Header Ads Widget

Responsive Advertisement

স্ত্রীদের প্রশ্নের জবাবে রাসূল (সাঃ) এর বিস্ময়কর উত্তর !! অবাক হয়ে যাবেন আপনি !!





আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।    

প্রিয় দর্শক ,,

আজকের ভিডিওতে আমরা আলোচনা করব,,স্ত্রীদের প্রশ্নের জবাবে রাসূল (সাঃ) এর এক  বিস্ময়কর উত্তর সম্পর্কে !! যা জানলে অবাক হয়ে যাবেন আপনি !!

প্রিয় দর্শক ,,

আল্লাহ স্বামী-স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন পরস্পরের সুখ আর প্রশান্তির জন্য। যেমন, সুরা রুম–এ আল্লাহ বলেন, ‘আর তাঁর একটি নিদর্শন হলো, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকেই সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য প্রশান্তি। তোমাদের মধ্যে তিনি সৃষ্টি করেছেন ভালোবাসা ও মায়া।’ রাসুল (সা.)–এর ১১ জন স্ত্রী ছিলেন। প্রথম স্ত্রী খাদিজা (রা.)–এর জীবতকালে তিনি আর কোনো বিয়ে করেননি। এরপর আল্লাহর হুকুমে বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মোট ১১টি বিয়ে করেন। বিভিন্ন বয়সের নারী ছিলেন রাসুলের স্ত্রী। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ছিলেন তাঁর চেয়ে বয়সে অনেক বড় আবার কেউ অনেক ছোট। অথচ বিভিন্ন বয়সী সব স্ত্রীর সঙ্গেই রাসুল (সা.)–এর ছিল ভালোবাসার ও মধুর সম্পর্ক।

                                                                           

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ তথা নীতিমালা।’ (সূরা:  আল আহযাব (৩৩), আয়াত: ২১)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনের প্রতিটি দিকই মুসলিম উম্মাহর সব নারী-পুরুষের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ।


প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যক্তিগত জীবনও আনন্দে পরিপূর্ণ। তিনি তার স্ত্রীদের সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বিনোদন করেছেন। যা সব নারী-পুরুষের দাম্পত্য জীবনের জন্য আদর্শ।


পারিবারিক জীবনে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনন্দঘন মুহূর্তগুলোর হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনায় উঠে এসেছে-


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম স্বামী যে তার স্ত্রীর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে। আর আমি আমার স্ত্রীদের সঙ্গে সবচেয়ে ভাল ব্যবহার করি।’


মুসলিমরা মুহাম্মাদ সাঃ এর  স্ত্রীদের সম্মানার্থে "উম্মাহাতুল মুমিনীন" শব্দটি ব্যবহার করে, যার অর্থ "বিশ্বাসীগণের মাতা" বা "মুমিনদের মাতা"। এই শব্দটি কুরআন থেকে উদ্ভূত।


একদিনের ঘটনাঃ

নবীজির কাছে তার নয় বিবি বসা ছিলেন । এমন সময় একজন বিবি প্রশ্ন করলেন,, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাঃ আপনার নয় বিবিগণের মাঝে কাকে বেশি ভালোবাসেন ??কেমন কঠিন প্রশ্ন!!! কারণ নয়জনই এখানে উপস্থিত।  নবিজী কাকে হাসাবেন আর কাকে কাঁদাবেন !!!কৌশলে বললেন ,,আগামিকাল উত্তর দেব। 


অতঃপর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কুমারী আয়েশার ঘরে প্রবেশ করলেন,, এবং দুইটি খেজুর দিলেন, আর বললেন আয়েশা এই খেজুরের কথা কাউকে বলবে না । এভাবে সকল বিবির ঘরে প্রবেশ করে ,সকলকে দুইটি করে খেজুর দিলেন।  আর বললেন এই খেজুরের কথা কাউকে বলবে না।  অতঃপর পরের দিন সকল বিবিগন  একত্রিত হলেন,, আর বললেন ,হুজুর জবাব দেন।  আপনি কোন স্ত্রী কে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন?/                                                                                 


নবিজী উত্তরে বললেন,,গত রাতে  আমি যাকে দুইটি খেজুর   দিয়েছিলাম তাকে আমি সবচাইতে বেশি ভালোবাসি।  তখন সকল বিবিগন মনে মনে আনন্দিত।  মুচকি হাসলেন,, কারণ নবিজী তো সকলকেই দুটি করে খেজুর দিয়েছিলেন।           


কিন্তু একজনের টা আরেকজন জানেনা।  অতএব নবীজির ভালোবাসার সকলের এর উপর সমান ভাবে চলে গেল। কেউ নারাজ হয়নি।  এটাকেই বলে ইনসাফ ও ইসলামিক বিনোদন । এবং সুন্দর  কৌশল। এটার নামই দ্বীন ইসলাম ।কতযে শান্তি ইসলামে আমরা বুঝিনা । আল্লাহ আমাদের বোঝার তৌফিক দান করুন । আমিন!!


Post a Comment

0 Comments