Header Ads Widget

Responsive Advertisement

১৪০০ বছর আগে মহানবী সাঃ কে ছায়া দেওয়া গাছ আজো দাড়িয়ে আছে






গাছ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ছায়াদানকারী সেই গাছ আজও মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে আছে,,,, 

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আজ থেকে,, আজ থেকে পনের বছর পূর্বে,, যে গাছটির নিচে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্রাম নিয়েছিলেন,, জর্ডানের মরুভূমির অভ্যন্তরে  সাফাই এলাকায় সেই গাছটি আজও দাঁড়িয়ে আছে,, জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহ  সর্বপ্রথম স্থানটিকে পবিত্র স্থান হিসেবে ঘোষণা দেন,, পৃথিবীতে এত পুরনো কোন গাছ বেঁচে আছে তা বিশ্বাসযোগ্য না হলেও সত্যি,, 

মরুভূমির রুক্ষ পরিবেশের কারণে জন্মে থেকে গাছটি ছিল পাতাহীন শুকনো,, কিন্তু এক সময় আল্লাহর হুকুমে গাছটি সবুজ পাতায় ভরে ওঠে,, এবং আজ পর্যন্ত গাছটি সবুজ-শ্যামল অবস্থায়  দাঁড়িয়ে আছে,, 

অবিশ্বাস্য এই গাছটি জর্ডানের মরুভূমিতে সাফাই এলাকায় দন্ডায়মান,, জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহ এই স্থানটিকে পবিত্র স্থান হিসেবে ঘোষণা দেন,, মরুভূমিতে আজও দাঁড়িয়ে আছে নবীজিকে ছায়াদানকারী সেই গাছ,, 582 খ্রিস্টাব্দে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তখন বয়স 12 বছর,, 

তিনি তার চাচা আবু তালেবের সাথে বাণিজ্য উপলক্ষে মক্কা থেকে তৎকালীন সাম্বা সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন,, যাত্রাপথে তারা সিরিয়ার অধরে জর্ডানে এসে উপস্থিত হন,, 

জর্ডানের সেই এলাকাটি ছিল শত শত মাইল ব্যাপি বিস্তৃত উত্তপ্ত বালুকাময় মরুভূমির,, 

মহানবী এবং তার চাচা আবু তালেব মরুভূমি পাড়ি দিয়ার সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন,, 

তখন তারা একটু বিশ্রামের জায়গা খুঁজছিলেন। কিন্তু আশেপাশে তারা কোন বসার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না, 

চারিদিকে যতদূর চোখ যায় বৃক্ষরাজির সন্ধান পাচ্ছিলেন না,, 

তারা কিছু দূরে প্রায় মৃত একটি গাছ দেখতে পেলেন  উত্তপ্ত মরুভূমির মধ্যে গাছটি ছিল লতাপাতা হীন শীর্ণ এবং মৃতপ্রায়,, 

উপায় না পেয়ে তারা মরুভূমির উত্তাপে শীর্ণ পাতা হীন সেই গাছটির তলায় বিশ্রাম নিতে বসেন,, 

মরুভূমিতে আজও দাঁড়িয়ে আছে নবীজিকে ছায়াদানকারী সেই গাছ,, 

উল্লেখ্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পথ চলতেন তখন আল্লাহর নির্দেশে মেঘমালা তাকে  ছায়া-দিতো

এবং বৃক্ষরাজি তার দিকে হেলে পড়ে সায়া দিতো,,

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তার চাচাকে নিয়ে গাছের নিচে বসে ছিলেন, তখন আল্লাহর নির্দেশে মৃতপ্রায় সেই গাছটি সজীব হয়ে ওঠে,, 

এবং গাছটির সমস্ত ডালপালা সবুজ পাতায় বরে যায়,, 

সেই গাছটি বর্তমান সাহাবী গাছ নামে পরিচিত,, এই ঘটনা দূরে দাঁড়িয়ে জার্জিস ওরফে বহায়ারা নামে এক খৃষ্টান পাদ্রী সবকিছু দেখছিলেন,, 

আবু তালেব মোহাম্মদ কে,, সঙ্গে নিয়ে কাছে গিয়ে তিনি বললেন তিনি এই গাছের নিচে কোনদিন কাউকে বসতে দেখেননি,, 

গাছটিও ছিল পাতাহীন,, কিন্তু আজকে গাছটি পাতায় পরিপূর্ণ,, এই ছেলেটির নাম কি,, চাচা আবু তালেব উত্তর দিলেন মোহাম্মদ পাদ্রী আবার জিজ্ঞাসা করলেন,, 

বাবার নাম,,, কি আব্দুল্লাহ,, মাতার নাম আমিনা,, 

মরুভূমিতে আজও দাঁড়িয়ে আছে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ছায়াদানকারী সেই গাছ,, 

বালক মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে দেখে, এবং তার পরিচয় শুনে দৃড় দৃষ্টিসম্পন্ন পাদ্রীর চিনতে আর বাকি রইল না,, 

যে এই সেই বহু প্রতীক্ষিত শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম,,

 চাচা আবু তালেব কে ডেকে পাদ্রী বললেন তোমার সঙ্গে বসা বালকটি শারা জগতের সরদার ,, 

 শারা বিশ্বের নেতা,, এবং এ জগতের শেষ নাবী,, 

 তিনি বলেন আমি তার সম্পর্কে বাইবেলে পরেছি,,

 এবং আমি ঘোষনা দিচ্ছি এই বালকটি শেষ নবী,, 

 চাচা আবু তালেব এবং মুহাম্মাদ সাঃ, যেই গাছের নিচে বশে  বিস্রাম নিচ্ছেলেন সেই গাছটি ১৫ সত বছর আগে যেই স্থানে ছিলো,, আজো সেই অবস্থায় জর্ড়ানের মুরুভুমিতে দাড়িয়ে আছে,, গাছটি সবুজ লতা পাতায় ভরা,, সতেজ এবং সবুজ,, 

 আশ্চর্যের বিষয় এই যে গাছটি যেখানে অবস্থিত,, তেমন মরুদ্দানে গাছ সেখানে বেচে থাকা সম্ভব নয়,, গাছটির আশেপাশে কয়েক সো  কিলোমিটার এলাকায় আর কনো গাছ নেই,, 

 গাছটির দিগন্ত জুড়ে শুধুই মরুভূমি আর মরুভূমি,, 

 উত্তপ্ত বালুক ময় এই মরুভুমির মাঝে গাছটি  দাঁড়িয়ে থেকে,, 

 আল্লাহর অসীম ক্ষমতার সাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছে,, 

 প্রিয় দর্শক  এই ছিল আমাদের আজকের ভিডিও,, 

 ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন,,, আর আমাদের নিয়মিত ভিডিও পেতে এখনই আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বেল আয়কনটি প্রেস করে রাখুন,, এতে করে আমাদের ভিডিও নোটিফিকেশন আপনার কাছ পৌছাবে,, আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে অন্য কনো ভিডিওতে,, ভালো থাকবেন  ধন্যবাদ সবাইকে,,


Post a Comment

0 Comments