Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নামাজ না পড়লে কি কি হতে পারে??


আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। 

আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের অশেষ কৃপায় ভালো আছেন,

প্রিয় দর্শক ,,



নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ। আল্লাহর ওপর ঈমান আনার পর সর্বপ্রথম করণীয় আমল। এটি মুসলমান ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী বাহ্যিক মাধ্যম। নামাজ পরিত্যাগকারী কাফেরের সমতুল্য।


কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, নামাজ ত্যাগের মতো ভয়াবহ গুনাহে লিপ্ত বর্তমান সমাজের অসংখ্য মুসলমান। প্রতিনিয়ত নামাজ ত্যাগের গুনাহ করতে করতে এমন স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, যেন এখন আর এটাকে সেভাবে গুনাহের কাজ মনে করা হয় না। আল্লাহর রাসুলের (সা.) দৃষ্টিতে নামাজ ত্যাগকারী দুনিয়াতে অভিশপ্ত আর আখিরাতে কঠিন শাস্তির যোগ্য। হাশরের মাঠে কঠিন পরিস্থিতিতে সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব হবে।


নামাজের বিধান মুসলমানের ওপর এত শক্তভাবে অর্পিত যে, যুদ্ধের ময়দানে কঠিন যুদ্ধ-পরিস্থিতিতেও ছাড়ার সুযোগ নেই। প্রয়োজনে মুসল্লিরা দুভাগ হয়ে এক দল নামাজ পড়বে আর অন্য দল পাহারা দেবে। এভাবে পালাবদল করে নামাজ শেষ করবে। বার্ধক্যের শেষ মুহূর্তে শয্যাশায়ী অবস্থায়ও শুয়ে শুয়ে ইশারায় হলেও নামাজ পড়বে হবে। পড়তে না পারলে উত্তরসূরিদের সে ক্ষতিপূরণের অসিয়ত করতে হবে। কোনো ব্যক্তি যদি নামাজ অস্বীকার করে, তা হলে সে নিঃসন্দেহে কাফের বলে বিবেচিত হবে। আর কোনো ব্যক্তি যদি নামাজকে বিশ্বাস করার পর তা পরিত্যাগ করে তা হলে সে ফাসেক বলে গণ্য হবে। কাফের ও ফাসেক উভয়ের শাস্তি জাহান্নাম। যদিও ফাসেক ব্যক্তি শাস্তি শেষে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পাবে।


ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ছেড়ে দিলে মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর থেকে তাঁর জিম্মাদারি বা রক্ষণাবেক্ষণ তুলে নেন। মুআজ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাকে দশটি নসিহত করেন, তার মধ্যে বিশেষ একটি এটাও যে তুমি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ত্যাগ করো না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ত্যাগ করল তার ওপর আল্লাহ তাআলার কোনো জিম্মাদারি থাকল না। ’ (মুসনাদ আহমাদ : ৫/২৩৮)


নামাজ না পড়লে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে কবরেই আজাব শুরু হবে। বেনামাজির কবরে একজন আজাবের ফেরেশতা নিযুক্ত করা হবে। তার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে, দুনিয়ায় কেন নামাজ পড়নি? আজ তার ফল ভোগ করো। এই বলে ফজর নামাজ না পড়ার জন্য ফজর হতে জোহর পর্যন্ত, জোহর নামাজের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছর নামাজের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাজের জন্য মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত এবং এশার নামাজের জন্য এশা থেকে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। প্রত্যেকবার আঘাতের সময় বজ্রপাতের মতো শব্দ হবে এবং শরীর চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ৫০ গজ মাটির নিচে চলে যাবে। সেই ফেরেশতা পুনরায় তাকে জীবিত করে হাড়-মাংস এক করে আবার আঘাত করতে থাকবে। এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত লোহার মুগুর দিয়ে তাকে আঘাত করতে থাকবে। আর কবর অসংখ্য সাপ-বিচ্ছু দ্বারা পরিপূর্ণ থাকবে।


পরকালে তো এমন কঠিন আজাব অপেক্ষা করছে, দুনিয়াতেও নামাজ না পড়ার কারণে ৬টি আজাবের সম্মুখীন হতে হবে- ১. জীবনের বরকত উঠিয়ে নেওয়া হবে। ২. চেহারা থেকে নূর ও জ্যোতি উঠিয়ে নেওয়া হবে। ৩. ভালো কাজ করলে তার সুফল ভোগ করতে পারবে না। ৪. দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করবেন না। ৫. আল্লাহ ও ফেরেশতা অসন্তুষ্ট থাকবেন, ফলে মানসিক অস্থিরতা বিরাজ করবে। ৬. ইসলামের শান্তি ও প্রতিশ্রুতি থেকে বঞ্চিত হবে। (শারহুল আকিদাতুত তাহাবি : ২৬৮)। তাই যেকোনো উপায়ে নামাজ পরিত্যাগ করার মতো গুনাহ থেকে সতর্ক থাকা। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। আল্লাহ তওফিক দান করুন। আমিন।

Post a Comment

0 Comments