Header Ads Widget

Responsive Advertisement

 আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। 

সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানি ও দয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন।      

(Online madrasha bd)    ইউটিউব চ্যানেলের আরো একটি নতুন ভিডিওতে আপনাদেরকে জানাই স্বাগতম।   


প্রিয়  দর্শক,,  

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে (স্ত্রী) সৃষ্টি করেছেন; আর (পৃথিবীতে) বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। (সুরা নিসা : আয়াত ১)


উল্লেখিত আয়াতে কারিমা থেকে বুঝা যায় যে, আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে স্বামী- স্ত্রীর মাধ্যমেই বংশ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেছেন। আর মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক । এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা জেন রেখ, তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের ওপর অধিকার আছে। আর তোমাদের স্ত্রীদেরও অধিকার আছে তোমাদের ওপর।’


পুরুষদেরকে উদ্দেশ্য করে অন্য হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের প্রতি কল্যাণকামী হও।’


স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক বা ভালোবাসা কেমন হবে; দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক কেমন হবে; তার বিবরণ ফুটে ওঠেছে স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পারিবারিক জীবনে। যা মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় আদর্শ।


এই ভিডিওতে আলোচনা কোরবো একজন স্ত্রী,, তার স্বামীকে কখনো তিন জায়গায়  একা ছাড়বেন না। 


একজন স্বামী তার স্ত্রীকে কিছু জায়গায়একা ছাড়লে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।  ঠিক তেমনি একজন স্ত্রী ও স্বামীকে তিন জায়গায় একা ছারলে  সমস্যার সম্মুখীন হতে  হয়।   

 প্রিয়  বোন,,

শান্তি,  দুঃখ, কষ্ট সবকিছু মিলিয়ে মানুষের জীবন । পৃথিবীতে কখনোই সারা জীবন দুঃখ ,কষ্ট ছাড়া শুধুমাত্র সুখ শান্তি ভোগ করা সম্ভব না।  যে কোন মুহূর্তে দুঃখ কষ্ট এসে আঘাত দিয়ে চলে যায়। 


তাই কখনো যদি স্বামীর দুঃখ কষ্টের মধ্যে পতিত হয়,, তাহলে স্ত্রীর কর্তব্য হবে তার সঙ্গে থাকা । এবং তাকে শান্তনা  দেওয়া ।কোন ভাবেই তাকে একা ফেলে দূরে থাকা যাবেনা । দুঃখ কষ্টের সময় স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী যদি সব সময় দূরত্ব বজায় রাখে,, দূরে দূরে থাকে,, তাহলে স্বামীর মনে একটা চিন্তা বিরাজ করবে,,  তাহলো,, আমার স্ত্রী হলো স্বার্থপর। 

 সুখের সময়  আমার কাছে থাকে ,,কিন্তু কষ্টের সময় দূরে দূরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।  আর এই ধারণা যদি স্বামীর মনে একবার চলে আসে।  তাহলে কখনোই স্ত্রী স্বামীর কাছে গভীর ভালোবাসা পাবে না।  নিয়মিত এমন হতে থাকলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে যেতে পারে।  তাই নারীরা সাবধান!!

স্বামীর সুখ - শান্তির সময় যেমন কাছে থাকেন,, তেমনই দুঃখ কষ্টের সময় ও বিপদের সময় পাশে থাকবেন ।  এবং সান্তনা দিবেন । এটাই একজন অন্যতম আদর্শবান স্ত্রীর পরিচয়। 


 দুই নাম্বার এক বিছানায় ঘুমানো,,,  

স্বামী স্ত্রী এক বিছানায় ঘুমানো অতি উত্তম । তবে দুজনের ইচ্ছা অনুযায়ী যদি কেউ আলাদা আলাদা বিছানায় ঘুমায়  তাহলে কোন সমস্যা নেই,, তবে যদি স্ত্রী আলাদা বিছানায় ঘুমিয়ে থাকে আর স্বামী যদি তাকে নিজের বিছানায় ডাকে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীকে তার কাছে যেতে হবে।  কোনোভাবেই একা ছাড়া যাবে না । 

হাদিস শরীফের মধ্যে এসেছে,, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ,,কখনো কোন পুরুষ যদি তার স্ত্রীকে তাঁর শয্যায় ডাকে, এরপর স্ত্রী যদি স্বামীর আহবানে সাড়া না দেয় ,,, আর স্বামী যদি তার এই আচরণে কষ্ট পেয়ে তার প্রতি নারাজ অবস্থায় একাকী রাত অতিবাহিত করে,,, এমত অবস্থায় জান্নাতের বাসিন্দা সেই স্ত্রীকে সকাল পর্যন্ত লানত দিতে  থাকে । নাউজুবিল্লাহ!!

 যদি কোনো কারণে স্বামীর ডাকে সাড়া না দেয় স্বামীর কাছে না যাই তাহলে সকাল পর্যন্ত তার প্রতি লানত বর্ষিত হতে থাকে । তবে যদি কোন সমস্যা থাকে,, তাহলে এটা দুজনের মধ্যে আলোচনা করে কম্প্রোমাইজ করে নিতে হবে। 


 তিন নাম্বার অসুস্থ অবস্থায় ,,,

প্রত্যেক মানুষই ছোট অথবা বড় কোন রোগের শিকার হয়ে থাকে।  কখনো যদি স্বামী অসুস্থ হয় ,,তাহলে স্ত্রীর কর্তব্য হবে বেশি বেশি স্বামীর সেবা করা।  স্বামীকে অসুস্থ অবস্থায় একা ঘরে ফেলে রাখা যাবে না । এতে দুজনের মধ্যে ভালোবাসা দুর্বল হয়ে যায়।  

আর স্ত্রী যদি অসুস্থ হয়ে থাকে তাহলে স্বামীর কর্তব্য হবে স্ত্রীর পাশে থাকা । কখনো তাকে একা ছাড়া যাবেনা।  

প্রিয় দর্শক,,

 আশা করি এই তথ্যগুলি আপনাদের ভাল লেগেছে,, সকলেই চেষ্টা করবেন এগুলো মেনে চলার।  আল্লাহতালা যেন প্রত্যেক স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গভীর করে দেন । আমীন!! সুম্মা আমীন!!

Post a Comment

0 Comments