আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বাস্তব একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। তাই ভিডিও টি স্কিপ না করে সম্পূর্ণ ভিডিওটি ধৈর্য্য সহকারে দেখুন।হুজুর স্বামীর সাথে মর্ডান স্ত্রীর বাসর রাতের ঘটনা। ঘটনাটি শুনলে আপনিও কাঁদবেন। আমার স্বামী একজন হুজুর আমি কখনো ভাবিনি আমার হুজুর টাইপের কারো সাথে বিয়ে হবে। আমার ইচ্ছে না থাকা সত্বেও পরিবারের চাপে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হলো আমাকে। আমি মর্ডান একটি মেয়ে করব কিনা একজন হুজুর কে বিয়ে ভাবতেই কেমন যেন সংকোচ বোধ হয়েছিল। এমনিতেই বিয়ে করতে ইচ্ছে ছিল না আমার। এক বান্ধবী এসে বলল কিরে রিয়া তুই নাকি হুজুরকে বিয়ে করলি।আর পাত্র খুঁজে পায়লিনা আর এক ভাবি এসে কানে ফিসফিস করে বলল তোর বরের তো সারা মুখে দাড়ি কিস করবি কোথায়। এসব শুনে খুব বিরক্ত লাগছিল আমার। ইচ্ছে করছিল এখুনি বিয়ের আসর থেকে উঠে যাই। হঠাৎ পায়ের ঠোঁক ঠোক আওয়াজে গন্টার ফাক দিয়ে দেখলাম একজন লোক আসছে তার বেশভূষা এবং গঠন দেখে আমি বুঝলাম এই আমার স্বামী। অনিচ্ছাসত্ত্বেও উঠে তার পায়ে গিয়ে সালাম করলাম। তখন তিনি থাক থাক বলে আমার বাহুতে হাত দিয়ে বিছানায় বসালো। বললো তোমার নাম কি। খুব ইচ্ছে করছিল বলতে নাম না জেনে আমাকে বিয়ে করছে। তারপরও বললাম রিয়া তখন তিনি বললেন সুন্দর নাম তুমি কি জানো রিয়া নামের অর্থ কি। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। তারপর বললাম না তখন তিনি বললেন আরবিতে রিয়া শব্দের অর্থ হলো অহংকার লোক দেখানো। আর মানুষকে যে জিনিসগুলো ধ্বংস করে দেয় তারমধ্য রিয়াল অন্যতম। তাই আজ থেকে আমি তোমাকে আমি মিম বলে ডাকবো এই কথা শুনে মেজাজটা ঠিক রাখতে পারলাম না। বাসর রাতে স্বামী আমার নামের অর্থ শিখাচ্ছে কারো মাথা ঠিক থাকার কথা। একটু বিরক্ত স্বরে বললাম আপনার যেটা ভালো লাগে সেটাই ডাকেন।তখন স্বামী বুঝতে পারছে মনে হয় খারাপ লাগছে। তুমি ঘুমিয়ে পড়ো।তখন মেয়েটি ঘুমিয়ে পড়ল। কিছুক্ষণ পর ঘুম ভাঙলো গুনগুন আওয়াজে কান খাড়া করে আওয়াজটা শুনতে শুরু করলাম। বুঝলাম কেউ কোরআন পড়ছে তাকিয়ে দেখলাম আমার স্বামী তার সুমধুর কন্ঠে কোরআন তেলাওয়াত করছে।শুনতে ভালই লাগছে তাই একটু উঠে বসলাম আমাকে উঠে বসতে দেখে তেলাওয়াত বন্ধ করে বলল আসসালামুয়ালাইকুম শুভ সকাল ঘুমটা কেমন হলো সালাম নিয়ে বললাম যি ভালো হয়েছে এ ভাবেই কাটছিল দিনগুলো এর মাঝে উনি আমাকে নানান ভাবে নামাজ পড়ার কথা বলতো। এমন ধৈর্য এবং এমন ভাবে বুঝিয়ে বলতো যে আমি নিজেই খুব অবাক হয়ে যেতাম। তার সব চেষ্টাকে সফল করে একদিন নামাজ পড়া শুরু করলাম দেখলাম তার মুখটা খুশিতে ভরে উঠেছে। তার হাসিমাখা মুখটা দেখতে ভালই লাগত আমার। নামাজ পাঁচ অক্ত হলেও আমি চার ওয়াক্ত পড়তাম। ফজরের নামাজ পড়তাম না। আলিসামি লাকতো স্বামী ডাকলেও আমি ইচ্ছা করে উঠতাম না। এটা উনি বুঝতে পারছিলাম যে আমি ইচ্ছে করে উঠি না। তাই আমাকে ডেকে পাশে এনে বলল তুমি এভাবে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে ঘুমাও দিনে তিন বাগ তুমি এবাবে ঘুমিয়ে কাটাচ্ছো। যদি তোমার আয়ুকাল 60 বছর হয় তাহলে তুমি তিন ভাগের এক ভাগ ঘুমিয়ে কাটাচ্ছো আল্লাহতালা তো তোমাকে দীর্ঘকাল ঘুমানোর জন্য এ পৃথিবীতে পাঠাননি
। কিছু ভালো ভালো কথা এবং কুরআনের বাণী শোনালেন এর কিছুদিন পর আমি ওনার কথা ভাবতাম আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তাম
এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কি মর্ডান মেয়েটির কি হুজুর স্বামীকে বিয়ে করা ঠিক হয়েছে জানতে চাই আপনার মনের কথা গুলি। তাই আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যগুলি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
বন্ধুরা এই ছিল আজকের ভিডিও এভাবে নতুন নতুন ভিডিও পেতে আমাদের চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করে পাশেই থাকুন ধন্যবাদ।
0 Comments