Header Ads Widget

Responsive Advertisement

শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম | শবে কদর নামাজ কত রাকাত | কদরের নামাজ কোন সুরা দিয়ে পড়বেন |কদরের দোয়া 👇👇👇👇

 আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। 

সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানি ও দয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন।      

(Online madrasha bd)    ইউটিউব চ্যানেলের আরো একটি নতুন ভিডিওতে আপনাদেরকে জানাই স্বাগতম।   

প্রিয়  দর্শক,, 

রমজান মাসের শেষ দশ দিনের যেকোন বেজোড় রাত শবে-কদর। তবে সাধারণভাবে ২৭ রমজানের রাতকেই শবে-কদর ধরা হয়। এই রাতের কোন এক সময় পৃথিবীর সকল অচেতন পদার্থ, বৃক্ষ-লতা ইত্যাদি আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে সিজদাহ্‌ করে থাকে।


এই রাতে ফেরেশতাগণ পৃথিবীতে এসে মানুষের ইবাদত পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের শান্তি কামনা করেন। তাই এই রাতে জেগে থেকে কুরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, দোয়া-দুরূদ, জিকির ইত্যাদি ইবাদত বেশি করে করা প্রত্যেক মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।


শবে-কদরের নামাজের নিয়ত


নাওয়াইতু আন্‌ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা’য়ালা রাকআতাই সালাতিল লাইলাতিল কাদ্‌রি নফ্‌লে মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি- আল্লাহু আকবর।


অর্থ: আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য শবে কদরের দুই রাকআত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবর।


শবে-কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম


শবে-কদরের নামাজ দুই রাকআত করে চার রাকআত পড়তে হয়। এরপর যত ইচ্ছা নফল নামাজ পড়া যায়। এই নামাজের প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর একবার সূরা কদর ও তিনবার সূরা ইখ্‌লাস পড়তে হয়।


নামাজ শেষে নিচের দোয়াটি কমপক্ষে একশত বার পড়া উত্তম:


“সুব্‌হানাল্লাহি ওয়াল হাম্‌দু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, লা হা’ওলা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহিল্‌ আলীয়্যিল আযীম”।


লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত : পবিত্র কুরআন ও সহীহ-হাদীস দ্বারা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ‘শব-ই-বরাত’ নিয়ে এবং শব-ই-বরাতের হাদিসগুলোর বর্ণনা নিয়ে হাদিস বিশেষজ্ঞ ও ফকিহ্দের মধ্যে যে সংশয় রয়েছে- লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে তার কোনো অবকাশ নেই। পবিত্র কুরআন, নির্ভরযোগ্য হাদিস এবং রাসূলুল্লাহ সা:-এর লাইলাতুল কদরের জন্য গৃহীত কর্মতৎপরতা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।


এ সম্মানিত রজনীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি এ (কুরআনকে) কদরের রাতে নাজিল করেছি। তুমি কি জান, কদরের রাত কি? কদরের রাত হাজার মাস হতেও উত্তম-কল্যাণময়’ (সূরা আল কদর : ১-৩)।


এ রাতের আর একটি গুরুত্ব হল এ পবিত্র রাতেই কুরআন নাযিল হয়েছে। আর এ কুরআনের সাথেই মানুষের ভাগ্য জড়িয়ে আছে। এ জন্য কদরের আর একটি অর্থ হল- ভাগ্য। তাহলে লাইলাতুল কদরের অর্থ হয় ভাগ্য রজনি। যে মানুষ, যে সমাজ, যে জাতি, কুরআনকে বাস্তব জীবন বিধান হিসাবে গ্রহণ করবে তারা পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে সম্মানীত হবে। এ রাতে নাযিলকৃত কুরআনকে যারা অবহেলা করবে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। এ রাতেই মানব কল্যাণে আল্লাহ মানুষের জন্য চূড়ান্তু সিদ্ধান্ত ফেরেস্তাদের জানান। আল্লাহ বলেন- 

“এ রাতে প্রত্যেকটি ব্যাপারে অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত ও সুদৃঢ় ফায়সালা জারি করা হয়।”


গুনাহ মাফ : ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান সহকারে ও আল্লাহর নিকট হতে বড় শুভফল লাভের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, তার পিছনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।’ (বুখারি-মুসলিম)

এ রাতে কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া আর কেউ বঞ্চিত হয় না। (ইবনে মাজাহ-মিশকাত)


এ রাতে আমাদের করণীয়-

 মহিমান্বিত এ রজনীতে প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্য করণীয় কিছু আমল রয়েছে। কারণ এ রাতটি বছরে একবারই আসে এবং একটি কদরের রাত পাওয়ার অর্থ হলো- হাজার মাস একনিষ্টভাবে মহান প্রভূর ইবাদত কাটানোর সৌভাগ্য অর্জন করা।

সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের 

প্রথম করণীয় হলো- পবিত্র রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি বেজোড় রাত যেকোনো মূল্যে ইবাদত-বন্দেগীতে কাটানোর নিয়ম করে প্রস্তুতি গ্রহণ করা।


দ্বিতীয় করণীয় হলো- প্রতিটি বেজোড় রাতে মাগরিব, ইশা এবং ফজরের নামাজ অবশ্যই জামাতের সঙ্গে মসজিদে আদায় করা।

তৃতীয় করণীয় হলো- সালাতুত তাসবীহ ও বিভিন্ন নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকারসহ যে কোনো ধরনের নেক আমলে সময় কাটানো।


চতুর্থ করণীয় হলো- বেশি বেশি তাওবা-দোয়া-মোনাজাত করা। 


পঞ্চম করণীয় হলো- এ রাতে দান-সাদাকাহ করাকেও অধিক উত্তমা


এই রাতের মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে পবিত্র কোরআন শরিফের সূরা কদরে আল্লাহ পাক বলেন, ‘লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহ্র’। অর্থাৎ হাজার মাসের চেয়ে সর্বোত্তম এই রাত। এ রাতে শেষ আসমানে এসে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘তোমাদের মাঝে এমন কে আছো, যে আমার কাছে নাজাত চাও? কল্যাণ চাও? তোমাদের মধ্যে কে আছো, যে মুক্তি চাও?’


 আশা করি ভিডিওটি আপনাদের ভালো লেগেছে,, ভিডিওটি ভালো লাগলে অবশ্যই একটি লাইক দিবেন,, এবং কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাবেন। 

আর আপনি যদি আমাদের চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকেন,, অবশ্যই আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবেন। 

এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ,।

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।


Post a Comment

0 Comments