আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
প্রিয় দর্শক ,,
স্ত্রীর প্রতি স্বামী রাগ হলে স্ত্রীর করণীয় কি ?/কোন কারণের স্বামী স্ত্রীর প্রতি রাগ হলে তখন স্বামীর রাগ ঠান্ডা করার জন্য এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য স্ত্রী চারটি কাজ করতে পারেন । চলুন সেই চারটি কাজ কি আমরা জেনে নিই । এই চারটি কাজ করলে স্বামীর রাগ অবশ্যই কমে যাবে ইনশাল্লাহ । তাই সমস্ত মা ও বোনেদের বলছি,স্বামি যদি রেগে যায় আপনি এই চারটি কাজ করে দেখুন, আপনার স্বামী আপনার প্রতি রাগ করবেনা। আপনার স্বামীর রাগ অনেকটাই কমে যাবে। আপনার প্রতি ভালোবাসা বাড়বে।
এক নম্বর ,,, স্ত্রীকে মনে করতে হবে যে, সে স্বামীর অধীনে এবং এই অধীনে থাকার মধ্যেই সাংসারিক ও পারিবারিক কল্যাণ ও শৃঙ্খলা রয়েছে। সাময়িকভাবে তাকে সহ্য করে নিতে হবে । উল্টো রাগ হওয়া যাবে না । অর্থাৎ প্রত্যেক স্ত্রীদের ভাবা উচিত এটা তারই সংসার। তাকেই সামলাতে হবে স্বামীর রাগ, কিছু সময় সাময়িকভাবে । কিন্তু এটা সাংসারিক জীবনে অনেক ভালো হবে ।
দুই নম্বরঃ স্বামীর রাগ হলে আর যদি সত্যিকারে ইস্ত্রির কোন অন্যায় না থাকে, তবুও সেই মুহূর্তেই স্ত্রীর চুপ করে থাকা উচিত । স্বামীর সাথে তর্ক করা ঠিক নয়। কেননা তর্ক শুরু করলে স্বামীর রাগ আরো বেড়ে যাবে । এবং শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন ঘটে যেতে পারে । যেমন মার ধর করতে পারে ,,বা তালাক দিয়ে দিতে পারে। অতএব স্বামীর রাগ কমানোর চেষ্টা করা উচিত। স্ত্রীর যদি কোন অন্যায় না থাকে ,,আর সে স্বামীর রাগের মুহূর্ত চুপ থাকে,, কথা কাটাকাটি না করে ,,তাহলে পরে যখন স্বামীর রাগ ঠান্ডা হবে, তখন সে নিজেই রাগের জন্য অনুতপ্ত হবে । এবং অন্যায় ভাবে রাগ হওয়া সত্ত্বেও ,স্ত্রীর ধৈর্য এবং ভালো ব্যবহারের কারণে স্ত্রীর প্রতি মুগ্ধ হবে। তার অনুগত হয়ে পড়বে । আর ভবিষ্যতে রাগ করতে গেলেও ভেবেচিন্তে রাগ করবে। তাই সমস্ত মা ও বোনেদের বলছি স্বামী যখন রেগে যায় আপনি তর্ক-বিতর্ক করবেন না । সেই মুহূর্তে আপনি চুপ থাকুন । দেখবেন আপনার স্বামীর মাথা যখন ঠান্ডা হবে ,ঠিক আপনার জন্য তখন অনুতপ্ত হবে।
তিন নম্বরঃ স্বামীর রাগ এর পেছনে স্ত্রীর অন্যায় থাকুক বা না থাকুক,, স্ত্রীর উচিত খোসামোদ করে হলেও স্বামীর রাগ ভাঙ্গানো। আর স্ত্রীর যদি অন্যায় থাকে ,তাহলে তো জেদ ধরা একদমই উচিত হবে না। সাথে সাথে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত । যদি তার অন্যায়ও থাকে তবু সে জেদ ধরলে হয়তবা স্বামীকে নত করা সম্ভব হবে না । স্ত্রীর জন্য আদৌ উচিত নয় এমন কল্পনা করা যে, আমার অন্যায় নেই সুতরাং তোষামোদ করা অপমান । বরং এই তোষামোদের ফলে স্বামীকে স্বাভাবিক করতে পারলে, পরে স্বামী স্বাভাবিক হওয়ার পর সেই স্ত্রীর প্রতি মুগ্ধ হয়ে যাবে । এভাবেই স্ত্রীর মান বেড়ে যাবে।
চার নম্বরঃ চুপ থেকে তর্ক না করে তোষামোদ করেও যদি স্বামীর রাগ ভালো না যায়, তাহলে নির্জনে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে তার কাছে তার চরিত্র এর কথা বলবে। এবং নিজের অন্যায় থাকলে ক্ষমা চেয়ে নেবে। ইনশাল্লাহ স্বামীর রাগ দূর হয়ে যাবে । সংসারে শান্তি বেড়ে যাবে ।
তাই সমস্ত স্বামীদেরকে বলছি আপনারাও স্ত্রীদের প্রতি অযথা রাগ করবেন না । বিষয়টা দুজন মিলে বসে মিটিয়ে নেবেন। যতই আপনার স্ত্রী অন্যায় করুক না কেন, আপনি ভাববেন ওটা আমার স্ত্রী, তাই রাগ বেশিক্ষণ পুষে রাখবেন না ।
আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করলাম যদি ভালো লাগে অবশ্যই লাইক করবেন এবং বন্ধুদের মাঝে বেশি করে শেয়ার করবেন ।
আজ এপর্যন্তই,,
ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আসসালামু আলাইকুম আল্লাহ হাফেজ
0 Comments