আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহে ওবারকাতুহু,
আশাকরি আল্লাহর অশেষ রহমত ও দয়ায় আপনারা ভালো আছেন।
ভিডিওটি না টেনে শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন।
আমিরুল মুমেনীন হযরত আলী (রা)এর খেলাফত কালে এক যুবক ভীত সন্রস্ত অবস্তায় আল্লাহ্কে সরণ করে।ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা নিয়ে হযরত আলীর দরবারে হাজির হয়ে আরয করেন হে আমিরুল মুমেনীন,আমার মা আমাকে নয় মাস পেটে ধারন করেছেন এবং জন্মের পর দুবছর দুধ পান করায়েছেন।কিন্তু এখন আমি যুবক হয়ে যাওয়ায় আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। এমন কি আমি যে আমি যে ওনার সন্তান তাও অস্বিকার করেছেন, এবং বলেন তিনি নাকি আমাকে চিনেও না।আমীরুল মুমেনীন তখন বলে তোমার মা কোথায় থাকে?যুবক বলে উঠলেন অমুক গ্রোন্তের অমুক ঘরে থাকেন।আমীরুল মুমেনীন বলেন যুবকের মা কে আমর কাছে হাজির করা হোক।
তার নির্দেশের সাথে সাথে সেই মহিলাকে ওর চার ভাই এবং চল্লিশ জন সাক্ষীসহ হাজির করা হল।ওরা কসম করে বলে উঠল এই মহিলা সেই যুবকটিকে চিনেও না।সে মিথ্যা দাবি করতেছে।ওর উদ্দেশ্য হচ্ছে এ মহিলাকে ওর গ্রন্থের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা। অথচ এই মহিলার এখন ও বিবাহ হয়নি তাই সন্তান কোথ থেকে হল?সে এখনো কুমারী, আমীরুল মুমেনীন বললো হে যুবক তুমি কি বলছ?যুবক বলল হে আমীরুল মুমেনীন খোদার কসম, এ আমার মা, সে আমাকে জন্ম দিয়েছে দুধ পান করায়েছে এবং বড় হওয়ার পর ঘর থেকে বের করে দিয়েছে।আমীরুল মুমেনীন বললো, হে মহিলা এ ছেলে কি বলতেচে?মহিলা তখন বলে উঠল, আমীরুল মুমেনীন খোদার কসম, আমি ওকে চিনি না।সে আমাকে অনার্থক নাজেহাল করতে চাচ্ছে। আমি হলাম একজন কোরাইশী কন্যা এবংএখনও আমি কুমারী। আমীরুল মুমেনীন বললো এব্যাপারে তোমার কাছে কোন সাক্ষী আছে? মহিলা বললো জ্বি হ্যা(তার সাথে আগত চল্লিশ জনকে দেখিয়ে বললো)এরা সব আমার সাক্ষী। আতঃপর ঐ চল্লিশ জন লোক কসম করে মহিলার পক্ষে সাক্ষী দিলএবং যুবকটাকে মিথ্যুক বলল।আমীরুল মুমেনীন বলল,ঠিক আছে আজ আমি তোমাদের মধ্যে এমন ফয়সালা করেকরে দিব যেটা আল্লাহর পছন্দ হবে।হে মহিলা তোমার কোন অভিভাবক আছে কি?মহিলা বললো, কেন থাকবেনা!(ভাইদের দেকিয়ে বলল) এরা আমার ভাই। আমীরুল মুমেনীন বললো ( ভাইদের সম্বোধন করে)আমার নির্দেশ তোমাদের কাছে এবং তোমার বোনের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কী?চার ভাই তখন বলল নিশ্চয়ই! নিশ্চয়ই! কেন গ্রহণযোগ্য হবেনা।হে আমীরুল মুমেনীন, আপনি যা বলবেন আমরা তা মেনে নিব।আমীরুল মুমেনীন বলল,আমি আল্লাহ্কে এবং অপস্তিত সবাইকে সাক্ষী করে এ মহিলাকে এ যুবকের সাথে চারশ দেরহাম মহরানার বিনিময়ে বিবাহ দিলাম অতঃপর তার বিশিষ্ট গোলাম কম্বরকে ঘরে পাটায়ে চারশ দেরহাম আনায়ে সেই যুবকের হাতে দিলেন এবং বললেন এ দেরহাম গুলো মহিলার কোলে ঢেলে দাও এবং ওকে নিয়ে নিরিবিলি কোথাও চলে যাও এবং কিছুক্ষণ পর আমার কাছে এমন অবস্তায় ফিরে এসো যেন তোমাদের শরীরে গসোলের লক্ষন প্রকাশ পায়।যুবক এ নির্দেশ পেয়ে উঠে পড়লএবং দেরহাম গুলো মহিলার কোলে ঢেলে দিল।মহিলা চিৎকার দিয়ে বলল,হে আমীরুল মুমেনীন জাহান্নাম! জাহান্নাম! আপনি আমাকে আমার ছেলের সাথে বিবাহ দিতে চান।খোদার কসম এটা আমার গর্ভজাত সন্তান।আমার ভাইয়েরা আমাকে এক নিচু বংশের লোকের সাথে বিবাহ দিয়েছিল, যার ঔরসে এর জন্ম হয়।এ প্রাপ্ত বয়স্ক হলে ভাইদের নির্দেশে একে ঘর থেকে বের করে দিয়েছি এবংসন্তান বলতে অস্বীকার করেছি।আসলে এ আমার কলিজার টুকরা। আমীরুল মুমেনীন বললেন, তাহলে আর কোন কথা নেই নিজের ছেলেকে ঘরে ফিরায়ে নিয়ে যাও।হযরত আলী (রা-) ছিলেন জ্ঞান বান্ডারের শাহীদরজা।এ জ্ঞান বদৌলতেই তিনি বড় বড় সমস্যাদি সহজেই সমাধা করে ফেলতেন। এধরণের জটিল বিষয়াবলী দীনি ইসলাম দ্বারাই বধগম্য হয়ে থাকে।
#ভিডিও টি ভালো লাগলে লাইক,কমেন্ট,সাবস্ক্রাইব এবং শেয়ার করবেন #
#আপনাদের পছন্দের কোন বিষয়ে আলোচনা চাইলে কমেন্ট করে জানাবেন #
#দেখা হবে পরবর্তী ভিডিওতে সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ #
0 Comments