Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নামাজ না পড়লে কি কি শাস্তি হয়? জানলে আর কোনদিন নামাজ ছাড়বেন না!

 আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

সুপ্রিয় হিদায়াহ বাংলার দর্শক মন্ডলী ,,আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন।

প্রিয় দর্শক ,,



নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ। আল্লাহর ওপর ঈমান আনার পর সর্বপ্রথম করণীয় আমল। এটি মুসলমান ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী বাহ্যিক মাধ্যম। নামাজ পরিত্যাগকারী কাফেরের সমতুল্য।


কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, নামাজ ত্যাগের মতো ভয়াবহ গুনাহে লিপ্ত বর্তমান সমাজের অসংখ্য মুসলমান। প্রতিনিয়ত নামাজ ত্যাগের গুনাহ করতে করতে এমন স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, যেন এখন আর এটাকে সেভাবে গুনাহের কাজ মনে করা হয় না। আল্লাহর রাসুলের (সা.) দৃষ্টিতে নামাজ ত্যাগকারী দুনিয়াতে অভিশপ্ত আর আখিরাতে কঠিন শাস্তির যোগ্য। হাশরের মাঠে কঠিন পরিস্থিতিতে সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব হবে।

প্রিয় দর্শক ,,

নামাজ না পড়লে কেমন শাস্তি হবে তার কিছুটা অনুমান করা যায় একটি হাদিসে। আল্লাহর রাসুল (সা.) সকালে ফজরের নামাজের পর সাহাবিদের নিয়ে রাতের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলতেন। কোনো সাহাবি স্বপ্ন দেখলে সেটা শোনাতেন। আল্লাহর রাসুলও (সা.) রাতে বিশেষ স্বপ্ন দেখলে সাহাবিদের শোনাতেন। এক দিন সকালে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আজ রাতে আমার কাছে দুজন আগন্তুক এসেছিল। তারা আমাকে বলল, আমাদের সঙ্গে চলুন। আমি তাদের সঙ্গে গেলাম। আমরা এমন এক লোকের কাছে পৌঁছলাম, যে চিত হয়ে শুয়েছিল। অন্য এক ব্যক্তি পাথর নিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।


সে পাথর দিয়ে শুয়ে থাকা ব্যক্তির মাথায় আঘাত করছে এবং থেঁতলে দিচ্ছে। যখন সে পাথর নিক্ষেপ করছে তা গড়িয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। লোকটি গিয়ে পাথরটি পুনরায় তুলে নিচ্ছে এবং তা নিয়ে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই লোকটির মাথা পুনরায় পূর্বের মতো ভালো হয়ে যাচ্ছে। সে আবার লোকটির কাছে ফিরে আসছে এবং তাকে পূর্বের মতো শাস্তি দিচ্ছে। আমি আমার সঙ্গী দুজনকে জিজ্ঞাস করলাম- সুবহানাল্লাহ! এরা কারা? তারা জবাবে বলেন, এ ব্যক্তি ফরজ নামাজ না পড়েই ঘুমিয়ে যেত।’ (রিয়াদুস সালেহিন : ১৫৪৬)


নামাজ না পড়লে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে কবরেই আজাব শুরু হবে। বেনামাজির কবরে একজন আজাবের ফেরেশতা নিযুক্ত করা হবে। তার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে, দুনিয়ায় কেন নামাজ পড়নি? আজ তার ফল ভোগ করো। এই বলে ফজর নামাজ না পড়ার জন্য ফজর হতে জোহর পর্যন্ত, জোহর নামাজের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছর নামাজের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাজের জন্য মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত এবং এশার নামাজের জন্য এশা থেকে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। প্রত্যেকবার আঘাতের সময় বজ্রপাতের মতো শব্দ হবে এবং শরীর চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ৫০ গজ মাটির নিচে চলে যাবে। সেই ফেরেশতা পুনরায় তাকে জীবিত করে হাড়-মাংস এক করে আবার আঘাত করতে থাকবে। এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত লোহার মুগুর দিয়ে তাকে আঘাত করতে থাকবে। আর কবর অসংখ্য সাপ-বিচ্ছু দ্বারা পরিপূর্ণ থাকবে।


পরকালে তো এমন কঠিন আজাব অপেক্ষা করছে, দুনিয়াতেও নামাজ না পড়ার কারণে ৬টি আজাবের সম্মুখীন হতে হবে- ১. জীবনের বরকত উঠিয়ে নেওয়া হবে। ২. চেহারা থেকে নূর ও জ্যোতি উঠিয়ে নেওয়া হবে। ৩. ভালো কাজ করলে তার সুফল ভোগ করতে পারবে না। ৪. দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করবেন না। ৫. আল্লাহ ও ফেরেশতা অসন্তুষ্ট থাকবেন, ফলে মানসিক অস্থিরতা বিরাজ করবে। ৬. ইসলামের শান্তি ও প্রতিশ্রুতি থেকে বঞ্চিত হবে। (শারহুল আকিদাতুত তাহাবি : ২৬৮)। তাই যেকোনো উপায়ে নামাজ পরিত্যাগ করার মতো গুনাহ থেকে সতর্ক থাকা। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। আল্লাহ তওফিক দান করুন। আমিন।


Post a Comment

0 Comments