সূরা এখলাস কোন সময় ৩বার ৫বার বা ১০ বার পরলে সাথে সাথে ফল পাওয়া যায়। এবং মনের সব আশা পূরণ হয়ে যায় এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কিছু আলোচনা করবো। তো এপনারা ভিডিওটা না টেনে শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন।
প্রিয় দর্শক সূরা এখলাস খুব ছোট একারণে আমাদের মধ্যে সকল মানুষেরই মুখস্থ আছে।যারা কুরআন শরীফ পরতে জানে এবং যারা কুরআন শরীফ পরতে জানেনা তাদের মধ্যেউ অনেক মানুষের মুখস্থ আছে।কি ভাবে যে,অনেক ইমাম সাহেব, যারা সূরা এখলাস খুব ছোট কিন্তু অনেক ফজিলত হওয়ার কারণে, তারা প্রায় সময় নামজের মধ্যে সূরা এখলাস পাঠ করে থাকেন।আর সূরাটি অনেক ছোট হওয়ার কারণে মানুষের মুখস্থ হয়ে যায়।আর যারা মা -বোনেরা রয়েছেন তারা সূরাটি অনেক ছোট হওয়ার কারণে মানুষের কাছ থেকে শুনে শুনে এটা মুখস্থ করে ফেলেছেন এবং আর ভূলেন নাই সূরাটি।তার পরেও যাদের মুখস্থ নেই এসূরাটি তাদেরকে আমি আজকের এই আমোলটি বলে দেওয়ার পরে মুখস্থ করানোর চেষ্টা করব। আগে আমি আমোলটি কিভাবে করবেন এবং কোন নিয়মে পড়তে হয় এবং সূরা এখলাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত আমও আপনাদেরকে বলবো এবং আমলটির কথা বলবো তার পরে আমি যাদের সূরা এখলাস মুখস্থ নাই তাদের মুখস্থ করানোর চেষ্টা করব।
সূরা এখলাস এর ফজিলত বর্ননা করতে গিয়ে সূরা এখলাস কে কুরআন এর একতৃতীয় অংশ বলা হয়েছে।তাহলে একবার শুনুন সূরা এখলাস এর কত গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত রয়েছে। একবার এক সাহাবি প্রতি দুই রাকাত নামাজের মধ্যে সূরা এখলাস একবার পরতেন।মানে যখনি দুই রাকাত নামাজ পড়তেন তখনি দুই রাকাত নামাজের মধ্যে একবার সূরা এখলাস পড়তেনি। একজন সাহাবী এাটা তার আশে পাশের অন্যান্য সাহাবীরা যখন জানতে পেরেছে যে এই ভাই প্রত্যেক দুই রাকাত নামাজের মধ্যে একবার সূরা এখলাস পাঠ করেন সর্বদা। এটা তারা জানতে পেরে হুযুরপাক (সাঃ)কাছে গেলেন এবং রাসুলের কাছে নালিশ করলেন ইয়ারাসুল আল্লাহ এই ব্যক্তি প্রত্যেক দুই রাকাত নামাজের মধ্যে একবার সূরা এখলাস পাঠ করেই!তো আল্লাহর রাসুল (সাঃ)সেই ব্যক্তি কে জিজ্ঞেসা করলেন, এই কথা কি সত্য যে তুমি প্রত্যেক দুই রাকাত নামাজের মধ্যে একবার সূরা এখলাস পাঠ কর।সেই সাহাবী বললেন ইয়ারাসুল আল্লাহ জ্বি হ্যা।আমি প্রত্যেক দুই রাকাত নামাজের মধ্যে একবার সূরা এখলাস পাঠ করি।তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃ) সেই ব্যাক্তিকে জিজ্ঞেসা করলেন কেন?তখন সেই সাহাবী উত্তর দিলেন ইয়া রাসুল আল্লাহ আমার এটা খুব ভালো লাগে সূরা এখলাস অনেক ফজিলত পূর্ণ এবং এই সূরা পড়তে আমার খুব বেশি ভালো লাগে একারনে আমি পড়ি।তখন আল্লাহর রাসুল আর তাকে নিষেধ করেননিএবং এই সাহাবী এ সূরাটি পড়ার কারনে এবং এই সূরাটির প্রতি ভালোবাসা থাকার কারনে জান্নাত নসিব হবে।আল্লাহ্ রাসুলের হাদিস অনুযায়ী এ কথা প্রমানিত হয়েছে। দর্শক সূরা এখলাস এটি মক্কায় অবতিন্ন।সূরাটি কুরআন শরীফ এর( ১১২নাম্বার সূরা আয়াত ৪ আর শব্দ সংখ্যা ১৫টি এবং অক্ষর হলো ৪৭টি)এ সূরাতে আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ব ওসত্তার সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। যার কারণেই এই সূরাটি খুব বেশি ফজিলত পূর্ণ। আর এ সূরাটি নাজিল হয়েছে এক সময় কাফেরেরা মুসলমানদের প্রশ্ন করলো, তোমাদের রবের পরিচয় কী?তোমাদের আল্লাহর কী পরিচয়? সে কীসের তৈরি,সোনা রুপা নাকি মাটির তৈরি?সে কীসের তৈরি?এই প্রশ্ন যখন ইহুদিরা মুসলমানদের করলো তখন তার যবাবে এ সূরা এখলাস টি নাজিল হয়েছে। দর্শক আমি আবারো বলছি এই সূরা টির মধ্যে আল্লাহর অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে।হদিস শরীর এ এসেছে জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সাঃ)এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেসা করলেন, যে আমি সূরা এখলাস কে ভালোবািস।তখন আল্লাহর রাসুল(সাঃ)বললেন,এ সুরাকে ভালোবাসার কারণে তুমি জান্নতে যেতে পারবে (সুবহানাল্লাহ)মুশনাদে আহমেদ শরীফ এ সূরাটি বর্নিত আছে।দর্শক আপনি বুজতে পারলেন তো যে এ সূরাটি কত ফজিলত পূর্ণ।
একবার আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বললেন তোমরা সবাই একত্রিত হয়ে যাও। আমি তোমাদের কুরআনের একতৃতীয়াংশ শোনাবো।এর পর আল্লাহর রাসুল (সাঃ) সূরা একলাস তেলোয়াত করা শুরু করলেন।এহাদিসটি মুসলিমও তিরমিজি শরীফে রয়েছে।প্রিয় দর্শক বিপদ আপদ বালা মসিবতে এই সূরাটি পাঠ করলে আল্লাহ তার বিপদ আপদ মাফ করে দিয়ে থাকেন।হাদিস শরীফে এসেছে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) যে ব্যক্তি সকাল বিকাল সূরা এখলাস সূরা নাস সূরা ফালাক পাঠ করবে আল্লহ তায়ালা তাকে সব ধরনের বিপদ আপদ বালা মসিবত এবং হতাসা থেকে রক্ষা করবেন।( তিরমিজি, ও নাশায়ি শরীফ)
দর্শক আপনাদের কে আর একটি সুন্দর হাদিস শুনাই তা হলো,রাসুলুল্লাহ (সাঃ) প্রত্যেক দিন ঘুমানোর আগে সূরা এখলাস এবং সূরা ফলাক ও সূরা নাস পাঠ করতেন এর পরে তার দুহাতে ফু দিয়ে মাথা এবং পুরো শরীর মাসেহ্ করতেন।তার পরে ঘুমিয়ে পরতেন।(বুখারী ও তিরমিজি)।দর্শক এই পযন্ত আপনি সূরা এখলাস এর অনেক ফজিলত শুনেছেন। এখন আমি বলে দিব,সূরা এখলাস কখন কত বার পাঠ করলে মনের সকল আশা পূরোন হবে এবং সব ধরনের বিপদ আপদ বালা মসিবত থেকে বেচে থাকতে পারবেন।একন সূরা এখলাস এর এই আমল টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। দর্শক এই সূরাটির আমল করার সমায় হলো শুক্রবার দিন আছরের নামায পর থেকে মাগরিব আগ পর্যন্ত মাঋের সময়ে এই সূরাটি ৩ বার ৫বার ১০বার পাঠ করবেন পাঠ করার সমন আপনার সেই চাওয়া পাওয়া গুলো আপনার সরনে রাখবেন।মনে এই সূরাটি আমল আপনি কেন করতেছেন, কোন আশা, বা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে আপনি এই সূরাটির আমল করতেছেন, সে বিষয় গুলো মাথায় রাখবেন সরনে রাখবেন। ধরেন আপনি একজন শত্রুর শুত্রুতামী থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে সেই উদ্দেশ্য টা আপনার শরণে রাখবেন।তার পর সূরা এখলাস ৩বার বা ৫বার শুক্রবার দিন আছরের নামাযের পরে মাগরিব নামাজের আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এ আমলটি করবেন। তাহলে ইনশাআল্লাহ্ অবশ্যই অবশ্যই আপনি ফলা ফল পাবেন। আপনি সেই শত্রুর শত্রুতামী থেকে রক্ষা পাবেন।আর যদি আপনি বালা মসিবত কিংবাকোন দুঃখ কষ্ট দূর করার জন্য এ আমলটি করতে চান তাহলে সেই বালা মসিবত কে শরণ করে বা সেই দুঃখ কষ্ট কে শরণ করে শুক্রবার দিন আছরের নামায পর থেকে মাগরিব নামাজের আগ পযন্ত সময়ের মধ্যে আমলটি করবেন।হ্যা একন একটি কথা হলো শুক্রবার দিন যদি আমলটি করতে মনে না থাকে তাহলে সেই আমলটি করবেন বৃহস্পতিবার আছরের নামায পর থেকে মাগরিবের নামাযের আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে। আর যদি সেই দিনও আথাৎ বৃহস্পতিবার ও আমলটি করার কথা মনে না থাকে তাহলে আমলটি করার সময় হলো পুরো সপ্তাহের মধ্যে যখন আপনার সরণে আসবে তখন আপনি দুই রাকাত নামাজ পড়বেন, তার আগে আপনি ভলো একটি সুন্দর মুহূর্তে বেছে নিবেন,তার পরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবেন। করার পরে আপনি ভালো ভাবে মনোযোগ দিয়ে ৩বার৫বার বা১০বার এ আমলটি করবেন কোনো একটি উদ্দেশ্য মাতায় নিয়ে যেই আশা পূরোনের জন্য আমলটি করবেন সেই বিষয়টি মাথায় রাখবেন।তহলেই হয়ে যাবে।দর্শক আপনি যদি সন্তাকে ভালো ভাবে চলার জন্য বা স্বামী- স্ত্রী মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধি করার জন্য এ আমলটি আপনি করতে পারেন।দর্শক যাদের সূরা এখলাস মুখস্থ নেই আমি তাদেরকে সহিশুদ্ধ ভাবে শেখানের চেষ্টা করব।(বিদ্রহঃএখানে সূরা এখলাস পাঠ করতে হবে ২বার)আপনারা আমার সাথে কয়েকবার ভালো ভাবে পরার চেষ্টা করুন আশাকরি আপনার মুখস্থ হয়ে যাবে।আর আমলটি করার সময় খুব বেশি মনোযোগ দিয়ে আমলটি করবেন।আমি আশা করি আপনি অবশ্যই এর ফলাফল পাবেন।যে ইচ্ছে নিয়ে আপনি আমলটি করবে আশাকরি তা পূর্ণ হবে ইনশাআল্লাহ। কারন কুরআনের আমল বা দোয়া কার্যকর হবেনা এমনটা হতে পারেনা।আপনি যদি নিয়ম অনুযায়ী ভালোভাবে আমলটি করেন তা হলে এ আমলের ফল আপনি পাবেন।যদি আপনি নিয়ম কানুন টি ভালো ভাবে মনোযোগ দিয়ে না শুনে থাকেন তাহলে ভিডিওটা আরেক বার দেখুন এবং নিয়ম গুলো মাথায় রেখে আমলটি করুন ফলাফল পাবেন ইনশাআল্লাহ। দর্শক আপনি এতখন যানলেন কখন কিভাবে সূরা এখলাস এর আমলটি করতে হবে।এখন সূরা এখলাস সম্পর্কে সুন্দর একটি হাদিস শুনিয়ে ভিডিওটি শেষ করব। হাদিস টি খুবি সুন্দর হযরত যাবে ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ)হতে বরনিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি ৩টি কাজ ইমানের সাথে করতে পারবে সে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
(১)যে ব্যক্তি হত্যা কারীকে ক্ষমা করে দিবে।
(২)যে ব্যক্তি গোপন রীন পরিষদ করবে।
(৩)যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর ১০ বার সূরা এখলাস পাঠ করবে।সে ব্যক্তি জান্নাতের যে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে চাইবে সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
তো সুপ্রিয় দর্শক, এই ছিল আমাদের আজকের ভিডিও। ভিডিওটি ভাল লাগলে লাইক দিন। আর নিয়মিত আমাদের ভিডিও পেতে এখনি আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বেল আইকনটিও প্রেস করুন। দেখা হবে অন্য কোন ভিডিওতে। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
0 Comments