Header Ads Widget

Responsive Advertisement

পুলসিরাত অতিক্রমে আপনি সাহায্য পাবেন ! দুনিয়াতে যে কাজ গুলো করে গেলে। কাজ গুলো কি ?

 আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি  ওয়াবারাকাতুহ।









প্রিয় দর্শক ,,

আল্লাহ্‌ কোরআন এবং হাদীসে পুলসিরাত সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছেন। এবং সকল মুসলিম এই পুলসিরাতকে বিশ্বাস করে। এটি জাহান্নামের উপর দিয়ে একটি ব্রীজ বা পুল। মু’মিনগণ তা পার হয়ে জান্নাতে পৌঁছে যাবে। নবী (সঃ) এই ব্রীজের বিবরন দিয়েছেন, যে এর পথ এমন পিচ্ছল হবে যে পা স্থির রাখা যাবে না। দুই পাশে এমন কিছু থাকবে যা ছোঁ মেরে নিবে এবং লোহার আকুড়া থাকবে এবং “সদান” নামক গাছের কাঁটার মত শক্তিশালী কাঁটা থাকবে এগুলো মাষের গোস্ত ছিঁড়ে নিবে। পুলসিরাত চুলের চাইতেও চিকন ও তরবারীর চাইতে ধারালো হবে। এ সময় মু’মিনদেরকে তাদের আমল অনুসারে আলো দেয়া হবে। আর যার আমল সবচেয়ে কম হবে তার আলো হবে অতি ক্ষুদ্র যা তার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির এক পাশে থাকবে। ঐ আলোর রশ্মিতে তারা পুলসিরাত পার হবে। মুমিন ব্যক্তি কেউ চোখের পলকে কেউ বিদ্যুতের বেগে কেউ ঝড়ের বেগে, পাখির মত, দ্রুতগামী ঘোরার মত, সাধারণ সোয়ারীর মত পুলসিরাত অতিক্রম করবে। তাদের মধ্যে কিছু নিরাপদে পৌঁছাবে, কারও শরীরের গোস্ত ছিঁড়ে যাবে এবং কেউ আবার জাহান্নামে পড়ে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম)


কিন্তু মুনাফিকরা কোন আলো পাবে না। তারা মু’মিনদের কাছে আলো ভিক্ষা চাইবে। তাদেরকে বলা হবে পিছনে গিয়ে আলো খুজতে। আলোর খোঁজে ফিরে গেলে তাদের ও মু’মিনদের মাঝে একটি দেয়াল খাড়া করে দেয়া হবে। তারপর তারা পুলসিরাত পার হওয়ার চেষ্টা করলে জাহান্নামের মধ্যে গিয়ে পরবে।


আল্লাহ্‌ বলেন, “তোমরা প্রত্যেকেই ওটা (পুলসিরাত) অতিক্রম করবে এটা তোমার প্রতিপালকের অমোঘ সিদ্ধান্ত”। (সূরা মারিয়াম আয়াত-৭১)


এ সম্পর্কে রাসূল (সঃ) বলেন, “জাহান্নামের উপর একটি রাস্তা হবে, সমস্ত রাসূল ও নবিগনের পূর্বে আমি উম্মত সহ তা অতিক্রম করব। এ সময় নবিগন “হে আল্লাহ্‌ নিরাপদ রাখো”, “হে আল্লাহ্‌ নিরাপদ রাখো” বলতে থাকবেন, কিন্তু আর কেউ অন্য কোন কথা বলতে পারবে না। (বুখারী, মুসলিম


পুলসিরাত পার হতে হলে আমাদের করণীয় কি কিঃ


* অবশ্যই আল্লাহ ও তার রাসুল (সা) উপর ঈমান আনতে হবে, আখিরাতকে বিশ্বাস করতে হবে।

* আমৃত্যু পাঁচ ওয়াক্ত নামায অবশ্যই পড়তে হবে।

* রমযান মাসে রোযা রাখতে হবে।

* যাকাত প্রদান করতে হবে।

* হজ্জ ফরজ হলে হজ্ব পালন করতে হবে।

* হালাল উপার্জন করতে হবে ও হারামকে বর্জন করতে হবে।

* সুদ, ঘুষ, দুর্ণিতি থেকে নিজেকে ও পরিবারকে রক্ষা করতে হবে।

* আত্বীয়-স্বজনের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বিপদাপদে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে।

* সর্বোপরি কোরআন ও হাদিসের আলোকে জীবনকে পরিচালিত করতে পারলেই পুলসিরাত পার হওয়া যাবে।

হে আল্লাহ ! আমাদেরকে সঠিক পথে চলার তওফিক দান করুন।


Post a Comment

0 Comments