আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ,,,, সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানি ও দয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন। (True Search Bangla) ট্রু সার্চ বাংলা,,,,,,,, ইউটিউব চ্যানেলের আরো একটি নতুন এপিসডে আপনাদেরকে জানাই স্বাগতম। প্রিয় দর্শক আজকের ভিডিওতে আমরা আলোচনা করব দাজ্জাল সম্পর্কে ।
দাজ্জাল দেখতে কেমন হবে??? আপনি জানেন কি??? দাজ্জালের বর্তমান অবস্থান কোথায়??? এবং কিভাবে বন্দি আছে ???দাজ্জাল পৃথিবীতে কত বছর রাজত্ব করবে ??? এই সকল প্রশ্নের সঠিক তথ্য পেতে,, আমাদের পুরো ভিডিওটি দেখুন। তো চলুন ভিডিওটি শুরু করা যাক,,,,,,,,,
একটি দ্বীপে দাজ্জাল, ইহুদিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়ে গেছে!
দাজ্জালের সঙ্গে ইতিমধ্যে ইহুদিদের যোগাযোগ শরু হয়ে গেছে! বিষয়টি শুনতে বিস্ময়কর মনে হতে পারে এ কারণে যে, এ মুহুর্তে পৃথিবীতে দাজ্জালের অবস্থান কোথায় সুনির্দিষ্টভাবে কারো জানা নেই। তবে একজন শীর্ষ ইহুদি ধর্মযাজক দাবি করেছেন দাজ্জালের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে এবং সে শীঘ্রই আত্নপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।
চেইম ক্যানিভস্কি নামক ওই ইহুদি ধর্মযাজকের এ দাবি কতটুকু যোক্তিক তা রাসূল (সা.)এর একটি হাদীস বিশ্লেষণ করলে কিছুটা অনুমান করা যায়। মহিলা সাহাবি ফাতিমা বিনতে ক্বায়েস (রা.)বর্ণনা করেন। মুসলিম শরীফসহ কয়েকটি গ্রন্থে আসা বিখ্যাত সেই হাদীসটির সংক্ষিপ্ত হচ্ছে এই-
রাসূল (সা.) বলেন, ‘তামিম আদ-দারি ছিল একজন খ্রিস্টান। সে আমার কাছে আগমন করে ইসলাম গ্রহণ করেছে। সে একটি ঘটনা বর্ণনা করেছে, যা তোমাদের কাছে আমার বলা দাজ্জালের ঘটনার সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যায়।
তামিম আদ-দারি বলেছে, কিছু লোককে সঙ্গে নিয়ে আমি একবার সমুদ্রভ্রমণে বের হই। একসময় ঝড়ের কবলে পড়ে দিকভ্রান্ত হয়ে যাই। এক মাস পর্যন্ত সমুদ্রের ঢেউ আমাদের নিয়ে খেলা করতে থাকে। পরিশেষে, ঢেউ পশ্চিম দিকের একটি দ্বীপে আমাদেরকে নিয়ে পৌঁছায়। তারপর আমরা ছোট ছোট নৌকায় চড়ে দ্বীপের অভ্যন্তরে প্রবেশ করি। সেখানে এক বিশেষ প্রাণীর সন্ধান পাই। প্রাণীটি স্থূল ও ঘনচুলবিশিষ্ট। কথপকথনে সে জানাল, সে জাসসাসাহ (সংবাদ সংগ্রহকারী গোয়েন্দা)। বলল, তোমরা ওই ঘরের দিকে যাও সেখানে একজন তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সেখানে আমরা দীর্ঘকায় এক মানবকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেলাম। এমন ভয়ংকর মানুষ আমরা ইতিপূর্বে আর কখনও দেখিনি। তার হাত দু’টিকে ঘাড়ের সঙ্গে একত্রিত করে হাঁটু এবং গোড়ালির মধ্যবর্তী স্থানে লোহার শিকল দ্বারা বেঁধে রাখা হয়েছে।
সে শুরুতে আমাদের পরিচয় জানতে চায়। আমরা পরিচয় দিলে সে বলে, আমাকে তোমরা ‘বাইসান’ সম্পর্কে সংবাদ দাও। সেখানের খেজুর গাছগুলো কি এখনও ফল দেয়? আমরা জানাই, হ্যাঁ। সে বলে সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন গাছগুলোতে কোন ফল ধরবে না। এরপর সে বলল, আমাকে তাবরিয়া উপসাগর সম্পর্কে সংবাদ দাও। সেখানে কি এখনও পানি আছে? বললাম, প্রচুর পানি আছে। সে বলল, অচিরেই সেখানকার পানি শেষ হয়ে যাবে। সে আবার বলল, আমাকে যুগার কূপ সম্পর্কে সংবাদ দাও, সেখানে কি এখনও পানি আছে? বললাম, প্রচুর পানি রয়েছে। লোকেরা সে পানি দিয়ে চাষাবাদ করছে। আমাকে উম্মিদের নবি সম্পর্কে জানাও- সে প্রশ্ন করলে আমরা বলি, তিনি মক্কায় আগমন করে বর্তমানে মদিনায় হিজরত করেছেন। আরবরা কি তার সাথে যুদ্ধ করেছে? তার প্রশ্নের জবাবে আমরা বলি, হ্যাঁ। পার্শ্ববর্তী আরবদের উপর তিনি জয়লাভ করেছেন। ফলে তারা তাঁর আনুগত্য স্বীকার করে নিয়েছে। সে বলল, তার আনুগত্য করাই তাদের জন্য ভালো।
এরপর সে বলল, এখন আমার কথা শোনো- আমি হলাম দাজ্জাল। অচিরেই আমাকে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। আমি বের হয়ে চল্লিশ দিনের ভেতরে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করব। তবে মক্কা-মদিনায় প্রবেশ করা আমার জন্য নিষিদ্ধ থাকবে। এরপর রাসূল (সা.) সাহাবিদের লক্ষ্য করে বললেন, ‘তামিম আদ-দারির বর্ণনাটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তার বর্ণনা আমার বর্ণনার অনুরূপ হয়েছে। বিশেষ করে মক্কা ও মদিনা সম্পর্কে। শুনে রাখো! সে আছে সিরিয়ার সাগরে (ভূমধ্যসাগরে) অথবা ইয়েমেন সাগরে। না! বরং পূর্ব দিকে আছে, সে পূর্ব দিকে আছে। এই বলে তিনি পূর্ব দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন।’
এই ঘটনা থেকে এটা সুস্পষ্ট, দাজ্জালের জন্ম হয়েছে অনেক আগেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সময়েই সে ছিল। এ হাদীসটি বিশ্লেষণ করলে আমরা কিছু বিষয় ধারণা পাই। ইসলামগ্রহণের পূর্বে দাজ্জালের সঙ্গে সাহাবি তামিম দারি (রা.)এর সাক্ষাৎ হয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায় দাজ্জালের সঙ্গে সাক্ষাৎ সম্ভব। তার একজন গুপ্তচরকে সেখানে দেখা গেছে। আর গুপ্তচরের কাজই হচ্ছে তথ্যের আদান প্রদান। দাজ্জালের কথা থেকেও স্পষ্ট সে পৃথিবীর খবরাখবর রাখছে এবং তথ্য জানতে খুবই আগ্রহী।
আরেকটি হাদীস অনুযায়ী তার আত্মপ্রকাশ ঘটবে প্রচণ্ড রাগ থেকে। এ থেকেও অনুমান করা যায়, দাজ্জাল আগে থেকেই পৃথিবীর খবরাখবর সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট নিতে থাকবে। সে গায়েব জানে না। কোনো মাধ্যম ব্যবহার করেই তাকে আপডেট থাকতে হবে এবং আত্নপ্রকাশের প্রস্তুতি নেবে। দাজ্জাল যেহেতু ইহুদিদের নেতা সেহেতু ইহুদিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ঘটতে পারে এটি অস্বাভাবিক নয়। বাকী আল্লাহই ভালো জানেন। তাছাড়া বর্তমান বিশ্বের সবেচেয়ে প্রযুক্তি সক্ষম জাতি ইহুদি। ফলে এ সক্ষমতা তাদের দাজ্জালকে খুঁজে পেতে সহায়ক হতে পারে।
দাজ্জালের সঙ্গে ইহুদিদের যোগাযোগ হতে পারে কিনা???? এ নিয়ে কিয়ামত বিষয়ে ইসলামি গবেষক ও বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহিম বলেন, ‘দাজ্জাল ইতিমধ্যেই ইহুদি জাতিকে বুদ্ধি পরামর্শ দিতে শুরু করেছে পেছন থেকে। অর্থাৎ সে সামনে আসছে না কিন্তু কর্মকান্ড শুরু করেছে এবং আত্নপ্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় হলে সামনে এসেই ইহুদিদের নেতৃত্ব দেবে।’
সহিঃ মুসলিম কিতাবুল ফিতান সহি হাদিসের বিবরণ মতে,, দাজ্জালের জন্য মক্কা এবং মদীনা তে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
মক্কা-মদিনা ব্যতীত পৃথিবীর
সকল স্থানে প্রবেশ করবে।
অন্য একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়,, নবী করিম সাঃ বলেন, দাজ্জাল আসবে অবশেষে মদিনার একপাশে অবতরণ করবে। সেই সময় মদিনা তিনবার কেঁপে উঠবে। সেই সময়ে সকল কাফির এবং মুনাফিকরা এক জোট হয়ে তার কাছে চলে আসবে।
সহীহ বুখারী হাদিস সংখ্যা 7124
নবী করিম সাঃ বলেন ইস্পাহানের 70 হাজার ইহুদি দাজ্জাল কে অনুসরণ করবে।
তাদের সবার পরনে থাকবে সেলাইবিহীন কাপড়। সুপ্রিয় দর্শক এইছিল আমাদের আজকের ভিডিও। ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন।
আমাদের অন্য ভিডিও গুলো দেখুন আর এখনো যদি আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব না করে থাকেন তবে এক্ষুনি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বেল আইকনটি ক্লিক করুন। এতক্ষণ ধরে ভিডিওটি দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ
0 Comments