আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা ,, (True Search Bangla) ট্রু সার্চ বাংলা,,,,,,,, ইউটিউব চ্যানেলের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাই অফুরন্ত ভালোবাসা।
আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন । আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো মা ফাতিমার কষ্টের রোজা সম্পর্কে।বিস্তারিত জানতে হলে ভিডিটি না টেনে সমূর্ন্ন দেখার অনুরোধ রইল। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক আজকের নতুন ভিডিও।
তখন ছিল পবিত্র রমজান মাস। সমগ্র মদিনাতে তখন চলছে মুসলমানদের রোজা রাখার বিশাল তোড়জোড়। আল্লাহর মনোনীত বিধান অনুপাতে আজ হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু,, উনার স্ত্রী, হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা এবং হযরত হাসান এবং হোসেন রাদিয়াল্লাহু আনহু পর্যন্ত রোজা রেখেছেন। সারাটা দিন নানা ধরনের ব্যস্ততায় উনাদের দিন অতিবাহিত হয়ে গেল। যখন বিকেল গড়িয়ে সূর্যাস্ত হবার উপক্রম হল ,,তখন হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা ঘরে গেলেন,,, এবং যত আটা মজুদ ছিল তা দিয়ে তিনি চারটে রুটি তৈরি করলেন। এবং একটি রুটি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে প্রদান করলেন। এবং অপর দুটি রুটি উনার ছেলে হাসান হোসা্ইন রাদিয়াল্লাহু আনহুকে প্রদান করলেন। আর অপর একটি রুটি তিনি নিজের জন্য রেখে দিলেন । যখন মসজিদে হযরত বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু সুমধুর কন্ঠে আযান দিলেন,, তখন হযরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু পরিবারের সকলেই নিজেদের বন্টিত রুটি দিয়ে ইফতারী শুরু করলেন। যখন হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহু উনার ভাগের অর্ধেক রুটি খেয়ে সমাপ্ত করলেন,, তখন বাকি অর্ধেক রুটি তিনি উনার আঁচলে বেঁধে ফেলেন। এই দৃশ্য দেখে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু উনার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললেন ,,,তুমি তো মাত্র অর্ধেক রুটি খেলে। তোমার কি কোন ক্ষুধা নেই। হযরত হাসান এবং হোসা্ইন রাদিয়াল্লাহু আনহু এই দৃশ্য দেখে,, তারাও তাদের মাকে একই প্রশ্ন করলেন। তখন জবাবে হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন,, যখন আমি রুটি খাচ্ছিলাম তখন হঠাৎ করে আমার আব্বাজান এর কথা মনে পড়ে গেল। যদিও এখানে আমরা বসে বসে ইফতার করছি ,,এমনও তো হতে পারে যে,, অন্যদিকে আমার আব্বাজান না খেয়ে আছেন। একটা মেয়ে তার আব্বাজান কে অভুক্ত রেখে কিভাবে পেট ভরে খেতে পারে বলো???? একথা বলেই হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর ঘরের উদ্দেশে রওনা দিলেন। যখন তিনি উনার নিজের ঘরে এসে পৌঁছালেন,, তখন তিনি দেখতে পেলেন যে,, হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মাগরিবের নামাজ পড়তে ইতিমধ্যে মসজিদে চলে গেছেন। তিনি তখন উনার আব্বাজানের অপেক্ষায় ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে রইলেন। যখন নামাজ শেষে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নিজের ঘরে ফিরে এলেন,, তখন তিনি দেখতে পেলেন যে উনার আদরের মেয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি উনার আদরের মেয়েকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করলেন,, আজ হঠাৎ করে এই সময়ে তুমি ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে আছো কেন???? এরপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম,, উনার মেয়েকে নিয়ে ঘরে ঢুকলেন। তখন ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা রাসূল সাঃকে উদ্দেশ্য করে বললেন,, আজ যখন আমি ইফতার করছিলাম তখন আপনার কথা আমার প্রচন্ড মনে পড়ছিল। তাই আমি আমার খাবারের অর্ধেক আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। এই কথা শুনে,, দয়া নবী দুই চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বললেন,, মা. তুমি আজ আমার জন্য খাবার নিয়ে এসে অনেক উপকার করেছ। আজ যদি তুমি আমার জন্য খাবার না নিয়ে আসতে,, তাহলে হয়তো চতুর্থ দিনের মতো আমাকে অভুক্ত অবস্থায় থাকতে হতো। নবীর মুখে এমন কথা শুনে ,হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহার দুই চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে গেল। তিনি উনার আঁচল থেকে সেই রুটির অর্ধেক টুকরো বের করে তা ছিড়ে ছিড়ে আমাদের নবীকে খাওয়াতে লাগলেন। এবং অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে তিনি আমাদের নবীকে বলেন,, আব্বাজান আজ হয়তো আমার বদৌলতে আপনি কিছু খেতে পেয়েছেন। কিন্তু কাল কি হবে???? কাল কি আপনি খাবার জন্য কিছু পাবেন???? আমাদেিই বা কি হবে???? আমরা তো এটাও জানি না যে,, কাল আমরা কিছু খাবার পাব কিনা??? এই কথা শুনে আমাদের নবী উনার আদরের মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলেন,,, মা বেশি বেশি ধৈর্য ধারণ করো।
কারণ,, আমাদের এই ধৈর্যের কারনে আল্লাহতালা আমার দুর্বল উম্মতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন।
প্রিয় বন্ধুরা,,, এই ছিল উনার আদরের উম্মত কে বাঁচানোর জন্য,,আমাদের প্রিয় নবীর প্রচেষ্টা । উনি তিনদিন যাবৎ না খেয়ে আছেন,, কিন্তু তিনি বিন্দুমাত্র কষ্ট পাননি। তিনি চেয়েছেন যে,, কষ্টের কারণে যাতে আমাদের গুনাহসমূহ কে ক্ষমা করে দেয়া হয়। উনারা ইফতার করার জন্য অতি সামান্য খাবার খেয়েছেন। অথচ যদি আমরা আমাদের দিকে লক্ষ্য করি,, তাহলে আমরা দেখতে পাই যে ,,আমরা যা খাই তার চাইতে বেশি অপচয় করি। আমাদের উচিত,, যতটুকু আমাদের সাধ্যে কুলায় ততটুকু খাবার গ্রহণ করা। আরো ভালো হয় যে,, ক্ষুধার্ত কোন ব্যক্তিকে নিজের খাবারের সঙ্গী বানিয়ে নেওয়া। আল্লাহতালা আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন। এবং অপচয় করা থেকে আমাদের সকলকে রক্ষা করুন। আমিন!!! তো প্রিয় দর্শক যারা ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখেছেন তারা কমেন্টে আমি লিখে জানাবেন।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের প্রত্যেককেই যেন সুস্থ রাখেন ভাল রাখেন। নিরাপদে রাখেন। এই কামনাই আজকের ভিডিওটির এখানেই সমাপ্তি। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।
তো সুপ্রিয় দর্শক, এই ছিল আমাদের আজকের ভিডিও। ভিডিওটি ভাল লাগলে লাইক দিন। আর নিয়মিত আমাদের ভিডিও পেতে এখনি আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বেল আইকনটিও প্রেস করুন। দেখা হবে অন্য কোন ভিডিওতে। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
0 Comments