Header Ads Widget

Responsive Advertisement

শত্রু ও খারাপ জ্বীনের আক্রমন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে! শরীর বন্ধ করার দোওয়াটি শিখুন!

 আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

সুপ্রিয় হিদায়াহ বাংলার দর্শক মন্ডলী ,,আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন।



প্রিয় দর্শক ,,

আজকে আপনাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানাবো, যে বিষয়গুলো জানলে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আপনাকে যাবতীয় বিপদ থেকে রক্ষা করবেন।  শত্রু থেকে, খারাপ মানুষ থেকে ,বিভিন্ন খারাপ প্রাণী থেকে, যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে আল্লাহ তাআলা আপনাকে হেফাজত রাখবেন।                                              

একবার ভেবে দেখুন, আমাদের প্রতিনিয়ত চারপাশ থেকে বিপদ ঘিরে ধরে আছে।  পৃথিবীতে যেদিন থেকে আপনার জন্ম হয়েছে, মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত যে কোন মুহূর্তে যে কোন বিপদে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন।  এর জন্য রাসূল সাঃ আমাদেরকে শিখিয়েছেন অসংখ্য কোরআন হাদিসের আমল।                               

প্রিয় দর্শক ,,এটা হচ্ছে শরীর বন্ধ রাখার আমল । শরীর বন্ধ করতে বোঝানো হচ্ছে, যে দোয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরকে যাবতীয় আসমানি, জমিনি বালা মুসিবত থেকে,, শয়তানের এবং মানুষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবেন।  সুবহানাল্লাহ!!!! এই শরীর বন্ধ করার আমল যদি আপনি করেন, তাহলে আপনার ক্ষতির জন্য কোন যাদুবিদ্যা কাজে আসবে না।  এবং কেউ যদি আপনার উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে চায় ,তাও কোন কাজে আসবে না ।                                  শরীর বন্ধ আমাদের প্রত্যেকেরই করা উচিত।  অনেক সময় শত্রুদের কারণে আমরা অনেক বিপদে পড়ে যাই।  আমরা যদি শরীর বন্ধ করে রাখি ,তাহলে আল্লাহ পাক আমাদের শরীর বন্ধ রাখার উছিলায় হেফাজত করবেন।                                        


প্রিয় দর্শকঃ আল্লাহ তায়ালা আমাদের উছিলা খোঁজেন।  আপনি কোন উছিলায় আল্লাহকে কিভাবে স্মরণে রাখছেন? এ বিষয়গুলো আল্লাহপাক দেখেন।  যার কারণে আপনি যদি শরীর বন্ধ রাখেন ,তাহলে ফেরেশতা দিয়ে আল্লাহ তাআলা আপনাকে সহায়তা করবেন।                                                                                                    দর্শকঃ চলুন জেনে নিই আমরা কিভাবে আমাদের শরীর বন্ধ করব?                  


যখন আপনি শরীর বন্ধ করতে চাইবেন, তখন আপনি যেকোন ফরজ নামাজের পর মাথায় ডান হাত দিয়ে 11 বার এই দোয়াটি পড়ে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সিফাতি নাম ইয়ানূরু,হে  নূরান্বিত খোদা !!এখানে রব্বুল আলামীনের এই নামটি দিয়ে আপনি সাহায্য চাইবেন।  অথবা দুটি বৃদ্ধা আঙ্গুলে ফু দিয়ে চোখ বুঝে নিবেন।  অতঃপর উক্ত বৃদ্ধাঙ্গুল দ্বারা মাথা পর্যন্ত মাসেহ করবেন। এবং আয়াতুল কুরসি পড়বেন।  তাহলে আপনার নিজের শরীর বন্ধ হয়ে যাবে।  আর যদি অন্য কারো শরীর বন্ধ করতে চান ,বা কোন বাচ্চা বেশি কান্নাকাটি করে ,আপনার মনে হচ্ছে তার আচরণ স্বাভাবিক নয় ,অথবা কোন বাচ্চা ভীত-বিহবল আছে, তাহলে আপনি তার শরীর বন্ধ করার জন্য ,কোরআন শরীফের শ্রেষ্ঠ আয়াত আয়াতুল কুরসি পড়ে ফু দিবেন।  এতে শরীর বন্ধ হয়ে যাবে।

তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনি নিজের শরীর বন্ধ করেন ,অথবা অন্যের শরীর বন্ধ করেন, এর মেয়াদ থাকবে এক নামাজ থেকে আরেক নামাজ পর্যন্ত।  অর্থাৎ আপনি ফজরের সময় শরীর বন্ধ করলে, যোহরের সময় তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।  অথবা যোহরের সময় বন্ধ করলে আসরের সময় তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।  বা আপনার বন্ধ শরীর আবার আগের রূপে খুলে যাবে।  তবে যারা পড়তে পারেন না, তারা ফজরের সময় পড়লে সারাদিন থেকে যাবে।  আবার মাগরিবের সময় হলেও সারারাত থেকে যাবে ।                                           

এই আমলটি আপনারা করুন ইনশাআল্লাহ শরীর বন্ধ হয়ে যাবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা যাবতীয় বিপদ আপদ বালা মুসিবত থেকে রক্ষা পাবেন।  ইনশাআল্লাহ ।


Post a Comment

0 Comments