আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ,,,,
সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানি ও দয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন।
(True Search Bangla) ট্রু সার্চ বাংলা,,,,,,,, ইউটিউব চ্যানেলের পক্ষ থেকে আপমিাদেরকে জানাই অফুরন্ত ভালোবাসা।
প্রিয় দর্শক,,, কেমন হবে পৃথিবীর শেষ দিন ???ভাবতে পারছেন!!!
পৃথিবী ধ্বংসের পূর্বে কি ঘটবে?? কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে, বিশেষ আলামত অর্থাৎ দাজ্জালের আবির্ভাব,, হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের আগমন। আশ্চর্যজনক প্রাণীদের আত্মপ্রকাশ, সহ বড় বড় 10 টি আলামত প্রকাশিত হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,,, واذا وقع القول عليهم اخرجنا لهم دابه من الارض
تكلمهم ان الناس كانوا باياتنا لا يوقنون
অর্থাৎ,,, যখন প্রতিশ্রুত কিয়ামত সমাগত হবে,,, তখন আমি তাদের সামনে ভূগর্ভ থেকে একটি জীব,, দাব্বাতুল আর্দ নির্গত করব। সে মানুষের সাথে কথা বলবে,, একারণে যে, মানুষ আমার নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করত না। সূরা আনআম আয়াত 82।
দাব্বাতুল আর্দ প্রকাশ হওয়ার পরে,, বেশ কিছু বিস্ময়কর ঘটনা ঘটবে। যেমনঃ পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হবে,, ক্ষমার দরজা চূড়ান্তভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তখন কারও ইস্তেগফার ও তওবা কোন উপকারে আসবে না। এভাবে তিন দিন পশ্চিম আকাশে সূর্য উদিত হবে। এ সময় মানুষ আর একটি বিস্ময়কর ঘটনা অবলম্বন করবে,, গোটা আকাশ এক ধরনের ধোয়ায় ছেয়ে যাবে। ধোয়াটা চন্দ্র-সূর্য নক্ষত্ররাজি কে ঢেকে ফেলবে। এটা দেখে পথভ্রষ্টরা, কৃতকর্মের জন্য কান্না ও ক্ষমাপ্রার্থনা শুরু করবে। কিন্তু এসবে কোনো লাভ হবে না। আল্লাহ তা'আলা বলেন,, فارتقب يوم تاتي السماء بدخان مبين
يغشي الناس* هذا عذاب اليم
ربنا اكشف عنا العذاب انا مؤمنون
اني لهم الذكرى وقد جاءهم رسول مبين
অতএব সে দিনের অপেক্ষা করো,,, যেদিন আকাশ স্পষ্ট ধোঁয়ায় ছেয়ে যাবে। যা মানুষকে ঢেকে ফেলবে। এটা এক যন্ত্রণাদায়ক আযাব । তারা বলবে,, হে আমাদের প্রভূ,, আমাদের থেকে আজাব উঠিয়ে নিন। আমরা ঈমান আনছি। আযাবেএসে যাওয়ার পর ,,এখন তারা কিভাবে উপদেশ গ্রহণ করবে??? অথচ দুনিয়ায় তাদের কাছে স্পষ্ট বর্ণনাকারী রাসুল এসেছিল। সূরা আদ-দুখান আয়াত 10 থেকে 13।
সহীহ হাদীসে আছে,,,,, প্রাচ্যে,, পাশ্চাত্যে ও আরব উপদ্বীপে,, বিরাট তিনটি ভূমিকম্প দিয়ে মানুষদের পরীক্ষা করা হবে। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা ইয়েমেন থেকে শীতল বাতাস প্রবাহিত করে সমস্ত পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেবেন। এতে সকল মুমিনগণ মৃত্যুবরণ করবে। তখন মসজিদ ও কোরআন পাওয়া যাবে না। এমনকি কাবা ধ্বংস হয়ে যাবে। বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে আছে,, হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত,, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,, আবিসিনিয়ার িএক লোক,কাবাঘরকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলবে। তার উভয় পায়ের নলা ছোট ছোট হবে। সহি বুখারী ও সহীহ মুসলিম। ক “বাতে হজ্জ হবেনা। পথিক,, হারামের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় বলবে,, একটা সময়ে এখানে মুসলমানদের বসবাস ছিলো। পৃথিবীতে তখন শুধু পাপী ও কাফেরেরা জীবিত থাকবে। মুসলিম শরীফের হাদীসে আছে,,. হযরত আনাস বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবে না,, যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ বলবে,, আল্লাহ ,,আল্লাহ,, সহিহ মুসলিম। পৃথিবীতে তখন আল্লাহকে স্মরণ করার কোন লোক থাকবে না। পৃথিবীতে আল্লাহর কোন ইবাদত হবে না। মানুষ গাধায় পরিণত হবে। মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে। ন্যায়বিচার,, সত্যবাদিতা ও আমানতদারিতা উঠে যাবে। একে অপরকে হত্যা করবে। কিন্তু কেউ হত্যার কারণই জানে না। এ সময় ইয়েমেন থেকে এক প্রকারের আগুন বের হয়ে,, মানুষদের তাড়িয়ে নিয়ে, সিরিয়ার দিকে একটি ভূমিতে সমবেত করবেন। আল্লাহ ত “আলা হযরত ইসরাফিল আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রথম ফুৎকারের জন্য অনুমতি দেবেন। তখনই কিয়ামত সংঘটিত হবে ।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ فاذا نفخ في الصور نفخه واحده* وحملت الارض والجبال فدكتا دكه واحده
فيومئذ وقعت الواقعه
অর্থাৎ,,, যখন শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে ,একটিমাত্র ফুৎকার এবং পৃথিবী ও পর্বতমালা উত্তোলিত হবে। ও চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেওয়া হবে। সেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে। সুরা আল হাক্কা আয়াত 12 থেকে 15 । আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,,, اذان الديك الارض رجا وبست الجبال بسا অর্থাৎ,,, যখন পৃথিবী প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে। এবং পর্বতসমূহ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। সূরা আল ওয়াকিয়া,, আয়াত চার থেকে পাঁচ ।
মুসলিম শরীফের হাদীসে আছে ,,,প্রথম ফুৎকারে সব মানুষ ,,জিন ,,পশু,, পাখি মারা যাবে। প্রথম ও দ্বিতীয় প্রকারের মাঝে ব্যবধান হবে চল্লিশের। এটাকি 40 দিন??? নাকি 40 সপ্তাহ???নাকি 40 মাস??? তা জানা যায়নি।
এ 40 দিন পৃথিবীতে প্রচন্ড বৃষ্টি হবে। হযরত আদম আলাই সাল্লাম থেকে শুরু করে,, সব মানুষের শরীর অঙ্কুরিত হবে। ও সুসংগঠিত হবে। যখন মানব শরীরের আকৃতি পূর্ণতা পাবে ,,তখন আল্লাহ দ্বিতীয় প্রকারের আদেশ দেবেন।তখন মানুষ পুনরায় জীবন পাবে। কিয়ামতের অবস্থা স্বচক্ষে দেখবে। সকলেই হতভম্ব হয়ে চারদিকে দেখবে আর বলবে,, এটাই কি সেই পৃথিবী ???যেখানে আমরা ছিলাম?? সেদিনের ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ يوم تبدل الارض غير الارض والسماوات
و برزو الله الواحد القهار
অর্থাৎ,, সেদিন পরিবর্তিত করা হবে পৃথিবী কে অন্য পৃথিবীতে। এবং পরিবর্তিত করা হবে,, আকাশ সমূহকে । এবং লোকেরা পরাক্রমশালী আল্লাহর সামনে পেশ হবে। সুরা ইবরাহিম আয়াত 48।
অতএব,, সেদিন পাহাড়সমূহ ভেঙে পড়বে। নদী শুকিয়ে যাবে। সমুদ্র ফুলে ফেঁপে উঠবে। পৃথিবী মানুষের পরিচিত সেই পৃথিবীর মত থাকবে না । আকাশ কেউ আগের মত দেখা যাবে না। সবকিছুই অচেনা লাগবে। পালাবার কোন জায়গা থাকবেনা। হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালামের প্রথম ফুৎকারে,, পৃথিবীর প্রচন্ডভাবে কেঁপে উঠবে। পৃথিবীবাসী সকলেই মৃত্যুবরণ করবে। সাত আসমানের সকলকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। ,
শুধু হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম,, হযরত মিকাইল আলাইহিসালাম,, হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম ও মালাকুল মাউত জীবিত থাকবেন। হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম,, মিকাইল আলাইহিসালাম,,, ইসরাফিল আলাইহি সালাম ও মালাকুল মউতের মৃত্যুবরণ করার লোমহর্ষক কিছু ঘটনা হাদীসে পাওয়া যায়। আমরা চিন্তার খোরাক স্বরূপ সেগুলো থেকে কিছু চিত্র বর্ণনা করছি ,,,মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মালাকুল মাউত কে জিজ্ঞাসা করবেন,,, আর কে কে জীবিত আছে??? উত্তরে তিনি বললেন,, হে মাওলা,! আপনি এই ব্যাপারে অধিক জ্ঞাত।
জিবরাঈল,, মিকাঈল,, ইসরাফিল-আর এ নগণ্য বান্দা মালাকুল মাউত জীবিত আছে। আল্লাহ তাআলা তখন বলবেন,,, জিব্রাইলের কাছে যাও, এবং তার জান কবজ কর। মালাকুল মাউত জিব্রাইলকে রুকু অথবা সিজদা রত অবস্থায় পাবে। মালাকুল মাওত তাকে বলবে,,, হে মিসকিন!!! কিসে তোমাকে উদাসীন করে রেখেছে??? আল্লাহ তোমার জান কবজ করতে আমাকে আদেশ করেছেন। এটা শুনে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম কান্নাকাটি শুরু করবেও মিনতি করবে। হে আল্লাহ!!! আমার মৃত্যুর যন্ত্রণা সহজ করুন। অতঃপর মালাকুল মাউত জিব্রাইলকে আলিঙ্গন করবে। ভাবুন!!! যে ফেরেশতা কোনদিন আল্লাহর অবাধ্য হননি। তার অবস্থা যদি এমন হয় ,,তাহলে জান কবজের সময় আমাদের মত উদাসীন এর অবস্থা কি হবে??? আমরা খুব অল্পই মৃত্যুকে স্মরণ করি। হায়!!!!! এরপর আল্লাহ তাআলা মালাকুল মাউত কে জিজ্ঞাসা করবেন ,,,আর কে কে জীবিত আছে??? উত্তরে তিনি বলবেন,,, হে মাওলা আপনি এ ব্যাপারে অধিক জ্ঞfত। মিকাঈল,, ইসরাফিল-আর এ নগণ্য বান্দা মালাকুল মাউত জীবিত আছে। মহান আল্লাহ বলবেন ,,মিকাঈলের কাছে যাও,, এবং তার জান কবজ কর। মালাকুল মাউত মিকাইল আলাইহিসালাম কে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষমান পাবেন। অতঃপর তিনি বলবেনঃ কিসে তোমাকে উদাসীন করেছে ???মানুষ পশু-পাখি গাছ-পালা কারো জন্যই আর রাগ নেই বৃষ্টি দিয়ে আর কি হবে আমার প্রভু তোমার জান কবজ করার জন্য আমাকে আদেশ করেছেন ।
এটা শুনে মিকাইল আলাইহিসালাম কান্নাকাটি শুরু করবেন ওআরজি জানাবে যে আল্লাহ আমার মৃত্যুর যন্ত্রণা সহজ করে দিন। অতপর মালাকুল মাউত মিকাইল আলাইহিসালাম কে আলিঙ্গন করবেন। এরপর আল্লাহতালা মালাকুল মাউত কে জিজ্ঞাসা করবেন,, আর কে কে জীবিত আছে??? উত্তরে তিনি বলবেনঃ হে মাওলা আপনি এ ব্যাপারে অধিক জ্ঞfত। ইস্রাফিল আর আপনার নগণ্য বান্দা মালাকুল মাউত জীবিত আছে । আল্লাহ তাআলা বলবেন ,ইসরাফিলের কাছে যাও। এবং তার জান কবজ কর। মালাকুল মাউত ইসরাফিলের কাছে আসবেন। এবং বলবেন,, কিসে তোমাকে উদাসীন করেছে??? আমার প্রভু তোমার রুহ কবজ করার জন্য আমাকে আদেশ করেছেন। এটা শুনে ইসরাফিল আলাইহি সালাম কান্নাকাটি শুরু করবেন্ অনুনয় করবেন,, হে আল্লাহ আমার মৃত্যু যন্ত্রণা সহজ করে দিন। মালাকুল মাউত ইসরাফিল আলাইহি সাল্লামকে আলিঙ্গন করবেন।
এরপর মালাকুল মাউত,, জিনি সবার জান কবজ করেছেন,, তার মৃত্যুর পালা। আল্লাহতালা মালাকুল মাউত কে জিজ্ঞাসা করবেন,, আর কে কে জীবিত আছে??? উত্তরে মালাকুল মাউত বলবেনঃহে মাওলা !! আপনি আর আপনার এই দুর্বল বান্দা ছাড়া,, আর কেউ জীবিত নেই। আল্লাহ তাআলা বলবেন,, তুমি জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে দাড়াও। এবং মৃত্যুবরণ করো। মালাকুল মাউত জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে গিয়ে বিকট শব্দে চিৎকার দিয়ে মৃত্যুবরণ করবেন।
তখন যদি কেউ জীবিত থাকতো,,, তাহলে মালাকুল মউতের চিৎকারের শব্দ শুনে বেহুশ হয়ে যেত। আল্লাহু আকবার,, সুবহানআল্লাহ !!!!!!
অতঃপর আল্লাহ পৃথিবী কে প্রশ্ন করবেন,,, বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে আছে,,,হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত,, তিনি বলেন,, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা আকাশমণ্ডলী পেচিয়ে নিবেন। তারপর তিনি আকাশমন্ডলীকে ডান হাতে ধরে বলবেন,, আনাল মালিক ,,,,আমিই বাদশাহ। আইনা জাব্বা,,রু,,ন। কোথায় শক্তিশালী লোকেরা????আইনাল মুতাকাব্বিরুন,,,,, কোথায় অহংকারীরা???? এরপর তিনি বাম হাতে গোটা পৃথিবী গুটিয়ে নেবেন। এবং বলবেন,,,আমিই বাদশাহ,,,,, কোথায় অহংকারী লোকেরা????? কোথায় বড়ত্ব দাবিকারী লোকেরা??????
সহি বুখারী,, ও মুসলিম। তখন আল্লাহ তা'আলার ওই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো কোনো লোক থাকবে না। তখন আল্লাহ তায়ালা নিজেই নিজের প্রশ্নের উত্তরে বলবেনঃ فل لله الواحد القهار আজ রাজত্ব একমাত্র শক্তিধর আল্লাহর। এভাবেই একদিন পৃথিবীর ইতি ঘটবে। হে আল্লাহ আপনি আমাদের কিয়ামতের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করুন। এবং ঈমানের সাথে মৃত্যু দান করুন। আমীন!!! তো প্রিয় দর্শক যারা ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখেছেন,,, তারা কমেন্টে আমিন লিখে জানাবেন।
ইসলাম সম্পর্কে আরো জানতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের চ্যানেলটি।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের প্রত্যেককেই যেন সুস্থ রাখেন,, ভাল রাখেন। নিরাপদে রাখেন। এই কামনাই আজকের ভিডিওটির এখানেই সমাপ্তি। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু
0 Comments