আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুললাহ।
এটি একটি সত্য ঘটনা আজকের ভিডিওটিতে আপনাদের সাথে এমন একটি ঘটনা শেয়ার করব যে ঘটনাটি শোনার পর আপনার গা শিউরে উঠবে
তাই আমি আপনাদের অনুরোধ করছি ভিডিওটি না টেনে একবারে শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন।
আর আপনি যদি আমাদের চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকেন এখনি চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে সবার আগে ভিডিও পেতে পাশে থাকা বেল বাটনটি প্রেস করে অল অপশনে ক্লিক করে রাখুন।
আর আগে থেকে যদি সাবস্ক্রাইব করে থাকেন তাহলে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
তো চলুন শুরু করা যাক।
এই ঘটনাটি শেয়ার করেছেন পাকিস্তানের একজন আলেমে দ্বীন আল্লামা তারিক জামিল সাহেব দামাত বারকাতুহুম।
আল্লামা তারিক জামিল সাহেব বলেন। আমি কয়েক বছর আগে তাবলীগ জামাতের সাথে এবাদাবাটে গিয়েছিলাম শহরের উপকন্ঠে এক লোকালয় মসজিদে,আমরা অবস্থান করলাম।
মসজিদের পাশে ছিল কবরস্থান।
কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা গাছথ করে স্থানীয় লোককে মসজিদে সমবেত করলাম।
কবরের আলোচনা শুরু করতেই উপস্থিত লোকেরা কাদতে আরম্ভ করলো,আমরা অবাক হলাম কারন কবর ও হাশরের আলোচনায় এরকম প্রতিক্রিয়া ইতিপূর্বে কোথাও দেখিনি,স্থানীয় এক লোক তিনি জানালেন আসলে এলাকার লোকেরা কবরের আজাবের নমুনা দেখেছে একটি কবরের দিক ইশারা করে আমাদের কে বললেন ঐ কবর হচ্ছে, একজন মহিলার। মহিলাটি ৬০ বছর আগে মারা গিয়েছে, একদিন ফজরের নামাজের পর কবর থেকে ভয়ংকর চিৎকার ভেসে আসতে লাগলো। চিৎকারের শব্দ কোথায় থেকে আসছে, অনুসন্ধান করে দেখা গেলো সেই মহিলার কবর থেকে চিৎকার শুনা যাচ্ছে। কবরটি ছিলো অনেক পুরাতন এবং পাকা করা,বেলা বাড়ার সাথে সাথে চিৎকারের তীব্রতা এবং ভয়াবহতা আরো বাড়তে লাগলো, জনমনে আতংক বেড়ে গেলো লোকালয় নারী শিশু সবাই আতংকের চিৎকার শুনে কাদতে লাগলো, তখন একজন আলেমকে ডাকা হলো তিনি সব কথা শুনে বললেন, এই কবরের ভিতরে মহিলাটিকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, মহান আল্লাহ তায়ালা এই মহিলার শাস্তির নমুনা শুনিয়ে বুঝাতে চেয়েছেন আমাদের কে,তোমরা পাঠ করো, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ)যদি আপনারা এই কালিমার দাবি পুরন করেন, মহান আল্লাহ তায়ালা এবং তার রাসুল (সঃ) এর প্রতি অবিচাল বিশ্বাস স্থাপন করেন পাচ ওয়াক্ত যথাযথ ভাবে আদায় করেন, তবে এরকম ভয়াবহ শাস্তি থেকে রেহাই পাবেন।মনে রাখবেন কালিমা ত্যাইবা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ এই কালিমা হচ্ছে কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র মুল সম্পত আলেমের কথা শুনার পর সব মানুষ একসাথে কালিমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ পাঠ করলেন,এবং দরুদ পাঠ করলেন। কোরআন তেলাওয়াত করলেন তারপর চোখের পানিতে ভাসিয়ে দেন।সেই মহিলার শাস্তি মাফ করে দেওয়ার জন্য, আল্লাহর শাহি দরবারে দোয়া করলেন, আসরের নামাজের পর কবর থেকে ভয়ংকর চিৎকার আসা বন্ধ হলো। আল্লাহু আকবার আমরা যখনই কবর ও আখেরাতের জীবনের কথা আলেচনা করতাম মানুষ গুলো কাদতে আরম্ভ করলো..
0 Comments