আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা,,
আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে ভালো আছেন । আজকের এই ভিডিওতে এমন তিনজন নারীর কথা বলব, যারা স্ত্রী হয়ে কারো ঘরে গেলে সে ঘরের সুখ শান্তি নষ্ট করে দেয়। এবং স্বামীর জীবনে দুঃখ কষ্ট বয়ে আনে। তবে অনেকে আছে যারা পরিবর্তন হয়ে যায়। আর অনেকেই পরিবর্তন হয় না । তবে পরিবর্তন হয়ে যাওয়াই উত্তম স্ত্রীর লক্ষণ ।
প্রিয় দর্শক ,,
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যে সকল নারীদের মধ্যে ইসলামিক কোন জ্ঞান থাকেনা, তারাই এমন হয়ে থাকে।
যে তিন প্রকার নারী স্বামীর জীবনে দুঃখ কষ্ট ছাড়া সুখ দিতে পারেনা,,,
তারা হলঃ এক নাম্বার ঃ স্বার্থপর স্ত্রী,,
স্বামীর কথা চিন্তা করে না । স্বামীর অবস্থার কথা ভাবেনা। কি পেলো কি পেলো না সে কথাও চিন্তা করে না। স্বামীর কাছে টাকা আছে কিনা সেই খবর রাখে না। শুধু নিজের ইচ্ছা, চাওয়া-পাওয়া পূরণ হলেই খুশি হয়। স্বামীর কষ্ট বা স্বামীর পরিবারের কষ্টের কথা বোঝার চেষ্টাও করে না। বা বুঝতে পেরেও না বোঝার ভান করে।
স্বার্থ পূরণের জন্য তৎপর থাকে। এমন স্ত্রী স্বামীর জীবনে কষ্ট বয়ে আনে।
স্ত্রীর চাওয়া-পাওয়া পূরণ করা স্বামীর দায়িত্ব । তবে তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী স্বামীর স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্ত্রী যদি স্বার্থসিদ্ধির জন্য জোর করে তাহলে সেটা অন্যায় হবে ।আর এমন স্ত্রীকে স্বার্থপর স্ত্রী বলা হয়।
দুই নাম্বার হলোঃ নাফরমান স্ত্রীঃ
যে নারী স্বামীর কথা মত চলে না। তাকে অবাধ্য স্ত্রী বা নাফরমান স্ত্রী বলা হয়।
যে স্ত্রী অবাধ্য হয় তার স্বামীর জীবনে খুব কষ্ট হয়। স্বামীকে নিজের কথা মতো চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু নিজে স্বামীর কথা মত চলে না। নাফরমান স্ত্রী জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। এ মর্মে একটি হাদীস রয়েছে,,,নবী সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয় । আমি দেখি তার অধিবাসীদের বেশিরভাগ নারী জাতি। কারণ তারা কুফরী অর্থাৎ নাফরমানি করে। জিজ্ঞেস করা হল ঃ তারা কি আল্লাহর সঙ্গে কুফরি বা নাফরমানি করে?? নবীজী বললেন তারা স্বামীর অবাধ্য হয় । এবং অকৃতজ্ঞ হয়,,নাফরমান হয়। তুমি যদি দীর্ঘদিন তাদের কারও প্রতি ইহসান করতে থাকো ,,অতঃপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখতে পেলেই বলে ফেলবে,,,,আমি কখনো তোমার নিকট হতে ভালো ব্যবহার পাই নি।
অর্থাৎ স্বামী সারা জীবন যে স্ত্রীর দেখাশোনা করেছে. কোন কারণে যদি কখনো ত্রুটি হয়ে যায়,, আর স্ত্রী বলে আমি কোনদিন সুখ পেলাম না। কখনো কিছু পেলাম না। ইত্যাদি বলে। তাহলে সেই নারী জাহান্নামী হবে। তাই স্বামীর দুঃখের কথা,, কষ্টের কথা অবশ্যই বুঝতে হবে ।যদি কিছু চাওয়ার থাকে ,স্বামীকে ভালোবেসে বলতে হবে। স্বামীর সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই দেবে।
তিন নাম্বার হলোঃ পরকীয়ার সঙ্গে যুক্ত স্ত্রী।
পৃথিবীর নোংরা কাজের মধ্যে একটি কাজ হলো পরকীয়া করা । পরকীয়া সংসারে অশান্তির ঝড় বয়ে আনে। সংসার থেকে বরকত কমিয়ে দেয়। বালা-মুসিবত বয়ে আনে। অভাব-অনটন বয়ে আনে। পরকীয়া নারী নিজের ইহকাল ও পরকাল ধ্বংস করে দেয়। এবং স্বামীর জীবন কে নষ্ট করে দেয়। স্বামীর দায়িত্ব হলো স্ত্রীকে পরকীয়া থেকে দূরে রাখা । এরপরও যদি পরিবর্তন না হয় ,,তাহলে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা করে,, দুজনে আলাদা হয়ে যাওয়া বা যেটা ভালো হবে সেটা করা। আল্লাহতালা আমাদের সঠিক বুঝার তৌফিক দান করুন। আমীন ।
0 Comments