Header Ads Widget

Responsive Advertisement

রাতে আয়না দেখলে কি ক্ষতি হয়,আপনি জানলে অবাক হবেন!

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন

প্রিয় বন্ধুরা

রাতে চুল আচড়ালে এবং আয়না দেখলে কি কোন ক্ষতি হয়,?? রাতে আয়না দেখা কেন নিষিদ্ধ আছে? এই ব্যাপারে ইসলাম কি বলে



ঘুমাতে যাওয়ার আগে আয়না ঢেকে রাখতে হয়, না ঢেকে রাখলে নাকি রুহ বা আত্না সে আয়নার মধ্যে আটকে যায়, এ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?

ইহুদি ধর্মে বাড়ির কেউ মারা গেলে, ৭ দিন অথবা ৪০ দিন পর্যন্ত আয়না কেন ঢেকে রাখে?

প্রিয় দর্শকঃ

আপনাদের মধ্যে যার যার রাতে আয়না দেখার অভ্যাস আছে, তারা এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখতে থাকুন, এবং আপনার বন্ধুদের এই ভিডিওটি  টি দেখার সুযোগ করে দিন,

চলুন তাহলে শুরু করা যাক। আল্লাহ তাআলা মানুষকে সুন্দর অবয়ব ও চেহারা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। প্রতিটি চেহারাই সুন্দর ও মায়াময়। একজন ব্যক্তির দৈনিন্দিন জীবনে আয়নায় নিজের মুখ দেখা, স্বভাবগত অভ্যাস ও স্বাভাবিক ব্যাপার, এই বলে আয়নার দিকে বারবার তাকানো, এবং যখন তখন আয়নায় মুখ দেখা অস্বাভাবিক এবং অবাঞ্ছিত।

রাতে আয়না দেখার ব্যাপারে উলামাদের মতামত: আয়না রাতে না দেখােই উওম, যদিও এ বিষয়ে হাদিসে কোনো বিধি-নিষেধ নেই, তথাপি চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ বলেনঃ রাতে আয়না দেখলে বিভিন্ন রোগ জন্ম নেওয়ার আশংকা থাকে। এজন্য রাতে আয়না দেখতে তারা নিষেধ করে থাকেন।

ইমাম ইবনে ক্বাইয়ুম রঃ, উনার তাত্বিক গবেষণালব্ধ কিতাব “যাদুল মা’আদ ফি হাদয়ে খাইরিল ইবাদ” নামক কিতাবে, উল্লেখ করেন, আমি চিকিৎসক ইবনে মাসুওয়াইর “সতর্কবাণী ও সাবধানতা সম্বলিত অধ্যায়ে” রাতে আয়নায় নিজেকে দেখা সম্পর্কে যা দেখেছি, তা হুবহু আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছিঃ

ইবনে মাসুওয়াই বলেনঃ যে ব্যক্তি রাত্রে আয়না দেখবে তার লাক্কওয়াহ রোগ হবে। অথবা অন্য কোনো রোগ অবশ্যই হবে। তখন সে যেন তার নিজ সত্বাকে ব্যতীত অন্য কাউকে না দোষারোপ করে। লাক্কাওয়াহ এমন রোগ যা মুখে হয়, এবং চোয়ালকে গর্দানের কোন একদিকে বাকা করে দেয়। বেশি বেশি আয়না না দেখাই ভালো। এটা অনেকটা বেশি বেশি সেলফি তোলার মতো।

বরং ঘন ঘন আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে দেখা মানসিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। হযরত আলী রাঃ কে নবীজী সাঃ এর ওসিয়ত সমূহের মধ্যে একটি ওসিয়ত ছিল: হে আলী! যখন তুমি আয়নায় নিজেকে দেখতে যাবে তখন প্রথমেই তিনবার আল্লাহু আকবার বলবে, তারপর বলবে, হে আল্লাহ, যেভাবে তুমি আমার শারীরিক গঠনকে সুন্দর করেছ, সেভাবেই আমার চরিত্রকে সুন্দর করে দাও।

যাই হোক তবে হাদীসের কোন জায়গায়, রাতে আয়না দেখার ব্যাপারে নিষেধ নেই,


কোন কোন ধর্ম এবং দেশে রাতে আয়না নিয়ে নানা রকম কুসংস্কার চালু আছে। যেমন ইহুদি সংস্কৃতিতে কেউ মারা গেলে বাড়ির সমস্ত আয়না ঢেকে দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। মনে করা হয়, মৃতের আত্মা আয়নার ফাঁদে আটকে থাকবে। আয়না ভেঙে ফেলা নিয়ে রোমান আমল থেকেই সাবধানবানী চলে আসছে।

রোমানরা মনে করত, আয়না ভাঙলে আত্নার ক্ষতি হয়, এবং এই ক্ষতি সারতে ৭ বছর সময় লাগে। অনেক দেশেই ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঘরের আয়না ঢেকে দেওয়ার প্রথা রয়েছে।

ধারণা করা হয় ঘুমন্ত মানুষের স্বপ্নকে আয়না আটকে দিতে পারে। সেখান থেকে তার আত্মাকে ফাঁদে ফেলতে পারে।

আয়না নিয়ে সবথেকে জনপ্রিয় কাহিনীটি ব্লাডি মেরির নির্জন ঘরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে, মহিলারা যদি ব্লাডি মেরির নাম ধরে নির্দিষ্ট কয়েকবার ডাকেন, তাহলে সে আবির্ভূত হবে, আয়নার মধ্যে। আয়নার আর এক বাসিন্দার নাম ক্যান্ডিমান। তার চরিত্র ব্লাডি মেরির মতোই। পশ্চিমের অবিবাহিতা মেয়েদের মধ্যে আয়না নিয়ে অনেক কুসংস্কার চালু রয়েছে। তার মধ্যে একটি- আপেল খেতে খেতে আয়না দেখলে নাকি হবু স্বামীকে দেখতে পাওয়া যায়। অনেক জায়গাতেই রাতে আয়না দেখা বারন। অথবা মোমবাতির আলোয় আয়না দেখা নিয়ে সতর্কবাণী রয়েছে। কারণ এতে নাকি ভূত দেখার সম্ভবনা যথেষ্ট।

অনেক সময় আয়নাকে অতিপ্রাকৃত জগতের দ্বার বলে মনে করা হয়। অপ্রাকৃত জিবরা আয়নার মাধ্যমেই নাকি এই জগতের সঙ্গে সংযোগ রাখে। যদিও এগুলোর সবইগুলোই কুসংস্কার। আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে সকল কু-সংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা থেকে, হেফাজত করুন, সর্বকাজে রাসূল সাঃ এর অনুসরণ অনুকরণ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।


Post a Comment

0 Comments