Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ডালিম ফল খেলে কি হয়?গর্ভবতী মহিলারা এই ফল কেন খাবেন?


আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

প্রিয় দর্শক ,,


 আজকের ভিডিওর মাধ্যমে ডালিম ফলের কিছু চমকপ্রদ তথ্য নিয়ে কথা বলব । তাই ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখুন।                                                      

বন্ধুরা আপনারা সুপারফুড সম্পর্কে তো অবশ্যই শুনেছেন।  কিন্তু আপনার কি এটা জানেন যে ,সুপারফুড কাকে বলে??? বন্ধুরা ডাক্তাররা ওইসব ফলকে সুপারফুট বলে,, যেসব ফলে ওইসব ধরনের ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে ,এবং আমাদের আয়ুকাল দীর্ঘায়িত করে।  এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।                                                    

বন্ধুরা ডালিমকে একটি সুপার ফুড বলা হয় ,একথা তো আপনারা অবশ্যই শুনে থাকবেন যে ,,এক ডালিম শত রোগের ঔষধ । এই কথাটি শতভাগ সত্যি।  ডালিমের শুধুমাত্র দানা গুলোর মধ্যেই নয় বরং ডালিম গাছ, পাতা, শিখর, খোসা, এমনকি ডালিমের ভেতর যে হলুদ বর্ণের পর্দা থাকে, এসব কিছুর মধ্যেই আল্লাহতালা মানুষের জন্য উপকারী উপাদান রেখেছেন।                                                          

বন্ধুরা আল্লাহতালা এই ডালিম ফলের মাঝে অগনিত রোগের প্রতিষেধক দিয়েছেন।  

                                                                                                                   

আপনারা এটা জেনে অত্যন্ত আশ্চর্য হবেন  যে, ডালিম খেলে হিংসা, ঈর্ষা এবং অহংকার এর মত মানসিক রোগের উপকার হয়।  ডালিম খেলে মানুষের চিন্তাভাবনার উপরে প্রভাব পড়ে।  মানুষের চিন্তা-ভাবনা কেউ পরিশুদ্ধ করে।  বন্ধুরা, ডালিম ফলের মাঝে পেটের ইনফেকশন এবং আলসারের জন্য উপকারী ভেষজ উপাদান রয়েছে।  চিকিৎসকরা বলে থাকেন, নিয়মিত ডালিমের জুস পান করলে, কোমর ব্যাথার মত রোগ ভালো হয়ে যায়।  ডালিমের জুস এর সাথে মধু মিশিয়ে যদি খাওয়া হয়, তাহলে অকাল বার্ধক্য রোধ করে। ডালিম খেলে মানসিক অস্থিরতা দূর হয়, এবং ডিপ্রেশন কমে যায়।  ডালিম রক্তস্বল্পতা দূর করে, দেহের রক্তের উৎপাদন বৃদ্ধি করে।                                                                            

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল, যারা দেহের ওজন বৃদ্ধির কারণে চিন্তিত ,তারা নিশ্চিন্তে ডালিম ফল খেতে পারেন।  ডালিম মোটা হওয়া থেকে রক্ষা করে।  ডালিম ফলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে, তাই বেশি বেশি ডালিম খেলে মোটা হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।  এবং সুস্বাদু ফলের মজাও পাওয়া যায়।  যেসব বাচ্চাদের শরীরে রক্ত স্বল্পতা রয়েছে, এবং আয়রনের ঘাটতি রয়েছে, তাদেরকে একটানা 15 দিন ধরে ডালিম খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।  যেসব বাচ্চাদের পেটে কৃমি হয়, তারা যতই খাওয়া-দাওয়া করুক না কেন, তাদের ওজন বৃদ্ধি পায় না ।                                                                                                        

এই ধরনের বাচ্চাদের কে ডালিম খাওয়ালে পেটের কৃমি রোগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়।  ডালিম ফলের উপরে অনেক ধরনের গবেষণা করা হয়েছে।  যেসব গবেষণায় জানা যায়, অন্যান্য ফলের তুলনায় ডালিমের মধ্যে ,শরীরের জন্য বেশি উপকারী উপাদান রয়েছে। সুপারফুড এর নাম আসলে ,সর্বপ্রথম ডালিম ফলের নাম নেওয়া হয়।  চিকিৎসাবিজ্ঞান এ কথা প্রমাণ করেছে যে, ডালিমের মাঝে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিভিন্ন রোগের জন্য উপকারী ভেষজ উপাদান রয়েছে ,অন্য যে কোনো ফলের তুলনায়।                                                                                                   বন্ধুরা,,গবেষণায় আরো দেখা গেছে যে, ডালিম ফলের মাঝে মানসিক সমস্যার জন্যও উপকারী উপাদান রয়েছে।  শুধুমাত্র এই একটি ফল খাবার মাধ্যমে আপনি এমন সব রোগের উপকার পাবেন, যেসব রোগের জন্য আপনাকে অনেক নামিদামি এবং তিতকুটে ওষুধ খেতে হতো।  যা খেতে খুবই কষ্ট হয় এবং অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু আপনি যদি ডালিম খান এটি দামে অনেক সস্তা এবং খেতেও সুস্বাদু।  ডালিম ফল চুল পড়া এবং চুল পাকা রোধে সহায়তা করে।  ডালিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।  যাদের দেহে ভিটামিন সি এর ঘাটতি রয়েছে তারা ডালিম বেশি বেশি খেতে পারেন।                                                                                        

                                                                              

একদিকে ডালিম খাওয়া যেমন উপকারী, তেমনি নিয়ম মেনে না খেলে এটা অনেক সময়ই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।  যদি আপনার কাশি হয়ে থাকে তাহলে ডালিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।  কারণ যদি আপনার কাশি থাকে, আর আপনি ডালিম ফল খান ,তাহলে আপনার কাশি বেড়ে যেতে পারে।  কাশি রোগের জন্য ডালিম উপকারের বদলে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে । ঠিক তেমনি যাদের এসিডিটি রয়েছে অথবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তারা ডালিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, ডালিম ঠান্ডা জাতীয় ফল, তাই এসিডিটি রোগীদের জন্য খাবার হজমে কিছুটা বাধা প্রদান করে।  আবার অনেকে এমন আছেন ,যাদের ডালিম খেলে এলার্জির সমস্যা দেখা দেয় ,তাই যাদের ডালিম ফলে এলার্জি রয়েছে তারা ডালিম থেকে দূরে থাকুন।    

আর যদি খেতেই হয় ,তাহলে আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।  তারপর এই ডালিম খান। 

এছাড়াও যারা লো ব্লাড প্রেসারের রোগী, তারাও ডালিম খাবেন না, কেননা ডালিম খেলে আপনার সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে, যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তারা ডালিম খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন, তারপরেই ডালিম খাবেন। 


সম্মানিত দর্শকঃ ভিডিওটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে???? তা আমাদের কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন্ ।  আর সবাই আমাদের সাথেই থাকবেন।ট  আজ তাহলে এই পর্যন্তই,, আপনারা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন,, আল্লাহ হাফেজ।  


Post a Comment

0 Comments