সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানি ও দয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন।                                                                 

    (Online madrasha bd)    ইউটিউব চ্যানেলের আরো একটি নতুন ভিডিওতে আপনাদেরকে জানাই স্বাগতম।            


সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী,,

মানবতার জন্য এক জঘন্য অভিশাপের নাম হলো যাদুটোনা বা ব্ল্যাক ম্যাজিক। হিংসুক ও কুচক্রী ব্যক্তিরা মানুষকে শায়েস্তা করবার কাজে এই নোংরা অস্ত্রটি ব্যবহার করে থাকে। এবং আরো একটি বড়ো সমস্যা হলো,,,খারাপ জ্বীনের আছর বা নজর লাগা।


আজকের ভিডিওতে আমরা,জ্বিন,, জাদু ও বদনজরের কোরআন সুন্নাহ নির্ভর চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করব।


তো চলুন ভিডিওটি শুরু করা যাক,,,, 

জ্বিন,, জাদু ও বদনজরের লক্ষণ এবং  চিকিৎসা।

[১] শরীরের সাধারণ দুর্বলতা থাকা, ক্ষুধা হ্রাস এবং বমি বমি ভাব।

[২]চেহারা ফ্যাকাশে /ধূসর / হলুদ হয়ে যাওয়া।

[৩]স্থায়ীভাবে উচ্চ শারীরিক তাপমাত্রা/ জ্বর থাকা 

[৪]কোন কারণ ছাড়াই কান্নাকাটি করার আশ্বাস।

[৫]ঘুমিয়ে আছেন কিন্তু মনে হচ্ছে জাগ্রত

[৬]উভয় হাত এবং পায়ের মধ্যে প্রায়ই ব্যথা, শরীরের ব্যথা আবর্তিত, শরীরের ব্যথা এক জায়গায় স্থির না হওয়া।

[৭]চিরস্থায়ী মাথাব্যাথা 

[৮] বিভিন্ন অসুখ লেগে থাকা, অনেক চিকিৎসার পরেও ভালো না হওয়া 

[৯]  কাজে মন না বসা, লেখাপড়া মন না বসা, নামাজ, যিকিরে মন না বসা

[১০] মহিলাদের/পুরুষদের অত্যধিক চুল পড়ে যায় 

ইত্যাদি।


এবার চলুন কোরআন সুন্নাহর আলোকে এর প্রতিকার জেনে নেই।

নাম্বার ১,,,

কোন মানুেষর নযর লেগেছে তা যদি জানা যায়, তবে  ঐ মাণুষকে ওযু করতে বলতে হবে। অতঃপর উক্ত ওযুর পানি দ্বারা বদনযরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে গোসল করাতে হবে। (ছহীহ মুসলিম)

দ্বিতীয়ত :- কুরআনের কিছু  আয়াত ও দু’আ সমূহ পড়ে বদনযরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঝাড়-ফুঁক করতে হবে।

আয়াত এবং দোয়াগুলো হলোঃ


(১)সূরা ফাতিহা,

(২) আয়াতুল কুরসী 

(৩) সূরা বাক্বারার শেষের দুটি আয়াত (২৮৫ ও ২৮৬ নং আয়াত)

(৪) সূরা ইখলাছ

(৫) সূরা ফালাক

(৬) সূরা নাস

এবং সাথে বুখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিতএই ৩ টি দু’আ,,,

بِسْمِ اللهِ أرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيْكَ وَمِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أوْ عَيْنٍ حاَسِدٍ اللهُ يَشْفِيْكَ بِسْمِ اللهِ أرْقِيْكَ

(৮) তারপর  এই দু’আটি

أعُوذُ بِكَلِماَتِ اللهِ التاَّمَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطاَنٍ وَهاَمَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ


(৯)তারপর এই দু’আটি

بِسْمِ اللهِ يُبْرِيْكَ ومِنْ كُلِّ داَءٍ يَشْفِيْكَ، ومِنْ شَرِّ حاِسِدٍ إذاَ حَسَدَ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ عَيْنٍ


এই পদ্ধতি বর্ণনা করেন ইমাম ইবনুল ক্বাইয়ুম।

তৃতীয়ত:-

যদি জানা না যায় যে,,, কার নজর লেগেছে তাহলে নিচের এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

প্রথমে এক বালতি পানি নিন। যদি বাথরুম আর টয়লেট একসঙ্গে হয় তাহলে বালতি বাহিরে নিয়ে এসে দুই হাতের কবজি পযন্ত ডুবিয়ে নিচের এগুলো পাঠ করুন।তবে পানিতে ফু দিবেন না, পরে গোসল করুন।

(১) দরুদ শরীফ সাত বার

(২) সুরা ফাতেহা সাতবার

(৩) আয়াতুল কুরসী সাতবার

(৪)সুরা কাফিরুন সাতবার

(৫) সুরা ইখলাস সাতবার

(৬)সুরা ফালাক সাতবার

(৭) সুরা নাস সাতবার

( ৮) পুনরায় দুরুদ শরীফ সাতবার

এ পদ্ধতি টি বর্ণনা করেন মুফতী জুনায়েদ আন্দহারী মুম্বাই।

প্রথমে সাতদিনের জন্য এই আমলগুলো করুন,, যদি সমস্যা না কমে আরও সাতদিন করুন । যদি এতেও না কমে,, তাহলে আরও সাতদিন বাড়িয়ে নিন।  ইনশা আল্লাহ একুশ দিন করলে আপনি সুস্থতা অনুভব করবেন। 


বন্ধুরা,, আশা করি ভিডিওটি আপনাদের ভালো লেগেছে,, ভিডিওটি ভালো লাগলে অবশ্যই একটি লাইক দিবেন,, এবং কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাবেন। 

আর আপনি যদি আমাদের চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকেন,, অবশ্যই আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবেন। 

  আল্লাহ তা”লা সব ধরনের জ্বিন,, জাদু ও বদনজরের কবল থেকে আমাদেরক  রক্ষা করুন।   এই প্রত্যাশায় আজকের ভিডিওটির এখানেই ইতি টানছি। আল্লাহ হাফেজ।