আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। 

প্রিয় দর্শক ,,

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ইন্তেকাল অবশ্যই বিশ্ববাসির জন্য বেদনাদায়ক। 

ইবনে মাজাহ শরিফে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, মঙ্গলবার সাহাবায়ে কেরাম রাসুলে কারিম সা.-এর গোসল ও কাফনের কাজ শেষ করেন। নবীজির দেহ মোবারক রওজার পাশে রাখেন। সাহাবারা দল দলে নবীজির কাছে আসতে থাকেন। কারও ইমামতিতে নয়; সবাই একা একা নামাজ ও দুরুদ শেষে বেরিয়ে যান। (ইবনে মাজাহ)


 অন্য কিতাবে আছে, রাসুল সা.-এর ইন্তেকাল এর আগে সাহাবিরা নবীজির দরবারে আসলেন। সাহাবাদের দেখে নবীজির চোখে বেদনার জল। নবীজি বললেন, আমি তোমাদের আল্লাহর কাছে সোপর্দ করছি, আল্লাহ তোমাদের সঙ্গী হবে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রাসুল সা.! আপনার যাওয়ার সময় খুব নিকটে চলে এসেছে, আপনার ইন্তেকালের পর আপনাকে কে গোসল দিবে? রাসুল সা. বললেন, আমার আহলে বাইত মানে আমার পরিবারের সদস্যরা। 

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ আবার জানতে চাইলেন, কে আপনাকে কাফন পরাবে? রাসুল সা. বললেন, আমার আহলে বাইত। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ আবার জানতে চাইলেন কে আপনাকে কবরে নামাবে? রাসুল সা. বললেন, আমার আহলে বাইত। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ আবার জানতে চাইলেন কে আপনার জানাজা কে পড়াবে? তখন রাসুল সা.-এর চোখ বেয়ে বেদনার জল নেমে এলো। তিনি বললেন, তোমাদের নবীর জানাজা এমন হবে না, যেমন তোমাদের হয়। 


যখন আমার গোসল হয়ে যাবে তখন তোমরা সবাই ঘর থেকে বের হয়ে যাবে। সবার আগে জিবরাইল আমার জানাজা পড়বে। তারপর মিকাঈল ও ই¯্রাফিল ধারাবাহিকভাবে আরশের অন্যান্য ফেরেশতারা আসবে ও আমার জানাজা পড়বে। তারপরে তোমাদের পুরুষরা, নারীরা এবং শিশুরা আমার জন্য দোয়া ও সালাম পড়বে। অতঃপর তোমরা আমাকে আল্লাহর সোপর্দ করে দিবে।

 রাসুলুল্লাহ্ ( সা. ) কবর কে খনন করেছিলেন সে ব্যপারে বিস্তারিত কোথাও উল্লিখিত নেই। কিন্তু মৃত্যুর পর রাসুলুল্লাহ্ ( সা. ) এর পবিত্র দেহ কে ধৌত করেছিলেন এবং কে দাফন করেছিলেন সে ব্যপারে হাদীসে উল্লিখিত আছে৷


যাঁরা রাসুলুল্লাহ্ ( সা. ) এর শরীর ধৌত করার কাজে অংশীদার ছিলেন তাঁদেরকে বর্ণনা করতে গিয়ে ইবনে আল-ওয়ার্দী উল্লেখ করেছেন,


“ আলী, আব্বাস, ফাযল, কাসিম, উসামাহ্ এবং শাকরান। আব্বাস, ফাযল এবং কাসিম শরীরটি উল্টিয়েছিলেন। উসামাহ্ এবং শাকরান পানি ঢেলেছিলেন এবং আলী ( আ. ) ধৌত করেছিলেন। "

তারিখ আল-খামিস কিতাবে উল্লিখিত আছে যে সে সময় আলী ( আ. ) ছাড়া অন্য সকলের চোখ বেধে দেওয়া হয়েছিল।


আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,, আলীর চারটি অসাধারণ গুণাবলির মধ্যে একটি ছিল যে তিনিই রাসুলুল্লাহ্ ( সা. ) এর পবিত্র শরীর করবে স্থাপন করেছেন।