Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সন্তান লাভের দোয়া |

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের অশেষ কৃপায় ভালো আছেন,

প্রিয় দর্শক ,,





যেকোনো সমস্যায় আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করার বিকল্প নেই। অসুস্থতায়ও চিকিৎসার পাশাপাশি মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে হয়। কারণ, সুস্থতা দান করার মালিক আল্লাহ। মহান আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া মানুষ কিছুই অর্জন করতে পারে না। আর সন্তান-সন্ততি দানের মালিকও কেবল আল্লাহ।


এমনকি আল্লাহ যাকে সন্তান দান করেন— কোনো অসুস্থতা কিংবা কোনো সমস্যাই তার জন্য বাঁধা হয়ে দাড়ায় না। আর তিনি না চাইলে কোনোভাবেই সন্তান লাভ করা যায় না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন অথবা ছেলে-মেয়ে উভয়ই দান করেন। আবার যাকে ইচ্ছে বন্ধ্যা করেন।’ (সুরা আশ-শুরা: ৫০)

সুতরাং সন্তান চাইতে হবে কেবল আল্লাহর কাছেই। আপনি একনিষ্ঠ মনে তাঁরই কাছে নেক সুস্থ ও সুন্দর সন্তান কামনা করে দোয়া করুন। তিনিই আপনার ডাকে সাড়া দেবেন।


আল্লাহর পক্ষ থেকে হজরত মরিয়মের প্রতি অসাধারণ সব নেয়ামত দেখে বৃদ্ধ বয়সে পয়গাম্বর জাকারিয়া আলাইহিস সালামের সন্তানের আকাঙ্ক্ষা জন্মে। নিঃসন্তান হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম বৃদ্ধ বয়সে আল্লাহর কাছে পুত-পবিত্র নেক সন্তান কামনা করেছেন।


উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য আল্লাহ তাআলা সে দোয়া ও ঘটনা কুরআনুল কারিমে দৃষ্টান্ত ও উত্তম উপায় স্বরূপ তুলে ধরেছেন। যে দোয়ায় বৃদ্ধ বয়সে হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম সন্তান লাভ করেছিলেন। কুরআনুল কারিমে তার সে আবেদন এভাবে উঠে এসেছে-



هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيَّا رَبَّهُ قَالَ رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء


‘সেখানেই জাকারিয়া (আলাইহিস সালাম) তাঁর পালনকর্তার কাছে (এভাবে) প্রার্থনা করলেন। বললেন- হে আমার পালনকর্তা! তোমার কাছ থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান কর। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।’ (সুরা ইমরান : আয়াত ৩৮)


হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামের অনুভূতি ও দোয়া


যে আল্লাহ অসময়ে অর্থাৎ মৌসুমের বাইরে ফল-ফলাদি দান করতে পারেন, সেই আল্লাহ বৃদ্ধ বয়সেও সন্তান দান করতে সক্ষম। তাই তো তিনি বায়তুল মুকাদ্দাসে মারইয়ামের প্রতি আল্লাহর অসাধারণ নিদর্শন দেখে নিজের জন্য নেক সন্তানের প্রার্থনা করেছিলেন এভাবে-



رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء


উচ্চারণ : রাব্বি হাবলি মিল্লাদুংকা জুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যেবাতান ইন্নাকা সামিউদ দোআ।’


‘হে আমার প্রভু! আমাকে তুমি তোমার কাছ থেকে পবিত্র বংশধ্র সৎ সন্তান দান কর। তুমিই প্রার্থনা শ্রবণকারী, কবুলকারী।’ (তাফসিরে জালালাইন)


হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামের অনুপ্রেরণা


পয়গাম্বর হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম ছিলেন নিঃসন্তান। সময়টিও ছিল বাধ্যক্যের। যে বয়সে স্বাভাবিকভাবে সাধারণ সন্তান হয় না। তবে মহান আল্লাহর শক্তি সামর্থে্যর প্রতি তাঁর অগাধ বিশ্বাস ছিল যে, অলৌকিকভাবে এ বার্ধক্যের মধ্যেও তিনি সন্তান দিতে পারেন।


হজরত মরিয়মের প্রতি অনুগ্রহ ও রিজিক দেখে তার অনুপ্রেরণা ও আকাঙ্ক্ষা জাগে। যখন তিনি দেখতে পেলেন যে, আল্লাহ তাআলা ফলের মৌসুম ছাড়াই মারইয়ামকে ফল-ফলাদি দান করেছেন; তখনই তার মনের মধ্যে সন্তানের সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠে আর তিনি দোয়া করার সাহস পেলেন।


তাঁর অগাধ আস্থা এবং বিশ্বাসের পাশাপাশি হজরত মরিয়মের প্রতি অনুগ্রহ নাজিলের বিষয়টি বিশেষ অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ মৌসুম ছাড়াই ফল দিতে পারেন, তিনি বৃদ্ধ দম্পতিকে হয়তো সন্তানও দান করতে পারেন। তাই তিনি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন। ফলে মহান আল্লাহ হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামকে বৃদ্ধ বয়সে সন্তান দান করেন।


সুতরাং যেসব দম্পতির সন্তান-সন্ততি হয় না; তারা এ দোয়ার আমল করলে মহান আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে নিঃসন্তান দম্পতিকেও দান করতে পারেন নেক সন্তান।


কুরআনুল কারিমে তুলে ধরে এ দোয়ায় আল্লাহ তাআলা বান্দাকে এ আহ্বানই করছেন যে, সন্তান প্রয়োজন? আমার কাছে চাও। আমিই পারি বান্দাকে সন্তান দিতে।


নিঃসন্তান দম্পতির জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সৎ সন্তান লাভের কার্যকরী ও প্রমাণিত এক উপযুক্ত দোয়াও এটি। আল্লাহ তাআলা নিঃসন্তান দম্পতিদের এ দোয়ার আহ্বানে সন্তান পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Post a Comment

0 Comments