Header Ads Widget

Responsive Advertisement

পানি পড়ার দোয়া | শরীরের সকল রোগ ভাল হবে। নববী চিকিৎসা |রোগ মুক্তির ওজিফা

 


আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

সুপ্রিয় হিদায়াহ বাংলার দর্শক মন্ডলী ,,আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন।



প্রিয় দর্শক ,,

আল্লাহ মানুষকে যেমন সুস্থ রাখে, তেমন রোগ-বালাইও দেয়। অনেক সময় পরীক্ষা নেয়ার জন্যও আল্লাহ মাদের রোগ দিয়ে থাকেন যেন আমরা আল্লাহকে মনে করি। ভুলে না যাই। এছাড়াও বিপদ-আপদে আল্লাহকে কতটুকু মনে রাখছি এটাও আল্লাহ দেখেন। রোগ হলে হয়তো সর্বপ্রথম আমরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু যিনি আমাদের রোগ দিয়েছেন, তার কাছে একবার হলেও কী আমরা রোগমুক্তির জন্য সাহায্য চেয়েছি? ডাক্তার তখনই আমাদের সাহায্য করতে পারবে যখন আমরা আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই। তিনিই অসুখ সারানোর উছিলায় ডাক্তার দিয়েছেন।


কুরআনে এমন কিছু আয়াত আছে যেগুলো বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির জন্য শিফা স্বরূপ। তাই এ সব আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে রোগ থেকে মুক্তি  চাওয়া উচিৎ। রোগ থেকে মুক্তি লাভে পূর্ব শর্ত হচ্ছে আল্লাহর বিধানকে জানা এবং যথাযথ মানার পাশাপাশি পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস রাখা।


কুরআনুল কারিম। যার প্রতিটি অক্ষর, শব্দ ও বাক্য ফজিলত ও বরকতে ভরপুর। এ আসমানি কিতাবের প্রথম সুরা এমনি এক ফজিলত ও বরকতময় সুরা। যা প্রতিটি মানুষের জন্য গুরত্বপূর্ণ দোয়া ও রোগ থেকে মুক্তির শেফা।


রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়ত লাভের একেবারেই প্রথম দিকে পুরো সুরাটি একসঙ্গে নাজিল হয়। যে সুরা পড়া ছাড়া মুমিনের নামাজ হয় না। এ সুরাটি পবিত্র কুরআনের ভূমিকাও বটে।


মুমিন মুসলমানের জন্য এ সুরাটি হচ্ছে দোয়া। যে কোনো ব্যক্তিই কুরআন পড়া শুরু করলে আল্লাহ তাআলা তাকে প্রথমেই এ দোয়াটিই শিখিয়ে দেন। আর এ কারণে সুরাটিকে কুরআনুল কারিমের প্রথম সুরা হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে।


মানুষের যে জিনিসের আকাঙ্খা সবচেয়ে বেশি থাকে, সে জিনিস লাভের প্রার্থনাই বেশি করে থাকে। দুনিয়াতে মানুষের সবচেয়ে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাহলো হেদায়েত ও সঠিক পথ পাওয়া। আর তা পেতে হলে প্রয়োজন কুরআন অনুযায়ী জীবন গড়া। কুরআনের নেয়ামত লাভের দোয়াই হলো এ সুরা।


সুরা ফাতেহা সব রোগের মহৌষধ। এটি মানুষের রোগ-ব্যধিতে অনেক বড় শেফা-

- হজরত জাফর সাদেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, সুরা ফাতেহা ৪০ বার পাঠ করে পানির ওপর দম করে কোনো জ্বরে আক্রন্ত লোকের মুখমণ্ডলে ছিঁটিয়ে দিলে, এর বরকতে জ্বর দূরীভূত হয়ে যাবে।

- ফজরের নামাজের সুন্নত ও ফরজ নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে ৪১ বার এ সুরা পাঠ করে চোখে ফুঁ দিলে চোখের ব্যথা দূর হয়।

- শেষ রাতে এ সুরা ৪১ বার তেলাওয়াত করলে আল্লাহ তাআলা রিজিক বাড়িয়ে দেন।

- এ সুরা ৪০ দিন নিয়মিত তেলাওয়াত করে পানিতে ফুঁ দিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে পান করালে আল্লাহ অসুস্থতা দূর করে দেবেন।

- দাঁত, পেট ও মাথা ব্যথার জন্যে সুরাটি ৭ বার তেলওয়াত করে ফুঁ দিলে আল্লাহ এ ব্যাথ্যা থেকে মুক্তি দেন।


এছাড়াওঃ

নিম্নোক্ত দরুদ, সূরা ও আয়াতগুলি ১/৩/৫/৭ বার করে পড়বেন (আওয়াজ করে, আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ সহ, যতো বেশি বার পড়া যায় ততো ভালো)।

প্রতিটি সূরা/আয়াত পড়া শেষে পানি, তেল ইত্যাদিতে ফু দিবেন (ফু দেয়ার ধরণটি হবে "শুকনা থু"-এর মতো; অর্থাৎ মুখে "থু" শব্দ উচ্চারিত হবে কিন্তু থুথু বা পানি বের হবে না)।

দরুদে ইব্রাহীম (নামাজের দরুদ),

আয়াতুল কুরসী,

সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (ঐচ্ছিক),

সূরা ইখলাছ,

সূরা ফালাক,

সূরা নাস।


আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা ফাতিহার তেলাওয়াত ও আমলের মাধ্যমে অসুস্থতা ও সমস্যা থেকে মুক্তির পাশাপাশি সুরাটি যাবতীয় ফজিলত ও বরকত লাভ করার তাওফিক দান করুন। সুরার হক অনুযায়ী ইবাদত ও সাহায্য প্রার্থনার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


Post a Comment

0 Comments