করা যাক। 


  প্রিয় দর্শক,, রোজা বা সিয়াম,, ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয়। রোজা উম্মাতে মুসলিমার ওপর ফরজ হয়েছে দ্বিতীয় হিজরিতে। রোজা ফরজ হওয়ার শর্ত যাদের মাঝে বিদ্যমান থাকবে, তাদেরকে রোজা রাখতে হবে। কারণ তাদের জন্য রোজা রাখা ফরজ বা আবশ্যক কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন

 


 شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِيَ أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيدُ اللّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلاَ يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُواْ الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ اللّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ


অর্থঃ,,,

রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ। আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন। আল্লাহ তা'আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। [২:১৮৫]

 (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৮৫)। 

 

চলুন জেনে নওয়া যাক রোজা ফরজ হওয়ার শর্তগুলোঃ,,, 


১. মুসলিম হওয়া। অমুসলিমের ওপর রোজার বিধান নেই।


২. প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ের ওপর রোজা ফরজ নয়।


৩. জ্ঞান সম্পর্ণ হওয়া। অর্থাৎ মস্তিষ্ক বিকৃত (পাগল) লোকের ওপর রোজা ফরজ নয়।


৪. হায়েয তথা ঋতুকাল এবং নিফাস তথা সন্তান জন্মদান পরবর্তী সময়ে পবিত্র থাকা। মহিলাদের হাফেজ ও নিফাসের সময়ে রোজা রাখা যাবে না। হায়েজ-নিফাসের কারণে যে কয়টা রোজা ভঙ্গ হবে, তা পরবর্তীতে কাজা করে নিতে হবে।


৬. শরয়ী মুসাফির না হওয়া। কারণ মুসাফিরের জন্য রোজা ফরজ নয়।


যারা রোজা পালনের শর্তগুলোর আওতায় থাকবে; তাদের জন্য রোজা পালন করা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর এ ৬ শ্রেণির লোকদের পবিত্র রমজান মাসের রোজা আদায় করার তাওফিক দান করুন।


অনুগ্রহ করে ভিডিওটি আপনার সকল বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিন।

   এবং আমাদের চ্যানেলটি যদি এখনো সাবস্ক্রাইব  করে না থাকেন,, তাহলে অবশ্যই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে, পাশে থাকা বেল বাটন টি তে ক্লিক করে দেন। তাহলে আমাদের আর কোন ভিডিও আপনার মিস হবেনা।

    ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ

==============================


22..যাদের উপর রোজা রাখা ফরজ নয় 👇👇👇👇


আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা। আশা করি মহান রাব্বুল আলামিনের রহমতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন। 

রমজান উপলক্ষে আপনাদের প্রতি রইল অগ্রিম রমজানের শুভেচ্ছা। রমজান মাসকে লক্ষ করে আমাদের  আজকের এই ভিডিওটি তৈরি করা। আপনাদের মাঝে অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে,, রোজা কাদের জন্য ফরজ??? আর কাদের জন্য নয়???


তো আমরা এই সকল বিষয় উপলব্ধি করে আপনাদের জন্য আজকের এই কনটেন্টটি তৈরি করেছি। তাহলে চলুন দেরী না করে চলে যাওয়া যাক আজকের মূল বিষয়বস্তুর উপর।


যাদের উপর রোজা রাখা ফরজ নয়???

ইসলাম এমন একটি ধর্ম যেখানে কোনো কিছু কারো ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়না।

মহান রাব্বুল আলামিন যেমনটি রোজা রাখতে বলেছেন, ঠিক তেমনি বিভিন্ন সমস্যার জন্য রোজা রাখা অব্যাহত সম্পর্কেও জানিয়েছেন। 


এখন আমরা জানব সেই সকল ব্যক্তিদের সম্পর্কে,, যাদের উপর রোজা রাখা ফরজ নয়।



 

১। অমুসলিমঃ অবশ্যই রোজা অমুসলিমদের জন্য ফরয নয়। রোজা শুধুমাত্র মুসলমানদের উপরেই ফরজ।


২। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতাঃ যদি কোন ব্যক্তির দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থেকে থাকে,, যা ভালো হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কম। এবং রোজা রাখার মত অবস্থান একেবারেই না থাকে। তবে তার জন্য রোজা রাখা ফরজ না। এক্ষেত্রে তার প্রতিটি রোজার পরিবর্তে একজন করে মিসকিনকে খানা খাওয়াতে হবে। যদি প্রতিটি রোজার জন্য একজন করে মিসকিন খাওয়ানো হয়,, তবে তার জন্য কাযা আদায় করা হয়ে যাবে।


৩। সফররত ব্যাক্তিঃ

 সফরে থাকা অবস্থায় রমজান মাস এসে পড়লে,, বা রমজান মাসে সফর করলে। ওই ব্যক্তির ওপর রোজা না রাখা উত্তম। তবে সফরের জন্য দূরত্ব মোতাবেক নির্দেশনায় অভ্যন্তরীণ হলে তবেই তার জন্য রোজা না রাখা উত্তম হবে। সফরের দূরত্ব কমপক্ষে ৮০ কিলোমিটার হতে হবে । ৮০ কিলোমিটার হলে তবেই সেই ব্যক্তিটি মুসাফির বলে গণ্য হবে। কোন মুসাফির যদি নির্দিষ্ট স্থানে ৪ দিনের বেশি থাকা নিয়ত করে থাকে,, তবে সে মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে না। আর তখন তাকে তার রোজা আদায় করতে হবে।

কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি কোন কাজের জন্য বাহিরে যান,, এবং তিনি জানেন না আসতে কত দিন সময় লাগবে??? তো সেক্ষেত্রে তার জন্য রোজা রাখার প্রয়োজন হবেনা। 

আরেকটি বিষয়,,, রোজার দিন মুসাফির যদি বাড়ি ফিরে আসেন,,, তাহলে রোজার বাকি অংশটুকুতে না খেয়ে রোজা করতে হবে। তবে অবশ্যই একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে,, ক্ষণিকের প্রয়োজনীয়তার জন্য রোজা রাখার বিধান বন্ধ থাকলেও, পরবর্তীতে  রোজাগুলো অবশ্যই কাযা করে নিতে হবে।


৪। হায়েয বা নেফাযঃ হায়েয বা নেফায  চলাকালীন সময়ে রোজা রাখা ফরজ নয়। এসময় কেউ রোজা রাখলে তা সহীহ হবে না। 


৫। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলাঃ যদি রোজা থাকার জন্য নিজেদের অথবা নিজের সন্তানের ক্ষতি মূলক কাজ হয় তবে আর তার ক্ষেত্রে রোজা রাখা ওয়াজিব হবেনা। তবে যে কয়দিন রোজা রাখতে পারেনি পরবর্তীতে সে কয়দিনে রোজা কাযা আদায় করে নিতে হবে। আর যদি কোন মহিলা নিজের জন্য নয় শুধু সন্তানের ক্ষতি হবে এটি লক্ষ্য করে রোজা থাকা থেকে বিরত থাকে, তবে তাকে অবশ্যই সেই রোজার কাযা আদায় করতে হবে পাশাপাশি প্রতিদিনের জন্য কমপক্ষে একজন করে মিসকিনকে খাওয়াতে হবে।


৬। অসুস্থতাঃ যদি রোজা থাকার মাধ্যমে কোন অসুস্থ ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা আরও বেশি খারাপ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে থাকে,, কিংবা সুস্থতার বিলম্বিত হতে পারে, তবে সেই ব্যক্তির ওপর রোজা রাখা ফরজ নয়।


বন্ধুরা,, আশা করি ভিডিওটি আপনাদের ভালো লেগেছে,, ভিডিওটি ভালো লাগলে অবশ্যই একটি লাইক দিবেন,, এবং কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাবেন। 

আর আপনি যদি আমাদের চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকেন,, অবশ্যই আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবেন। 

এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ,।


Post a Comment

0 Comments