Header Ads Widget

Responsive Advertisement

হজরত মহানবী সঃ এর সাথে কবরে ইহুদী মেয়েটির যে কথা হয়েছিল ?

 আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ 


আলমুনতাহা 24 এর আরো একটি নতুন ভিডিওতে আপনাদেরকে স্বাগতম। 


আজকে আপনাদেরকে জানাবো মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কিছু মুজিযা সম্পর্কে।


 প্রখ্যাত হাদিসটি তিরমিজি শরীফ থেকে নেয়া হয়েছে। 

 একদিন এক ইহুদী মহিলা ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে ঈমান গ্রহণ করে নিল।

  তার একটি প্রাপ্তবয়স্কা কন্যাসন্তান ছিল।

   একদিন মেয়েটি আকস্মিকভাবে মারা গেল।

    অন্যান্য ইহুদিরা ভর্ৎসনা দিতে শুরু করলো যে,, মুসলমান হবার কারণেই তোমার মেয়ে মারা গিয়েছে।

     ইহুদিদের এইসব বাজে কথা শুনে,, স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই কাঁদতে শুরু করে দিলেন।

      বিরহ সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে দুইজনে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে হাজির হয়ে আরজ করল,, 

      ইয়ারাসুলাল্লা সবেমাত্র আমরা ঈমান গ্রহণ করে মুসলমান হয়েছি।

       কিছুদিন যেতে না যেতেই আমাদের একমাত্র যুবতী কন্যা মারা গিয়েছে।

        আমরা তাকে ইসলামী তরিকায় দাফনও করেছি।

         আমরা ঈমান গ্রহণ করার পরপরই আমাদের কন্যা মারা যাওয়াতে,, আমাদেরকে গোত্রের লোকেরা ভর্ৎসনা দিচ্ছে।

         তারা বলছে ঈমান আনার কারণে সে মারা গিয়েছে। 

         নবী করিম সাঃ তাদের বিবরণ শুনে বললেন,, তোমরা আমাকে তার কবরের পাশে নিয়ে চলো। রাসূলের নির্দেশ মোতাবেক তারা রাসুরুল্লাহ( সা)কে 

একটি পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে গেল.। 

সেখানে দাঁড়িয়ে ইশারা করে বললো ওই যে পাহাড়ের উচুতে আমার মেয়ের কবর।


 নবী করিম সাঃ নিচে দাঁড়িয়ে বললেন হে আল্লাহর বান্দী নবী করিম সাঃ তোমাকে ডাকছে। 

 তুমি বেরিয়ে এসো!!! নবীজির এই কথা শুনে, সাথে সাথে কবর চিরে মেয়েটি বেরিয়ে এলো। এবং ছুটে গিয়ে মা-বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করল। 

 নবী করিম সাঃ কবর থেকে বেরিয়ে আসা মেয়েটিকে বললেন,, বলো,, তুমি যেখানে ছিলে সেখানে যেতে চাও??? নাকি মা-বাবার সঙ্গে থাকতে চাও??

 যুবতী মেয়ে টি বলল,, হে আল্লাহর রাসূল আপনি আমার জন্য দোয়া করুন।

  যেন আমার মা-বাবার অন্তর থেকে আমার মায়া চলে যায়।

   তারা যেন আমার জন্য কান্নাকাটি না করে। 

   আমি আমার স্থানে চলে যেতে চাই। 

   কারণ,, আল্লাহ তায়ালাকে আমি আমার মা-বাবার চেয়ে অধিক ভালোবেসেছি।

    হে আল্লাহ আপনি আমাদের সবার গুনাহ ক্ষমা করে দিন। 

    আমিন!!! 

    

কবর হলো আখেরাতে প্রথম ঘাটি।

 হাদিসে আছে হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু, তিনি যখন কোন কবরের পাশে দাঁড়াতেন তখন এমনভাবে কাঁদতেন যে,, নিজের দাড়ি মোবারক ভিজে যেত।

  তাই একবার তাকে জিজ্ঞাসা করা হল,, আপনি জান্নাত এবং জাহান্নাম স্মরণ করে এত কাদেন কেন??? যতটুকু কাদের কবর দেখে??? এর কারণ কি??? তিনি বললেন,,, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন,, কবর হচ্ছে আখিরাতের প্রথম ঘাটি। 

  এখানে যদি কেউ রক্ষা পেয়ে যায়,, তাহলে পরবর্তী সবঘাটি তার জন্য সহজ হয়ে যাবে। 

  আর এখানে যদি কেউ রক্ষা না পায়,, তাহলে পরবর্তী সবঘাটি তার জন্য খুব কঠিন হবে।

   তিনি আরো বলেন,, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সালাম বলেছেন,, মিরাজের রজনীতে আমি যত ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছি,,, তার মধ্যে কবরের আজাব ই হচ্ছে সবচাইতে ভয়াবহ।।

   ( তিরমিজি হাদিস নাম্বার ২৩০৮) 

   কবরের আজাব সম্পর্কে অসংখ্য অগণিত আয়াত এবং হাদীস রয়েছে,, যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় কবরের আজাব সত্য। 

   এতে কোন সন্দেহ নেই। 

   কবরের আজাবের কিছু নিদর্শন মাঝে মধ্যে আল্লাহপাক দুনিয়াবাসীকে  দেখান,, যাতে তার  দ্বারা মানুষের আল্লাহ তার উপর ইয়াকিন এবং বিশ্বাস বেড়ে যায়। 

   

যেমন,, শাইখুল হাদিস আল্লামা যাকারিয়া রাহমাতুল্লাহি আলাই বাজায়েরে আলম কিতাবে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন,,,, এক ব্যক্তি তার  এক আত্তিওকে কবর দিতে গিযে ভুলে কবরে  টাকার থলে ফেলে আসে। 

তারপর মনে পড়লে গোপনে কবর খুঁড়ে টাকা তুলে আনতে গেল।

 গিয়ে দেখে কবরের মধ্যে দাও দাও করে আগুন জ্বলছে। 

 এই আগুনই হল কবরের আজাব। 

 কবরের আজাব সম্পর্কে হাদিসে অনেক ধরনের শাস্তির কথা উল্লেখ আছে। 

 যেমন হাদিসে আছে,, কবর হয়তোবা জান্নাতের বাগান সমূহের মধ্যে হতে একটি উল্লেখযোগ্য বাগান।

 

অথবা জাহান্নামেরর গর্ত সময়ের মধ্যে হতে একটি গর্ত।

 কবর বাসি যদি নেককার হয়,, তাহলে তার কবর হবে জান্নাতের বাগান। 

 আর যদি বদকার হয়,, তার কবর হবে জাহান্নামের গর্ত। 

 কাশ্মীর অধিকারী এক বুজুর্গ এক গ্রামে যান,,, তাকে দেখে সেখানকার লোকেরা বলল,, হযরত এখানে এমন একটি কলসি আছে  কোন সময় তার পানি ঠান্ডা হয় না। 

 সবসময় গরম থাকে এই ব্যাপারটি কি??? তা আমাদের বোধগম্য নয়।

 তিনি বললেন ঠিক আছে কলসিটি আজ রাতে আমার কাছে রেখে দাও।

  লোকেরা কলসি টিকে তার কাছে রেখে গেলো।

   সকালে তিনি তাদের বললেন,, এবার দেখ কলসীর পানি ঠান্ডা হয়েছে কিনা। 

   দেখা গেল পানি ঠান্ডা হয়ে গেছে।

    লোকেরা আশ্চর্য হয়ে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন,,

     এই কলসিটি এক মুর্দার মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।

      আর তখন ঐ   মুর্দাকে বারযাখে আজাব দেয়া হচ্ছিল।

       সেই আজমের প্রতিক্রিয়া একলশির মাটিতে হচ্ছিল।

        বিষয়টি আল্লাহপাকের কুদরত জানতে পেরে আমি মুর্দার জন্য মাগফেরাতের দোয়া করি।

         আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন। 

         ফলে কলসি থেকে আজাবের প্রতিক্রিয় দূর হয়ে গেছে। 

         

প্রিয় দর্শক....

এর থেকে কবরের আজাবের অবস্থা কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যায়।

          কবরে আজাবের সাপের কথা বর্ণনা দিয়ে একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,, পাপীদের শাস্তি দেয়ার জন্য কবরে 

এমন এক বিষাক্ত সাপ নিযুক্ত করা হবে যে,, সে সাপের বিষ তো দূরের কথা,,, সে যদি দুনিয়াতে একটি নিঃশ্বাসও ত্যাগ করে,,,তবু দুনিয়াবাসি টিকতে পারবেনা।

 হে আল্লাহ আপনি আমাদের এই কবরের আজাব থেকে আমাদের সকলকে মুক্ত  করে দিন।

  আমিন!!!!


Post a Comment

0 Comments