আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।
আশা করি আল্লাহ সুবহানু তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা প্রত্যেকেই ভালো আছেন।
প্রিয় দর্শক ইসলামের লাইট বা বাতি জালিয়ে রেখে কেন ঘুমাতে নিষেধ করা হয়েছে??? আপনি যদি বাতি লাইট জ্বালিয়ে ঘুমান তাহলে ভিডিওটি আপনার জন্য।।।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম রাতের প্রদীপ বন্ধ করে কেন ঘুমাতে বলেছেন??? রাতে ঘুমানোর সময় লাইট জ্বালিয়ে রাখার ভয়াবহতা সম্পর্কে আজ আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।।।
তাই ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন।
আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম আমাদের কিন্তু খুব বেশি কিছু নিষেধ করেননি।।
বিজ্ঞজনেরা বলেন আমাদের রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম রাতে লাইট বন্ধ করে ঘুমাতে বলেছেন,, তার মানে নিশ্চয়ই কারণ রয়েছে।
যদি আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে এর ব্যাখ্যা করি,, তাহলে রাতে আলোর বিকিরণ থেকে এক ধরনের আলোর দূষণ তৈরি হয়।
রাতের অন্ধকার নির্জনতা হলো বৈশ্বিক এবং স্বাভাবিক বিষয়।
ইসলামে এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে,, তিনি তো তোমাদের জন্যে রাতকে করেছেন আবরণ স্বরূপ নিদ্রাকে বিশ্রাম এবং দিনকে করেছেন বাইরে ভ্রমণের জন্য।
(সূরা ফুরকান আয়াত ৪৭)
মহান আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কোরআনে
আরো বলেছেন,,, তিনি তোমাদের জন্যে রাত তৈরি করেছেন যাতে তোমরা তাতেই প্রশান্তি লাভ করতে পারো।
ওদিনকে উজ্জ্বল করেছেন এর মধ্যে শিক্ষা রয়েছে চিন্তাশীল ব্যক্তিদের জন্য।
(সূরা ইউসুফ আয়াত 67)
আর যদি রাতে ঘুমানোর সময় আলো জ্বালানোর থাকে এটি আমাদের দেহের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা রাতকে বানিয়েছেন ঘুম এবং বিশ্রামের জন্য।
আর দিনকে বানিয়েছেন কর্মের জন্য।
রাতের ঘুম পরিত্যাগ করলে মাথাব্যথা, দুশ্চিন্তা, অস্বাভাবিকতা এবং অবসাদেরর মতো বিভিন্ন রোগব্যাধি দেখা দিয়ে থাকে।
তিনি তো আমাদের জন্য রাতকে করেছেন আবরণ সরুপ।
নিদ্রাকে করেছেন বিশ্রাম এবং দিনকে করেছেন বাইরে ভ্রমণের জন্য।
কাজের জন্য।
একই সাথে রাতে ঘুম পরিহার করলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো বিভিন্ন মারাত্মক রোগ হতে পারে।
মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ কমে যায়। আমাদের এক ধরনের গ্রন্থি আছে যার নাম ফাইনাল গ্রন্থি।
আর এই গ্রন্থি শুধুমাত্র অন্ধকারে কাজ করে।
এ গ্রন্থির কাজ হল হরমোন নিঃসরণ করা যা দেহের অন্যান্য অঙ্গের প্রতিদিনের কাজকে সহজ করে তোলে।
এবং মানুষকে সহজেই ঘুমাতে সাহায্য করে আর যদি একজন মানুষ রাতে পর্যাপ্ত না ঘুমায় সেই স্বাভাবিকভাবেই তার জীবনের দৈনন্দিন কাজ গুলো সঠিক ভাবে করতে পারবে না।
ঘুম হলো শরীরের বিভিন্ন অংশের বিশ্রাম প্রশান্তি এবং আরাম।
আমাদের মহানবী সাল্লাহু সাল্লাম আমাদের সেটাই করতে বলেছেন যা আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেছেন,, আল্লাহর রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন,, সূর্যাস্তের পর পরেই যখন রাত শুরু হয়।
অথবা বলেছেন,, যখন রাতের অন্ধকার নেমে আসে,, তখন তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে ঘরে আটকে রাখবে।
এ সময় শয়তানেরা ছড়িয়ে পরে।
অতঃপর যখন রাত্রে কিছু অংশ অতিবাহিত হবে তখন তাদের ছেড়ে দিতে পার।
আর তুমি তোমার ঘরের দরজা বন্ধ করে দাও এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করো যাতে শয়তান প্রবেশ করতে না পারে।
তোমার ঘরের বাতি নিভিয়ে দাও।
এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করো।
তোমার পানি রাখার পাত্র মুখ ঢেকে রাখ এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করো।
তোমার বাসনপত্র ঢেকে রাখ এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করো।
সামান্য কিছু হলেও তার উপর দিয়ে রেখো। (সহি বুখারি হাদিস নাম্বারঃ 3210)
এই প্রবাদ আছে রাতে জলদি ঘুমাতে যাওয়া আর সকালে ঘুম থেকে ওঠা সুস্বাস্থ্য ও সম্পদ এবং জ্ঞানের পূর্বশর্ত।
এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম এর হাদিস থেকেও আমরা পেয়ে থাকি।
আমাদের প্রিয়
নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম রাতে দেরি করে ঘুমানো অপছন্দ করতেন।
সাহাবায়ে কিরামকে তাগিদ দেন এশার নামাজের পর পরই ঘুমিয়ে যাওয়ার জন্য।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম এশার নামাজ রাতের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ দেরি করে পড়াকে অপছন্দ করতেন।
আর ইশা র আগেই ঘুমানো এবং ইশার পর না ঘুমিয়ে গল্পগুজব করা অপছন্দ করতেন।
( সহি বুখারি হাদিস নাম্বারঃ 599)
অনেকেই বলেন রাতে আলো না জালালে ঘুম আসে না।
এই অভ্যাসটি কিন্তু একদম কাজের নয়।
রাতে আলো নিভিয়ে ঘুমাতে গেলে শরীর ভালো থাকে।
কিন্তু তা কেন???
তার কারণ হলো অন্ধকারের ঘর ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করে।
রাতের অন্ধকারে শরীর থেকে ঘুমের সময় মেলাটোনিন হরমোন ক্ষরণ বৃদ্ধি করে।
শান্তির ঘুমের সহায়ক হয়।
মেলাটোনিন মাথায় পিনিয়াল গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হওয়া এক ধরনের বিশেষ হরমোন যা আমাদের বুদ্ধি বাড়িয়ে দেয়।
মাথায় কাজ করার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ঘুমের সময়টা অন্ধকার ঘর রাখা খুবই দরকার।
সকালবেলার শরীর থেকে মেলাটোনিন হরমোন কমে যায়।
রাতের অন্ধকারেই সেটা ভেবে থাকে। চিকিৎসকরা বলে থাকেন এ জাতীয় হরমোন স্তন ক্যান্সার এবং অ্যালজাইমারস কমাতে সাহায্য করে। ঠিকঠাক ঘুমের জন্য সঠিকভাবে অন্ধকার হয়েছে কিনা দেখে নেওয়া অবশ্যই জরুরি।
তাই শুয়ে পড়ার পর নিজের হাতটা চোখের সামনে নিয়ে আসুন!! দেখুন হাতের আঙ্গুলগুলো দেখা যাচ্ছে কিনা???
যদি তা দেখা না যায় তাহলে ঠিক আছে।
বাহিরের আলোকে আটকাতে ঘরে মোটা পর্দা ব্যবহার করা জরুরী।
ঘুমানোর সময় চার্জার কম্পিউটারের সামান্য আলো যাতে ঘরে না থাকে সেটা ঘুমাতে যাওয়ার আগেই দেখে নেওয়া দরকার।
সমস্ত কিছু বন্ধ করেই তারপর ঘুমাতে যাবেন। তো দর্শক যারা ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখেছেন তারা কমেন্টে করে জানাতে ভুলবেননা।
। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের প্রত্যেকেই যেন সুস্থ রাখেন সুন্দর রাখেন নিরাপদে রাখেন এই কামনাই আজকের ভিডিওটি এখানেই সমাপ্তি আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু
তো প্রিয় দর্শক যারা ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখেছেন তারা কমেন্টে লিখে জানাবেন।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের প্রত্যেককেই যেন সুস্থ রাখেন ভাল রাখেন। নিরাপদে রাখেন। এই কামনাই আজকের ভিডিওটির এখানেই সমাপ্তি। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু
0 Comments