Header Ads Widget

Responsive Advertisement

পরকালে মানুষের হিসাব || হাশরের ময়দান || কিয়ামত || পুলসিরাত || Pulsirat || The Judgement ডায়👇👇

 আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা,, আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন,,

 কেয়ামতের দিন যখন কোন ব্যক্তি পুলসিরাত অতিক্রম করবে তখন তার জন্য শুধুমাত্র তিনটি রাস্তাযই খোলা থাকবে,,, জান্নাত জাহান্নাম এবং পুলসিরাত। 








  আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ইরশাদ করেন,,  সর্বপ্রথম আমি নিজে এবং আমার উম্মতেরা পুলসিরাত অতিক্রম করবো। 

   কিয়ামতের দিন যখন জমিন এবং আসমানের অবস্থা পরিবর্তন করে দেয়া হবে,, তখন সবাইকে পুলসিরাতের রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করতে হবে।

    যেখানে মাত্র দুইটি রাস্তা থাকবে,,, এক হচ্ছে জান্নাত।

     এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে জাহান্নাম। 

     জান্নাতের সবুজ বাগানে পৌঁছানোর পূর্বে সকল উম্মতকে জাহান্নামের উপর দিয়ে অতিক্রম করতে হবে। 

     তখন জাহান্নামের ওপর একটি পুল নির্মাণ করে দেয়া হবে।

      সেই পুলের নামই হচ্ছে পুলসিরাত। 

       কোন উম্মত যখন পুলসিরাত পার করে অপর পাশে পৌঁছাবে,,, তখন সেখানে সে জান্নাতের দরজা উন্মুক্ত অবস্থায় দেখতে পাবে।

        এবং সেই জান্নাতের দরজার সামনে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম দাঁড়িয়ে সমস্ত জান্নাতবাসীদের কে স্বাগত জানাবেন। 

        পুলসিরাতের রাস্তাটি হবে অনেক বেশি পিচ্ছিল এবং চুলের চাইতেও সরু।

         পুলসিরাতের রাস্তা তলোয়ারের চেয়েও অনেকবেশী ধারালো হবে।

          সেইসাথে পুলসিরাতে রাস্তাটি হবে অনেক বেশি অন্ধকারাচ্ছন্ন।

           এবং তার নিচেই ভয়ঙ্কর জাহান্নামের আগুনের লেলিহান শিখা দাও দাও করে জ্বলতে থাকবে।

            কোন গুনাহগার বান্দা যখন পুলসিরাত অতিক্রম করবে,, তখন তার পিঠে গুনাহগুলো কে দিয়ে দেয়া হবে। 

            যদি সে দুনিয়াতে বেশি গুনাহ করে থাকে,, তাহলে তার গুনাহের বোঝা অনেক ভারী হবে।

             এবং পুলসিরাত অতিক্রম করার সময় তার গতি অনেক কমে যাবে।

              যেমনটা ঠিক,, আমরা যখন কোন ভারী বোঝা মাথায় করে নিয়ে হাঁটি। 

              তখন যেমন আমাদের হাটার গতি কমে যায় ঠিক তেমনি!!!!

               মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সেই ভয়ানক অবস্থা থেকে আমাদেরকে হেফাজত করুন। 

     আমিন!!!!!

      আর যে উম্মতের গুনা হের বোঝা হালকা হবে,, তার গতি পুলসিরাতের ওপর অনেক দ্রুততর হবে।

       পুলসিরাতের রাস্তার উপর অনেক ধারালো কাঁটা বিছানো থাকবে, যখন কোন উম্মত পুলসিরাতে রাস্তা পার হতে যাবে,, তখন এ কাটার কারণে তারা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাবে। কিন্তু তখন সমস্ত লোক তাদের নিজের গুনাহের কারণে এতটাই চিন্তিত থাকবে যে,, তারা সেই ক্ষত বিক্ষত পায়ের দিকে দৃষ্টিপাত পর্যন্ত করবে না।  যখন কোন গুনাহগার বান্দা পুলসিরাতের উপর থেকে পড়ে গিয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হতে থাকবে,,, তখন তার আর্তচিৎকারে পুলসিরাত তখন অনেক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। 

       আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম পুলসিরাতের অপরপাশে জান্নাতের দরজার সামনে দন্ডায়মান অবস্থায় থাকবেন। যখন উনা।র কোন উম্মত পুলসিরাতের উপর প্রথম পা ফেলবে তখন তিনি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতে থাকবেস.....

       

 يا ربي سلام  يا ربي سلام  يا ربي سلام

 

ইয়া রাব্বি সালাম!!!! ইয়া রাব্বি সালাম!!!! 

ইয়া রাব্বি সালাম!!!!


 নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর যত উম্মত রয়েছে,,, তাদের সকলের উচিত,, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ( সা)  এর শানে বেশী বেশী দরুদ পাঠ করা। 

 কিয়ামতের ময়দানে অনেক মানুষ অনেককে পুলসিরাতে রাস্তা অতিক্রম করতে দেখবে,,  এবং অনেক লোককে জান্নাতে প্রবেশ করতেও দেখবে।

 বান্দা তখন তাদের পিতা, মাতা, সন্তান সন্তানাদি দেরও পুলসিরাতে রাস্তা অতিক্রম করতে দেখবে,, কিন্তু তখন সে তাদের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র চিন্তা করবে না।

  তখন সমস্ত মানুষের সামনে একটাই চিন্তা ঘুরতে থাকবে যে,, কিভাবে আমি এই পুলসিরাতের রাস্তা অতিক্রম করতে পারব??? এক রেওয়াতে বর্ণিত আছে যে,,,  হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা কিয়ামতের বিভীষিকার কথা চিন্তা করে অনেক বেশি কান্নাকাটি করছিলেন,,,, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা কে প্রশ্ন করেন,,, হে আয়শা তোমার কী হয়েছে তুমি এমন ভাবে কান্নাকাটি করছ কেন????

   তখন জবাবে হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা বলেন,,, আমার কিয়ামতের অবস্থার কথা স্মরণে চলে এসেছে। 

   যার বিভীষিকাময় অবস্থার কথা চিন্তা করেই আমি কান্নাকাটি করছি। 

   হে আল্লাহর রাসূল!!! সেি কিয়ামতের ময়দানে আমরা কি আমাদের মা বাবার কথা স্মরণ করতে পারব?????

    তখন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ইরশাদ করেন,,, হ্যাঁ,, তোমরা তাদের সবাইকে স্মরণ করতে পারবে, কিন্তু সেখানে তিনটে অবস্থা এমন হবে যে,,, কেউ কারো কথা চিন্তা করতে পারবেনা।

     প্রথমত,,, যার আমলকে পরিমাপ করা হবে।

      দ্বিতীয়ত,,,, যার হাতে আমলনামা দেয়া হবে তৃতীয়ত,,, যখন কোন ব্যক্তি পুলসিরাতের রাস্তা অতিক্রম করবে। 

      

প্রিয় দর্শক স্রোতা,,,,,,

দুনিয়ার যত রকমের ফেতনা ফ্যাসাদ আছে তা থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

 ভাল কর্মের প্রতি যতোটা সম্ভব চেষ্টা জারি করতে হবে।

  এবং এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে কিভাবে জান্নাতে প্রবেশ করাতে হবে,,, সে ব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করতে হবে।

   যার প্রতিদান জমিন এবং জীবনের চাইতেও অনেক বেশি হবে।

   আল্লাহপাক সবাইকে জান্নাতে প্রবেশ করার তৌফিক দান করুন। 

  আমিন!!!!!

69।আজ জুমার দিনে আল্লহ ও রাসুরের প্রিয় দোয়াটি

১০০ বার পড়ুন।পেরেশানি দূর হবে।

মনের আশা পূরণ হবে


Post a Comment

0 Comments