Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সূরা ফাতিহা 7 বার পড়ে কিসমিস ভিজিয়ে রেখে ফু দিয়ে খেলে কি হয়

 আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


 সুধী দর্শক মন্ডলী আজকে আমরা কিছমিস সম্পর্কিত খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল সম্পর্কে আপনাদের জানাব ইনশা-আল্লাহ।

  যে আমলটি পবিত্র কোরআন থেকে নেওয়া।

   যাদের কোরআনের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ভালবাসা ভক্তি ও শ্রদ্ধা রয়েছে তারাই কেবল মাত্র আজকের এই ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন।

    অনেকেরই হয়তো জানা নেই কিসমিস একটি স্বাস্থ্য গুণ সম্পন্ন খাবার।

     এমনকি কিসমিস ভেজানো পানি ও শরীরের পক্ষে বিশেষ উপকারী।

      এছাড়া কিছমিসে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে অতিরিক্ত শক্তি যোগান দেয়।

       শুধু স্বাদেই অতুলনীয় নয়,, ছোট্ট এই ড্রাইফুটে রয়েছে অনেক উপকারিতা। 

       চোখের জন্য আদর্শ খাবার কিসমিস।

        আপনার দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।

         কিসমিসে  ভিটামিন A ও বিটা ক্যারোটিন থাকায় মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।

          মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। ফলে কাজে মনোযোগ বাড়ে। এবং এটি বাচ্চাদের পড়াশোনায় মনোযোগী করে তুলতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

  

প্রিয় দর্শক,,,

 সুরা ফাতেহা আল্লাহ তায়ালার অপরূপ সৃষ্টি। মুসলিম জাতির জন্য একটি বড় ধরনের নেয়ামত স্বরূপ। সূরা ফাতিহাকে সূরাতুল শিফাও বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই সূরাটি সিফা হিসেবে কাজ

করে।  

যা মহা ঔষধের মত।

 সুবহানাল্লাহ!!""

  প্রিয়দর্শক,, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামগণ সুরা ফাতেহা দ্বারা ফু দিতেন। এবং ঝাড় ফুক করতেন যা আমরা হাদিস থেকে পাই।

   যেমন বিস্তারিত বুখারী শরীফের হাদিস নাম্বার 5734 নাম্বার। 

   হাদিস টি দেখে নিতে পারেন,,, 

   


এছাড়াও আজকে আমি আপনাদের জানাব সারারাত অর্থাৎ ছয় থেকে আট ঘণ্টা কিসমিস ভিজিয়ে সেটাতেই সুরা ফাতেহা পরে ফুক দিয়ে তা খেলে কি উপকার পাওয়া যায়। বিস্তারিত আমল সম্পর্কে জানতে ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখুন।


প্রিয় দর্শক,,,

 আপনারা জানেন যে কিসমিস আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায়।

  শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

   কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে।

    প্রত্যেকদিন কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য এসিডিটি ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই।

     এছাড়া কিসমিস হৃদপিন্ড ভালো রাখে আর নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল। 

      কিসমিসে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ তেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সহজেই রোগমুক্তির কারণ।

      আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং পাইবার শুধু তাই নয় কিসমিস ক্যান্সারের জন্যও প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে।

      

শুধু তাই নয়,,,,

 এটি ত্বকের জন্যও অনেক ভালো। 

 অনেকের প্রশ্ন থাকে আমলকি শক্তি কাজ করে???? তাহলে সেক্ষেত্রে বলতে চাই,, দেখুন,,, আল্লাহ সুবহানাতায়ালা পবিত্র কোরআনে নিজেই বলেছেন আমি কোরআনকে নাযিল করেছি শেফা শরুপ 

 (সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 82)

 

 এক্ষেত্রে যাদের কুরানের  প্রতি এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস হয়েছে শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রে এই কাজ করবে। 

 তবে এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই হালাল খাবার খাবেন।।

  পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন। তাহলে আমল আপনার কাজে আসবে।

   অন্যদিকে আপনি যদি সারাদিন পাপের মধ্যেই মগ্ন থাকেন এবং আমলটি করলেন কিন্তু আপনার কাজ হলো না সে ক্ষেত্রে কোরআনের কোন দোষ হতে পারে না  রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন??? সর্বত্তম দোয়া হল আলহামদুলিল্লা।।

    আর তা সূরা ফাতেহার শুরুতেই রয়েছে। 

    (তিরমিজি হাদিস নাম্বারঃ 3383) 

    তোচলুন এখন জেনে নেই আজকের আমলটি আমরা কিভাবে করব। 

    

প্রথমে ইশার নামাজের পর একটি পরিষ্কার গ্লাসে এক গ্লাস থেকে একটু কম পরিমাণ পানি নিন।

 তাতে সুরা ফাতেহা সাতবার পড়ে ফুক দিবেন।

 

 এবং  এগারটি কিসমিস ভালো করে ধুয়ে নিয়ে গ্লাসের পানিতে রেখে দিবেন।

  তারপর আপনি কিসমিস সমেত প্লাস্টিকে ঢেকে রেখে ঘুমিয়ে পড়বেন।

   সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ার পর শিবির সমেত ক্লাস টেনে নিয়ে তাতে আবার 7 বার সূরা ফাতিহা পড়ে ফুক দিবেন। 

   তারপর কিসমিস সমেত সেই ক্লাসের পানিগুলো ন্যূনতম 3 ঢোকেই খেয়ে নেবেন।

    তারপর আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাবেন নিজের অসুস্থতার ব্যাপারে।

    আল্লাহ যেন আপনাকে সকল ধরনের রোগব্যাধি ও বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করেন ইনশাল্লাহ। আমলটি 21 দিন করবেন। 

    তারপর আপনি হাতেনাতে যে পাঁচটি উপকার পাবেন তা হল

    


 (এক নাম্বার)

     আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা থেকে মুক্তি পাবেন 

     

(2 নাম্বার)  

আপনার হজম শক্তি বেড়ে যাবে।

( তিন নাম্বার)

 আপনার দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।

  ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে। এবং শুনতে আশ্চর্য লাগলেও কিসমিস ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে। 

  কারণ কিসমিস খাওয়ার ফলে মানুষের অত্যধিক খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়।

  ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমানো সম্ভব হয়।  (৪ নাম্বার)

   আপনার ব্রেন শক্তি প্রকার হবে,, ফলে আপনার কাজে মনোযোগ বাড়বে।

    এবং এই আমলটি বাচ্চাদের পড়াশোনায় মনোযোগী করে তুলতে বেশ কার্যকর। 

    (5 নাম্বার) 

    যাদের অতিরিক্ত হতাশা আর দুশ্চিন্তার জন্য বা অন্য কোনো কারণে রাতে ঘুম ভালো হয় না তারা হাতেনাতে ফলাফল পাবেন।

     আর আপনাকে কখনো ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাতে হবে না ইনশাআল্লাহ।

      এমনিতেই আপনার ঘুম ভালো হবে আর সর্বোপরি এটি আপনার যৌবন ক্ষমতাকে কয়েকগুণ

বাড়িয়ে দিবে ইনশাল্লাহ।

 এই আমলটি খুবই পরিচিত একটি আমল আজ থেকে আপনারা 21 দিন এই আমলটি করবেন এবং ফলাফল নিজেরাই দেখতে পাবেন।

  আর যারা ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখেছেন আপনার কমেন্টে আমিন লিখে জানাবেন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সবাইকে যেন বেশি বেশি কোরআনের আমল করার তৌফিক দান করেন আমীন।

   আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু


তো প্রিয়  দর্শক যারা ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখেছেন তারা কমেন্টে লিখে জানাবেন।

 আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের প্রত্যেককেই যেন সুস্থ রাখেন ভাল রাখেন। নিরাপদে রাখেন। এই কামনাই আজকের ভিডিওটির এখানেই সমাপ্তি। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু


Post a Comment

0 Comments