আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাতুহ।
প্রিয় দর্শক ,,
বিয়ে মহান আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ নেয়ামতের নাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। ঈমানের পূর্ণতার সহায়ক। যুবক-যুবতীর চরিত্র গঠনের অন্যতম উপাদান। আদর্শ পরিবার গঠন, মানুষের জৈবিক চাহিদা পূরণ এবং মানসিক প্রশান্তি লাভের প্রধান উপকরণ হচ্ছে বিয়ে, যা প্রত্যেক মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনে বিয়ে নিয়ে অনেক আয়াত নাজিল করেছেন।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে বিয়ে করায় উৎসাহিত করেছেন
বিয়ে একজন নারী বা পুরুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। বিয়ে ছাড়া আমাদের জীবন আনন্দময় হওয়া বা পরিপূর্ণতা লাভ করা কঠিন। তাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে বিয়ে করতে উৎসাহিত করেছেন এবং আমরা যে বিয়ের মাধ্যমে শান্তি লাভ করতে পারবো সে কথাও বলেছেন।
বিয়ের ক্ষেত্রে একজন পুরুষের জন্য আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়া খুব জরুরী। কারণ বিয়ে সম্পর্কিত খরচ এবং বিয়ে পরবর্তী যত সাংসারিক ব্যয়ভার বহন করতে হবে তার সব কিছুই স্বামীর দায়িত্ব। এজন্য অনেক পুরুষই বিয়ের উপযুক্ত বয়স হওয়া সত্বেও সত্ত্বেও আর্থিক সমস্যার কারণে বিয়ে করতে চায় না বা বিয়ে করতে পারেনা। আর এসব কারণে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে বিয়েও করতে বলেছেন এবং পাশাপাশি আর্থিক স্বাবলম্বী করে দেওয়ারও প্রতিশ্রতিও দিয়েছেন।
“তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিয়ে সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে স্বচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। যারা বিবাহে সমর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন।” (সূরা নূর : আয়াত ৩২-৩৩)
যে যুবকের এখন বিয়ের বয়স কিন্তু নানান প্রতিকূলতায় তার বিয়ের ব্যবস্থা হচ্ছে না, সে কি কখনো হাত তুলে আল্লাহর কাছে বলেছে, ",ইয়া আল্লাহ্, আমার শরীরে এখন যৌবনের উন্মত্ত উন্মাদনা। আমার সামনে-পেছনে, ডানে-বায়ে, ওপরে-নিচে সবখানে ফিতনা আর ফিতনা। ফিতনার এই মায়াজাল ভেদ করে নিজের চরিত্রকে শুদ্ধ রাখা আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। ইয়া রব, যদি আমার কোনো ভালো চাকরি না হয়, যদি আমার আর্থিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হয়, তাহলে বিয়ে করাটা আমার জন্য একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়বে। মাবুদ, আমি ফিতনা থেকে নিজেকে বাঁচাতে চাই। আমি চাই একটি হালাল সম্পর্ক যেখানে আমার চোখ শীতল হবে, আমার হৃদয় তৃপ্ত হবে, আমার অস্তর প্রশান্ত হবে। আপনি তো সমস্ত ঐশ্বর্যের মালিক। আপনিই পথের ভিখারিকে রাজা বানান, আবার রাজাকে বানান পথের ভিখারি। মাবুদ, আপনার অঢেল, অফুরন্ত ঐশ্বর্য থেকে আমার জন্য কিছু রিযিক নির্ধারণ করুন। আমার জন্য বিয়েটাকে সহজ করে দিন।
0 Comments