আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। 

প্রিয় দর্শক ,,

একবার এক ব্যক্তি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে এসে ওনাকে আরজ করলেন-হে খলীফাতুল মুসলিমীন ,,কখনো কি ফেরেশতাদের সর্দার জিব্রাইল আলাই সাল্লাম মুমিনদের ঘরে আসে।  তখন জবাবে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যখন রমজান মাস শেষ হবার পথে চলে আসে, তখন আল্লাহ তাআলা হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এবং মিকাইল আলাইহিসালাম কে আদেশ করেন, যাতে করে তারা প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তির ঘরে গিয়ে এই ঘোষণা দিতে পারে!“ হে আল্লাহর বান্দা এটা হচ্ছে এমন একটা সময়ে যদি তুমি আল্লাহর নিকট কিছু চাও তাহলে আল্লাহ তায়ালা সাথে সাথে তা কবুল করবেন । এবং আমরা হচ্ছি তার সাক্ষী।  তখন সেই ব্যক্তি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু নিকট আবার ও আরজ করেন, হে আমীরুল মুমিনীন!! যখন এত সম্মানীত ফেরেশতারা আমাদের ঘরে এসে থাকে, তখন আমরা তাদের উপস্থিতি বুঝতে পারবো কিভাবে??                                            

 তখন হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু জবাবে বলেন, যখন তাহাজ্জুদের সময় মনে হবে যে তোমার অন্তর অনেক নরম হয়ে গিয়েছে।  এবং তোমার চোখ থেকে বিনা কারণে অশ্রু ঝরে পড়ছে । তখন বুঝে নিবে যে তারা তোমার ঘরে এসে উপস্থিত হয়েছে ।      

এই মুহূর্তে তোমার উচিত নামাজ পড়ে আল্লাহর নিকট দু'আ করা কারণ তখন এমন একটা সময় যখন তারাও তোমার দোয়ার সাথে শরিক হবে।  এবং তোমার মাগফেরাত কামনা করবে।  এবং তুমি আল্লাহর নিকট যে দোয়াই করবে,, তাই আল্লাহ কবুল করবেন।                                                                                      


বন্ধুরা ,,ঈদ অর্থ খুশী ও আনন্দ  উদযাপন। ঈদ অর্থ বারবার ফিরে আসা। সমগ্র মুসলিম উম্মাহের জন্য বছরে দু'টি দিন খুবই আনন্দের। একটি হলো রোজার ঈদ তথা ঈদুল ফিতর আর একটি হলো ঈদুল আযহা। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি জাতির উৎসব আছে, আমাদের উৎসব হলো এই দুই ঈদ’ (মুসলিম, তিরমিজি)। মুসলমানদের ধর্মীয় দুটি উৎসব—ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা।


আর এই ঈদের রাতের রয়েছে বেশ ফজিলত।  এ রাতের কোন এক সময়  সম্মানীত ফেরেশতারা আমাদের ঘরে এসে থাকে। আমাদের দোয়ার সাথে শরিক হতে।  এবং আমাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করতে। 


দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমরা এসব রাত গুলোর ফজিলত না জানার কারনে এর নিয়ামত থেকে অনেক সময় বঞ্চিত হই।বেশীরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের মা বোনেরা ঈদের দিনের রসনার আয়োজন নিয়ে রাত পার করে দেয়, যুবক যুবতীরা চাঁদ রাতের শেষ কেনার নামে জুয়েলারী,কসমেটিকস, জুতা, ব্যাগ পারফিউম কেনা সহ মেহেদী উৎসবে মেতে উঠে।অনেক ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাও এ রাত সমূহের মহত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না থাকার কারনে নিজেরা আমাদের সন্তানদের বুঝাতে সক্ষম হইনা।আল্লাহ সুবহানাহু তা'য়ালা  আমাদের সঠিক দ্বীনের পথ দেখান ও এই সকল মর্যাদাপূর্ণ বরকতময় রাতগুলোতে বেশী বেশী ইবাদত ও সঠিক আমল করার তৌফিক দিন। আমিন।