Header Ads Widget

Responsive Advertisement

৫ শ্রেণীর নারী পুরুষের নামাজ কবুল হয়না।

 আসসালামু আলাইকুম ওরহমাতুল্লাহ। 

বন্ধুরা আশাকরছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। 

আজকের ভিডিওতে আলোচনা করতে যাচ্ছি,যে ৫ শ্রেণীর নারী পুরুষের নামাজ কবুল হয়না। 

আপনিও জেনে নিন এই ৫ শ্রেণীর মধ্যে আপনিও আছেন কি না। হযরত আনাস (রযি.)থেকে বর্ণিত,নবী করীম (স.) এরশাদ করেন,৫ শ্রেণীর লোকের কোন নামাজ কবুল হয় না,

নাম্বার ১)  সেই স্ত্রী লোক যার প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট থাকে,অর্থাৎ স্ত্রীর কোন আচরণের কারনে,অথবা কোন কথার কারনে,অথবা কোন কষ্টের কারনে,ঐ স্ত্রীর প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট থাকে,তাহলে ঐ স্ত্রী লোকের নামাজ,আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন না।স্ত্রীদের দায়িত্ব কর্তব্য হলো,স্বামীকে খুশি রাখা,স্বামীর সাথে ভালো আচরণ করা স্বামীর হক আদায় করা,হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রযি.) থেকে বর্ণিত নবী করিম স. এর নিকট, জৈনাকা মহিলা এসে আরজ করলো,হে আল্লাহর রাসুল, স্ত্রীর নিকট স্বামীর কি কি অধিকার আছে।

মহানবী (স.) বললেন, তুলার উপরের থাকলেও নিজেকে নিবেদিত রাখবে না,স্বামীর আহ্বানে সাড়া দিবে,রমজান ব্যাতিত অন্য কোনদিন,স্বামীর অনুমতি ব্যাতিত রোজা রাখবে না,যদি রাখো তাহলে স্বামীর সওয়াব হবে,আর স্ত্রীর গোনাহ হবে,এবং স্বামীর অনুমতি ব্যাতিত বাড়ি থেকে বের হবে না,যদি সে নিজেই বের হয়,তাহলে ফিরে না আসা পর্যন্ত,রহমতের ফেরেস্তা ও আজাবের ফেরেস্তা সবাই তার উপর অভিসাপ দিতে থাকবে,হযরত আদাদা (রহ.) বর্ণনা করেন,আবে আহবার (রযি.) বলেন কিয়ামতের দিন মহিলাদের কে,সর্বপ্রথম প্রশ্ন করা হবে নামাজ সম্পর্কে অথপর স্বামীর হক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে,। 

হযরত হাসান বসরী (রহ.) থেকে বর্ণিত, হযরত নবী করিম (স.) বলেন,কোন মহিলা যদি স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়,তাহলে তার কোন নামাজ কবুল হয়না,যতক্ষণ না সে ফিরে আসে।

যতক্ষণ না সে ফিরে এসে স্বামীর হাতে হাত দিয়ে বলবে,আমার ব্যাপারে তুমি যা করতে চাও করো,।

কোন স্ত্রী লোক যদি নামাজ আদায়ের পর স্বামীর জন্য দোয়া না করে,তাহলে তার স্বামীর জন্য দোয়া না করা পর্যন্ত প্রত্যাখাত হয়ে থাকে,অর্থাৎ নামাজ কবুল করা হয় না।

তাই স্ত্রী লোকদের জন্য জরুরী হলো,স্বামীর ব্যাপারে তার অধিকার গুলো যথাযথ পালন করা।

যদি সে তার নামাজ কবুলের আশা করে, তাহলে স্বামী সাথে সৎ ভাব বজিয়ে রেখে স্বামীর হক সমুহ যথারিতি আদায় করা।

নাম্বার ২) যে গোলাম তার মনিব থেকে পালিয়ে যায়,অর্থাৎ যে কর্মচারী তার মালিক কে না বলে তার মনিব কে না বলে পালিয়ে যায়,এমন গোলামের নামাজ কবুল হয়না।

নাম্বার ৩) সেই বিবাদকারী ব্যাক্তি, যে তার মুসলমান ভাইয়ের সাথে জগড়া করে ৩ দিনের বেশি আলাপ বা কথা বার্তা বন্ধ রাখে,এরকম ব্যাক্তির নামাজ আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন না,এরকম ব্যাক্তিদের কে হিংসুক বলা হয়ে থালে।

জৈনক মনিষী বলেন, তোমরা হিংসা পরিহার করো,কেননা আসমানে সর্বপ্রথম আল্লাহর যে নাফরমানী হয়,তা ছিলো হিংসার কারনে,পৃথিবীতেও সর্বপ্রথম আল্লাহর নাফরমানী সংঘটিত হয়েছিলো হিংসার কারনে।

অর্থাৎ আসমানে আল্লাহর সর্বপ্রথম নাফরমানী করেছিলো ইবলিশ,সে আদম আঃ কে সিজদা করতে অশিকার  করেছিলো,সে বলেছিলো আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছিলেন আগুন দ্বারা।আর আদম কে সৃষ্টি করেছেন মাটি দ্বারা।

এই হিংসার কারনে আল্লাহ ইবলিশ কে অভিশপ্ত করেন,পৃথিবীতে সর্বপ্রথম আল্লাহর নাফরমানী করেছিলো,হযরত আদম আঃ এর পুত্র কাবিল,সে হিংসা করে আপন ভাই হাবিল কে হত্যা করেছিলো।

হিংসার কারনে অভিশপ্ত হয়েছিলো তারা।হিংসার কারনে পৃথিবীর মধ্যে তারা এই অঘঠন ঘঠিয়েছিলো।তাই হিংসা বিদ্বেষ বর্জন করতে হবে।

যে হিংসা করে তার নামাজ নষ্ট হয়ে যায়,।।

নাম্বার ৪) মদে আসক্ত ব্যাক্তি যে মদ পান করে,মদ পানকারী ব্যাক্তির নামাজ আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন না। নেশাগ্রস্ত ব্যাক্তি অনেক জঘন্যতম গোনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ে,ইমাম যুহরী রহ. বর্ণনা করেন,একদিন হযরত ওসমান (রযি.) বক্তৃতা দিতে দাড়িয়ে বললেন হে লোক সকল,তোমরা শরাব থেকে বিরত থাকো,কেননা এটি সকল গোনাহের 

মুল, তোমাদের পুর্বের যুগের জৈনক আবেদ ব্যাক্তি মসজিদে আসা যাওয়া করতেন,একদিন এক বদকার নারী তার সামনে পড়লো সে তার বাদিকে আদেশ করলো,বাদি আবেদ কে ঘড়ে ঢুকিয়ে ঘড়ের দরজা বন্ধ করে দিলো,স্ত্রী লোকটির নিকট শরাব ও একটি শিশু ছিলো,সে বললো তুমি আমার থেকে তিনটির কোন একটি না করে যেতে পারবে না,হয়তো তুমি এক পেয়ালা শরাব পান করবে,নইলে আমার সাথে যৌন কর্ম করবে,নইলে এই শিশুটিকে হত্যা করবে,এর কোন একটি না করলে আমি চিৎকার করে বলবো সে আমার ঘড়ে প্রবেশ করেছে,তখন তোমাকে কে বিশ্বাস করবে,লোকটি তখন দুর্বল হয়ে পড়ে,সে এক পেয়ালা শরাব পান করলো,তারপর বললো আমাকে আরো দাও, মহিলাটি তখন আরো দিলো,এভাবে পান করতে লাগলো এক পর্যায়ে সে মহিলাটির সাথে যৌন কর্ম করলো,সেই শিশু টিকে হত্যা করলো,।ওসমান রযি. বললেন,তোমরা এই থেকে বিরত থাকো,কেননা এই শরাব হচ্ছে সকল গোনাহের মুল,কোন ব্যাক্তির অন্তরে ঈমান ও শরাব একত্রিত হতে পারে না,যেনে রাখো এই দুইটি একে অপরকে ধ্বংস করতে বাধ্য করে,যে নেশা করে যে মদ পান করে, তার জিহবা তার অন্তর তার মুখ সব কিছু অপবিত্র হয়ে যায়,এই ভয়াবহ অপরাধ থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল কে হেফাজত করুক।আমিন।

নাম্বার ৫) সেই ইমামসাব যে লোকদের নামাজ পড়ান,অথচ তার প্রতি অসন্তুষ্টি, হযরত নবী করিম (স.) বলেন আমি তোমাদের এমন একটি সহজ সৎ কথা বলে দিব,যা আল্লাহর নিকট খুবই প্রিয়,সাহাবায়ে কেরাম রযি. বললেন অবশ্যই বলে দিন,।আল্লাহর রসুল স. বলেন, যখন মানুষ নিজেরা সম্পর্ক ছিন্ন করে,তখন তাদের মাঝে সমতা সৃষ্টি করে দিও,এই হলো উত্তম সদকা।অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,যে ব্যাক্তি মানুষের মধ্যে সম্পর্ক কায়েম করে দিবে,এটি সদকার ন্যায় সওয়াব হবে,, আমরা  গুরুত্বপূর্ণ ৫টি জিনিস জানলাম, এই ৫ শ্রেণী নারী ও পুরুষদের নামাজ কবুল করা হয়না,

নাম্বার ১) সেই স্ত্রী লোক যার প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট থাকে। 

নাম্বার ২) যে গোলাম তার মনিব থেকে পালিয়ে যায়। 

নাম্বার ৩) সেই বিবাদকারী ব্যাক্তি যে তার মুসলমান ভাইয়ের সাথে জগড়া করে ৩ দিনের বেশি কথা বার্তা বা আলাপ বন্ধ রাখে।

নাম্বার ৪)  মদে আসক্ত ব্যাক্তি। 

নাম্বার ৫) সেই ইমাম সাহেব যিনি লোকদের নামাজ পড়ান, অথচ তার প্রতি অসন্তুষ্টি থাকেন তার মুসুল্লিয়ানে কেরাম।

হযরত নবী করিম স. আমাদের কে এই ৫ শ্রেণীর লোকদের থেকে হেফাজত থাকতে বলেছেন।

আমরা যারা এই অপরাধ গুলোর মধ্যে লিপ্ত রয়েছি,বিশেষ করে আমাদের নারী সমাজের মধ্যে অনেক মা বোনেরা রয়েছেন, স্বামী কে অসন্তুষ্টি করে চলে থাকেন,তাদের উচিৎ হলো স্বামী কে খুশি করে চলা,স্বামীর হক আদায় করা,রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, আমি যদি আল্লাহ তায়ালা ব্যাতিত কাউকে সিজদা করার অনুমতি দিতাম আদেশ প্রদান করতাম,তাহলে মহিলাদের কে বলতাম,তারা যেন তাদের স্বামী কে সিজদা করে,স্বামীর হক সমুহ আদায় করে,রাসুলুল্লাহ সাঃ স্বামীদের মর্যাদার ব্যাপারে এত গুরুত্ব প্রদান করেছেন।



 প্রিয় দর্শক  এই ছিল আমাদের আজকের ভিডিও,, 

 ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন,,, আর আমাদের নিয়মিত ভিডিও পেতে এখনই আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বেল আয়কনটি প্রেস করে রাখুন,, এতে করে আমাদের ভিডিও নোটিফিকেশন আপনার কাছ পৌছাবে


Post a Comment

0 Comments