Header Ads Widget

Responsive Advertisement

 বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ

বন্ধুরা আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি ও দয়ায় আপনারা ভালো আছেন।

আজকে খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। 

আশাকরি ভিডিওটি না টেনে শেষ পর্যন্ত দেখবেন। 

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মিরাজের রাতে জাহান্নামে এক মহিলাকে দেখলেন যে তাকে তার দ্বারা ঝুলন্ত অবস্থায় রাখা হয়েছে। অর্থাৎ তার জিব টেনে বের করে সেই জিহবার সাথে তার বেধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তখন সে মহিলা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাঃ জিবরাইল (আঃ) কে জিগ্যেস করলেন,

এই মহিলাকে কি কারনে শাস্তি দেয়া হচ্ছে? 

তখন জিবরাইল (আঃ) বললেন- এই মহিলাটি তার স্বামীর সাথে অশ্লীল ভাষায় কথা বলতো,এবং সে তার স্বামীকে কষ্ট দিতো। অর্থাৎ এর মুল কারন হচ্ছে মানুষের মুখের কথা এবং কাজ।

আমাদের মুখের এই কথার কারনে বিয়ের মতো  সুন্দর ও মজবুত বন্ধন ভেঙে যেতে পারে নিমিষেই। 

মুখের কথায় হয়তো শারিরীক কষ্ট পাওয়া যায় না কিন্তু মানসিক যে কষ্ট পাওয়া হয় তা তার হৃদয় ভেঙ্গে দেয়ার জন যথেষ্ট। এ কাজটি অনেক স্ত্রীই করে থাকেন। মাঝে মাঝে স্ত্রীরা এমন কথা বলে বসেন যার কারণে নিজের অজান্তেই স্বামীর মনে অনেক কষ্ট দিয়ে থাকেন।

তাই বন্ধুরা চলুন আজকের ভিডিওতে আমরা আলোচন করি যে ৫ টি কাজ বা কথা আপনি আপনার স্বামীকে ভুলেও কখনো বলবেন না, তাতে আপনার স্বামী বেশি কষ্ট পায়।

আর যদি স্বামী কষ্ট পায় তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

আর স্বামী যদি খুশি থাকে তাহলে তার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাঃ কি বলেছেন তা শুনুন-

তিরমিজি শরিফে আছে, এই হাদিসটি আপনি একবার মনোযোগ দিয়ে দেখে নিন, হযরত উম্মে সালমা রা. বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, যে মহিলা এমন অবস্থায় মৃত্যু বরন করবে যে  তার স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। 

তিরমিজি শরিফ হাদিস নং -১১৬১


তো চলুন আমরা এখন জানবো যে ৫ টি কাজ একদমই করা যাবেন।


১/ স্বামীর অর্থনৈতিক ব্যাপার নিয়ে কঠাক্ষ্য করা যাবে না।

সংসার এবং স্ত্রী চালানোর মতো অর্থ যদি পুরুষের না থাকে, তাহলে তিনি নিজে থেকেই অনেক বেশি মাত্রায় বিষন্ন এবং হতাস থাকেন নিজের জীবনের উপরে।

তার উপর আপনি যদি তার অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে কিছু বলে ফেলেন তাহলে তার আত্মবিশ্বাস ভেঙ্গে যায়। এবং তার নিজের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যায়।

মানসিক কষ্ট পেতে থাকেন অনেক বেশি।


২/  অন্য কারও সামনে স্বামীর কোন কিছু নিয়ে মজা করা যাবে না।

পুরুষরা এ কাজরি একেবারেই পছন্দ করেন না।

বরং এ কাজের জন্য অনেক বেশি কষ্ট পেয়ে থাকেন।

স্ত্রীর যতো কাছের মানুষই হোক না কেনো, স্বামীর যদি কোন বিষয় নিয়ে মজা করেন, তখন তা অনেক সময় মজার পর্যায়ে থাকেনা।

এবং এ ব্যাপারটা নিয়ে নিজেকে ছোট ভাবতে থাকেন অনেক স্বামী।

তাই এ কাজটি করে আপনি মজা পেলেও আপনার অজান্তে আপনার স্বামী অনেক কষ্ট পায়। 


৩/ স্বামীর কাজের ব্যাপারে কটাক্ষ করা। 

স্বামীর কাজের ব্যাপারে কটাক্ষ করা যাবে না।

আপনার স্বামী আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন বলে, আপনার জন্য কিছু করতে উৎসাহী হন।

কিন্তু আপনি যদি বারবার তার কাজের ভুল ধরিয়ে দেন,এবং তা নিয়ে কটাক্ষ করতে থাকেন

তাহলে তিনি তো কাজে উৎসাহ হারাবেনই,উপরন্তু তিনি বেশ কষ্ট পাবেন।

তার কাছে মনে হবে যে তিনি যাই করেন না কেনো আপনার কাছে তার কোন মুল্য নেই।

তাই স্বামী যা করেন তার প্রশংসা করুন।

আর স্বামী যদি কোন ভুল কাজ করে ফেলেন তা নিয়ে কটাক্ষ করার কিছু নেই।

তাকে বুঝিয়ে তার ভুলটা ভালো করে ধরিয়ে দিন।


৪ / স্বামীর সব ব্যাপারে অভিযোগ করবেন না।

সবকিছুর ব্যাপারে যদি স্বামীর কাছে অভিযোগ করতে থাকেন, তাহলে তিনি মনে অনেক বেশি কষ্ট পেতে থাকবেন।

কারন আপনার অভিযোগে তিনি নিজেকে অনেক বেশি ছোট ভাবতে থাকেন।

এবং নিজের আত্মবিশ্বাস হারাতে থাকেন যে তিনি হয়ত আপনাকে সুখে রাখতে পারছেন না বলেই তো আপনার হয়ত এতো অভিযোগ। 

আর এই ব্যাপারটি তাকে অনেক কষ্ট দেয়।


৫ / ছোট বড় সকল ব্যাপারেই দোষারোপ না করা

হয়ত রাগ উঠলে অনেক স্ত্রী মুখ ফসকে বলে ফেলেন এই অবস্থার জন্য তুমি দায়ী, এই কথাটি আপনার স্বামীর মনে গভীর আচর কাটে।

ছোট বড় সকল ব্যাপারে আপনি যদি তাকে দোষারোপ করতে থাকেন,তিনি অনেক বেশি হাতাস হয়ে পরবেন। কারন তিনি তখন ভাবতে থাকেন যে তিনি হয়ত আপনার জন্য কিছুই করতে পারছেন না।

এই কষ্ট নিয়ে তিনি চলেন একেবারেই। 


তাই প্রিয় বন্ধুরা আপনি আপনার স্বামীকে ভুলেও এই ৫ টি কথা অথবা এই ৫টি কাজ কটে অযথা কষ্ট দেবেন না। তা না হলে পরে আপনার উপর অভিশাপ নামতে পারে। আবার আমাদের স্বামীদেরও মনে রাখতে হবে,একটা নেককার পরহেজগার নারী জীবনের সবচেয়ে বেশি ভরশা বিশ্বাস ভালোবাসা ও সব কিছুই থাকে তার স্বামীর জন্য। 

কিন্তু সেই স্বামীই যখন স্ত্রীর কাছে সাংসারিক শারিরীক মানসিক সকল চাহিদা পুরণ করার পরেও যদি স্ত্রী কে কষ্ট দেয়, কিংবা বিবাহ বহির্ভূত অন্য কোন নারীর সাথে পরোকিয়ায় লিপ্ত হতে থাকে কিংবা প্রবাসে থেকে মহিলাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে,  তাদের জন্য দুনিয়া আখেরাতে অর্থাৎ দোজাহানেই রয়েছে শাস্তি। 

দুনিয়ার শাস্তি হিসেবে,,৷ যে পুরুষ এই সব ইসলাম বহির্ভূত কাজ করবে সে কখনোই মানসিক শান্তি পাবে না।  হয়ত সাময়িক ভাবে সে নিজেকে সুখি ভাববে। কিন্তু একটা সময় সে এমন মানসিক যন্ত্রণার মুখামুখি হবে,তা নিরাময়ে দুনিয়ার কোন ঔষধ কাজ করবে না। আর একটা দুনিয়াবি শাস্তি হলো সে পুরুষ হঠাৎ মৃত্যু বরণ করবে।

এবং যে কোন সময় পুর্ব অনুমান ছাড়াই কঠিন কোন বিপদ দুর্ঘটনায় পরবে। তাই যে সব পুরুষ পরনারীতে আকৃষ্ট বা পরোকিয়ায় জরিত কিংবা পরকীয়ার সুযোগ খুজছেন।তাদের প্রতি মহান আল্লাহ তালার সরাসরি বাণি হলো..

আল্লাহ তালা বলেন, তোমরা ব্যাভিচারের নিকটবর্তী হয়োনা। এটা অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ। 

সুরা বনিইসরাইল আয়াত ৩২


এছাড়াও এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাঃ তার কঠিন সাবধানি বানি শুনিয়েছেন। 

তিনি বলেন হে মুসলমানগন তোমরা ব্যাভিচার পরিত্যাগ করো,

কেননা এর ৬ টি শাস্তি রয়েছে। 

এর মধ্যে ৩ টি দুনিয়াতে এবং ৩ টি আখিরাতে প্রকাশ পাবে।


যে ৩ টি শাস্তি দুনিয়াতে হয় তা হচ্ছে তার চেহারার উজ্জ্বলতা বিনষ্ট হবে

তার আয়ুষ্কাল সংকীর্ণ হয়ে যাবে।

এবং তার দারিদ্র্যতা চিরস্থায়ী হবে।


আর যে ৩ টি শাস্তি আখেরাতে প্রকাশ পাবে তা হচ্ছে 

আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট থাকবেন

তার হিসাব কঠিন হবে এবং জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে

হাদিস নং ৫৬৪

হযরত সাহল ইবনে সা'দ রা. থেকে বর্ণিত 

রাসুলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন যে ব্যাক্তি মুখ ও লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে এবং এর জামিনদার হবে, আমি তার বেহেশতের জামিনদার হবো।

সুবহানাল্লাহ বুখারি শরিফ হাদিস নং ৭৬৫৮

এ ক্ষেত্রে শয়তান কর্তৃক প্ররোচিত হয়ে অনেক স্ত্রী কেও দেখা যায় পরপুরুষ বা দেবরের সাথে জমে ওঠে পরকীয়া। 

ইসলাম দেবরের সাথে দেখা করার লাগাম কেও টেনে ধরেছে। হযরত উকবা ইবনে আমর র. থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন সাবধান তোমরা নির্জনে নারীদের কাছে যেয়োনা।

এক আনসারি সাহাবি বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ সাঃ দেবরের সম্পর্কে আপনার নির্দেশ কি?

তখন নবি করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন দেবর তো মৃত্যুর সমতুল্য। 

মুসলিম শরিফ হাদিস নং ২৪৪৫

এই হাদিসের ব্যাক্ষায় হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি  ফাতহুল বাড়িতে লিখেছেন এখানপ মৃত্যুর সমতুল্য এর অর্থ হলো হারাম।

আর ইসলামে এসবের শাস্তি ভয়াবহ। 

এসবের শাস্তি হিসেবে রজম ও দোররার নির্দেশ এসেছে হাদিসে। 

যাতে করে কোন নারী বা পুরুষ এ ধরনের ভয়াবহ কর্মে লিপ্ত না হয়।

তো প্রিয় দর্শক শ্রোতা আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করলাম।

Post a Comment

0 Comments