আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানি ও দয়ায় আপনারা সকলেই ভাল আছেন।
আজকের ভিডিওতে আমরা আলোচনা করবো,মহিলাদের তারাবীর নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে।
প্রিয় মা ও বোনেরা,,,
তারাবীহ নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। তারাবীহ নামায আদায়ে নারীদের আলাদা কোন নিয়ম নেই। পুরুষের মত-ই তারা মসজিদে না গিয়ে ঘরেই তারাবীহ নামায আদায় করে নেওয়া উত্তম।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদে যেতে বাধা দিও না। অবশ্য তাদের ঘরই তাদের জন্য উত্তম।
ইশার নামাযের ফরয চার রাকাত এবং দুই রাকাত সুন্নাত আদায় করে বিতর নামাযের আগে দুই দুই রাকাত করে ১০ সালামে ২০ রাকাত নামায আদায় করতে হবে।
তারাবীহ নামাযের নিয়ম বা যেভাবে আদায় করতে হবেঃ
আবারো বলি তারাবীহ নামায দুই দুই রাকাত করে পড়তে হয়। এক সালামে দুই রাকাত এভাবে ১০ সালামে ২০ রাকারত নামায পড়া সুন্নত।
প্রথমেই নিয়তঃ তারাবীহ নামাযের নিয়ত অন্যান্য নামাযের ন্যায়। অন্তরে শুধু সুন্নতে মোয়াক্কাদা তারাবীর নামাযের নিয়ত করে তাকবীর বলবে।
তাকবীরে তাহরিমা বলার পর বাঁ হাতের ওপর ডান হাত রাখুন। এরপর অনুচ্চৈঃস্বরে সানা বলুন।
উচ্চারণ : সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়াবি হামদিকা ওয়া তাবারা কাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা। (নাসায়ি, হাদিস : ৮৮৯)।
এরপর অনুচ্চৈঃস্বরে আউজু বিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম। এরপর বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ুন। (তাহাবি : ১/৩৪৭)।
এবার সুরায়ে ফাতিহা পড়ুন। শেষ হলে অনুচ্চৈঃস্বরে আমিন বলুন।
আমিন বলার পর আবার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ুন। সুরা ফাতিহা শেষ হলে একটি সুরা অথবা তিনটি ছোট আয়াত, যা কমপক্ষে লম্বা একটি আয়াতের সমতুল্য হয় পড়ুন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৬৯৫)।
অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যান। রুকুতে মাথা নিতম্বের বরাবর করুন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৭২৯)।
রুকুতে আঙুলগুলো ছড়িয়ে দিয়ে হাঁটু আঁকড়ে ধরুন। (মুজামে সাগির ২/৪৯৭)।
রুকুতে কমপক্ষে তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম পড়ুন। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪২)।
এবার রুকু থেকে উঠে সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে মাথা ওঠান। আবার অনুচ্চৈঃস্বরে শুধু রাব্বানা লাকাল হামদ বলুন।
এরপর তাকবীর তথা আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যান। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৭)।
সিজদায় কমপক্ষে তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পড়ুন। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪২)।
এরপর সিজদা থেকে ওঠার সময় সর্বপ্রথম মাথা উঠিয়ে উভয় হাতকে রানের ওপর রেখে স্থিরতার সঙ্গে বসে পড়ুন। এরপর তাকবীর বলে দ্বিতীয় সিজদা করুন। দ্বিতীয় সিজদায়ও কমপক্ষে তিনবার তাসবীহ পড়ুন।
অতঃপর সরাসরি তাকবীর বলে দাঁড়িয়ে যান। এ পর্যন্ত প্রথম রাকাত সম্পন্ন হলো।
এখন দ্বিতীয় রাকাত শুরু হলো। এতে হাত উঠাবেন না, ছানাও পড়বেন না, আউজু বিল্লাহও পড়বেন না। তবে আগের মতো সুরা ফাতিহা ও সঙ্গে অন্য একটি সুরা পড়ে রুকু-সিজদা করবেন।
দ্বিতীয় সিজদা শেষ করে তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়বেন। এরপর ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলতে বলতে ডানে এবং বাঁয়ে মাথা ফেরাবেন।
এভাবে আবার দুই রাকাত সম্পন্ন করুন। এভাবে চার রাকাত সম্পন্ন করার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার নামায শুরু করুন।
প্রিয় দর্শক আজকের ভিডিও এপর্যন্তই,,
মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে রমজানের পরিপূর্ণ হক আদায় করে, রোজা ও তারাবি আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আশা করি ভিডিওটি আপনাদের ভালো লেগেছে,, ভিডিওটি ভালো লাগলে অবশ্যই একটি লাইক দিবেন,, এবং কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাবেন।
আর আপনি যদি আমাদের চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকেন,, অবশ্যই আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবেন।
এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ,।
0 Comments