আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ।
এক চামচ খাবার 100 বছরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করবে।
প্রিয় দর্শক ঃ
আজকে আমি এমন দুটি সুলভ খাবার আপনাদের কে চিনিয়ে দেবো। যে দুটি খাবার দৈনিক ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে দেবে ইনশাল্লাহ।
আমাদের শরীরের 99 পার্সেন্ট ক্যালসিয়াম সংরক্ষিত হয় হার এবং দাতে। বাকি এক পার্সেন্ট পাওয়া যায় রক্ত ,পেশি এবং কোষীয় তরণে ।
দেখুন!! সকালে উঠতে অনেকেরই কষ্ট হয়, বা কোমরে ব্যথা হয়। বুঝে নিবেন আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পরেছে। আর যখনই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি ভাবি ,,তখনই আমরা মাছ, মাংস ,দুধ ,ডিম এগুলো খেতে থাকি। আসলে কি সত্যিই এই খাবারগুলো সরাসরি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে পারে ???একটা কথা বলে রাখি । ক্যালসিয়ামের সংকট তৈরি হলে ,,ক্যালসিয়ামের ঘাটতি তৈরি হলে, চুল এবং মুখের সমস্যা কিন্তু শুরু হয়ে যায় । এমনকি ত্বকের সজীবতাও নষ্ট হয়ে যায়, ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে। মনে রাখবেন !! ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয় পেশী সংকোচন এর মাধ্যমে । অঙ্গের চালনে, হৃদপিন্ডের সংকোচন ,রক্ত জমাট বাধায় হরমোনের নিঃসরণ এবং এনজাইম তৈরিতে। এবং স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে বার্তা পাঠাতে কাজ করে ক্যালসিয়াম । বিভিন্ন বয়সের মানুষের ক্যালসিয়ামের চাহিদা ও কিন্তু বিভিন্ন রকম হয়।
যেমনঃ 1 থেকে 9 বছর বয়সের বাচ্চার দৈনিক ৬00 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা প্রয়োজন। 10 বছর বা তার চেয়ে বেশী বয়সী শিশুদের দৈনিক ৮00 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা প্রয়োজন । কিশোর অবস্থা পর্যন্ত এ পরিমাণ ক্যালসিয়াম এর প্রয়োজন । কিন্তু পরে স্বাভাবিক নারী ও পুরুষের দৈনিক 600 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা প্রয়োজন। গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধি পায় গর্ভবতীও দুধপান করান, এমন নারীদের ক্ষেত্রে। গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির জন্য এবং বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য, তাদের দৈনিক 500 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা প্রয়োজন। বেশিরভাগ মানুষই ক্যালসিয়ামের জন্য গরুর দুধ পান করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে ননীযুক্ত এবং পাস্তুরিত দুধে উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম থাকে,, কিন্তু এটি সঠিকভাবে শরীরে শোষিত হয় না, বা ব্যবহৃত হয় না । এছাড়াও প্রায়ই দুধে গবাদিপশুর বৃদ্ধিতে অ্যান্টিবায়োটিক এবং ট্যানারি বর্জ্য ব্যবহার করা হয় বলে দুধের গুণাগুণ ও আস্তে আস্তে নষ্ট হচ্ছে।
প্রিয় দর্শক,, আজকে আমি এমন দুটি সুলভ খাবার আপনাদের কে চিনিয়ে দেবো। যে দুটি খাবার দৈনিক ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে দেবে ।
এক নম্বর হচ্ছে তিল, দুই নম্বর হচ্ছে কাঠ বাদাম।
প্রম্ন হচ্ছে ঃ খাবেন কিভাবে?? এক চামচ সাদা তিল আছে ৮৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে 1 টেবিল চামচ সাদা তিল মিশিয়ে নিন এবং পান করুন। যদি সেভাবে খেতে ভালো না লাগে সরাসরি মুখে ঢুকিয়ে দিয়ে অনেকক্ষণ চিবিয়ে তারপরে গিলে ফেলুন। পানি পান করুন। এতেও আপনার দৈনন্দিন ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।
এরপরে আপনি 4 পিস কাঠবাদাম 20 থেকে 25 মিনিট ভিজিয়ে উপরের খোসা ছাড়িয়ে নিন ।এবং কাঠ বাদামগুলো খেয়ে নিন । অনেকে মনে করেন কাঠবাদাম দুধের সাথে মিলিয়ে খেতে হয়,,কিন্তু কাঠবাদাম আপনি প্রতিদিন সকালে এমনিতে খেলে উপকার পাবেন। কাঠবাদাম এবং সাদা তিল শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করে । এতে আপনার দৈনন্দিন ক্যালসিয়ামের চাহিদা একটা বড় অংশ পূরণ হবেই। সাথে সাথে পাঁচ থেকে সাত দিন নিয়মিত খাবারের পরে ক্যালসিয়াম ঘাটতি জনিত হাড়ের ব্যথা বা জয়েন্টের ব্যথা উপশম হবে। চুল পড়া কমবে এবং আপনি কাজে অনেক বেশী উদ্যমী হতে পারবেন। শারীরিক ক্লান্তি ভুলে উৎফুল্ল মনে কাজ করতে পারবেন। তাই আজ থেকে সাদা তিল এবং কাঠ বাদাম খেতে শুরু করে দিন।
0 Comments