আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
প্রিয় দর্শক ,,
আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের অশেষ কৃপায় ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আর যারা আল্লাহর হুকুমে অসুস্থ আছেন তাদের জন্য সুসংবাদ নিয়েই আজকের ভিডিওটি সাজিয়েছি।
যে ৩টি রো,গ হলে আপনার গুনাহ সমুহ ঝরে পড়বে আর জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা সুগম হয়
রোগসমূহ গুনাহের কাফফারা। আমরা বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ি, অসুস্থতা আমাদের গুনাহ ক্ষমার জন্য ওসিলা। মানুষের উপর যে বিপদ আপদ নিপতিত হয় তার জন্য তার কর্মফল দায়ী। আবার একইভাবে এসকল অসুস্থতা বিপদ-আপদ মানুষের গুনাহ সম্পর্কে জড়িয়ে দেয়।
“মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার সঙ্গে একটি রাত অতিবাহিত করবে আল্লাহ তা’আলা তাঁকে সদ্যোজাত শিশুর নেয় নিষ্পাপ করে দিবেন “সুবাহানাল্লাহ”। সুতরাং রোগমুক্তির জন্য ব্যস্ত হয়ে যাওয়া ঠিক নয় বরং ধৈর্যের সাথে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া উচিত।
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” বলেছেন, দোজখি লোক দেখার ইচ্ছে যাদের তাদের বলো তারা যেন এমন লোককে দেখে আসে যার জীবনে কোনদিন কোন রোগ হয়নি। অর্থাৎ অসুস্থতা ও আমাদের জন্য আল্লাহর তরফ থেকে বিশাল এক নিয়ামত।
সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী আমি ভিডিও এর শুরুতে বলেছিলাম বিশেষ দিনটি রোগের কথা যা সচরাচর আমাদের হয়ে থাকে। হাদিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে আমরা জানতে পেরেছি এই তিনটি রোগ আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে তার বান্দার জন্য অভিশাপ নয় বরং নেয়ামত ।
সর্দি জ্বরঃ তার মধ্যে সর্বপ্রথম রোগটি হচ্ছে সর্দি জ্বর আর সর্দি জ্বরে আমরা অধিকাংশ মানুষই ভুগে থাকে। হাদীস শরীফে এসেছে সর্দি-জ্বরের মাধ্যমে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন মানুষের শরীর থেকে বিষাক্ত জীবাণু বের করে দেয়। বিশেষ করে যার সর্দি হবে সে কোনদিন পাগল হবে না “সুবাহানাল্লাহ”।
চুলকানিঃ যে রোগটি হাদীস শরীফে এসেছে সে রোগটির নাম হচ্ছে চুলকানি। যাকে আমরা বর্তমান ভাষায় এলার্জি বলতে পারি। আর এ রোগে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই ভুগে থাকেন। বিশেষ করে ধুলাবালি বিষাক্ত পলিউশন থেকে এ রোগ হয় বলে মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের মতামত। কিন্তু হাদীস শরীফে এসেছে যার চুলকানি রোগ হবে শরীর জুড়ে কম-বেশি চুলকানী থাকবে। সে ব্যক্তি জীবনে কোনদিন কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হবেনা। এমনকি তার কোনও দিন শোধ হবে না “সুবহানাল্লাহ”।
চোখ ওঠা রোগঃ তৃতীয় শক্তির কথা হাদীস শরীফে এসেছে সেটি হচ্ছে চোখ ওঠা রোগ। বিচলিত হওয়ার কিছু নেই কারণ হাদিস অনুযায়ী কোন মানুষের যদি চোখ উঠিয়ে তাহলে বুঝতে হবে সে কোনদিন অন্ধ হবে না। আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তাকে অন্ধ হওয়া থেকে মুক্তি দান করেছেন “সুবহানাল্লাহ”।
কিন্তু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার এই উপদেশ দিয়েছেন যখনই তোমাদের কোন রোগ আক্রমণ হয় তোমরা সাথে সাথেই আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো। পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করো। সুতরাং যে কোন রোগ শোকে আমরা অবশ্যই আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবে। কেননা চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত এর অংশ।
আর সর্বশেষ আল্লাহর রাসূলের উপদেষ্টা হচ্ছে রোগশোকে কখনো গালি দিও না। যারা আল্লাহর একজন নবী হযরত আইয়ুব আলাইহিস সালাম তিনি দীর্ঘ .১২ বছর কঠিন দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত ছিলেন। অথচ একটি মুহূর্তের জন্য আল্লাহকে ভুলে যাননি। তিনি ছিলেন একটা সাম্রাজ্যের রাজা। কিন্তু আল্লাহ. রব্বুল আলামীন যৌনশক্তির পরে তাকে কঠিন একটি পরীক্ষায় নিমজ্জিত করলেন।
সুপ্রিয়া দর্শক মন্ডলী আপনাদের প্রত্যেকটি ভাইয়ের কাছে অনুরোধঃ এই তিনটি রোগের কোন রোগটি বেশিরভাগ আপনাকে আক্রমণ করে থাকে। আমাদের তা কমেন্ট করে জানাবেন।
0 Comments