আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি  ওয়াবারাতুহ।

প্রিয় দর্শক ,,

ফেসবুকে অনেকেই পোস্ট করে থাকেন! বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের মানুষ এটিকে অলৌকিক পাথর হিসেবে জেনে থাকেন। অনেকেই বলে থাকেন ভিন্ন ধরনের কথাবার্তা! কেউ আবার এটাকে কুদরতি বলেও চালিয়ে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলে থাকেন ১৪০০ বছর আগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পাথর দুটি বেধে রেখে গেছিলেন। সেই পর্যন্ত পাথর দুইটি আজও শুন্যের মধ্যে ঝুলে আছে বলে অনেকেই দাবি করেন।


মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন মাত্র ৬ দিনে আমাদের এই বিশ্ব জগত সৃষ্টি করেছেন। আর এই পৃথিবীতে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন তার নিজের স্বকীয়তা প্রমাণের জন্য আমাদের জন্য অনেক নিদর্শন সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি এমন অনেক অলৌকিক বিষয়ের অবতারণা করেছেন এই পৃথিবীতে যাতে আমরা তার পরিচয় ও ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পারি এবং তার উপর বিশ্বাস এনে সঠিক পথের সন্ধান লাভ করি।



তিনি মানব জাতির মুক্তির জন্য পৃথিবীতে অনেক নবী ও রসূল প্রেরণ করেছিলেন এবং তাদের প্রদান করেছিলেন অনেক অলৌকিক ক্ষমতা। যেমন মুসা (আঃ) এর লাঠি সাপে পরিণত হওয়া, সাগর এর মাঝে রাস্তা তৈরি হওয়া, ইউনুস (আঃ) এর মাছের পেট থেকে মুক্তি পাওয়া, ঈসা এর ঊর্ধ্বগমন, মোহাম্মদ (সাঃ) এর হাতের ইশারায় চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়া ইত্যাদি।


কিন্তু এই পাথর আসলে সেধরনের কিছু নয়। আসলে এটা একটা ভাস্কর্য! ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে মনে হওয়া এই ভাষ্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে মিশরের কায়রো বিমানবন্দরের প্রবেশপথে। ২০০৮ সালে নির্মাণ করা হয় পাথরটি। এর নির্মাতা ভাষ্কর শাবান আব্বাস। ভাষ্কর্যটির এভাবে অবস্থান করতে পারার কারণ পাথরগুলো আসলে পাথর নয়, বরং পাতলা মাইল্ড স্টিলের শিট। যার বাইরের দিকে পাথরের মতো রং করা হয়েছে। দড়িটি মূলত লোহার রড যা নিচের পাথরের ভুমি সংলগ্ন অংশের ভেতর দিয়ে ভুমির সাথে দৃঢ়ভাবে যুক্ত করা! শুধু মাত্র মানুষের দৃষ্টি ভ্রম বিনোদনের জন্য।


বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে এই পাথরটিকে ‘ভাসমান অলৌকিক পাথর’ বলে প্রচার করা হয়। কিছু মাধ্যমে বলা হয়, “১৪০০ বছর আগে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক তার নিজ হাতে এই দুইটি পাথরকে বেঁধে রেখে গিয়েছেন। পাথর দুইটি সেই সময় থেকে আজ অবধি শূন্যে ভাসছে”।


ভাস্কর্যটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে মনে হয় উপরের পাথরটি শূন্যে ভাসমান যা নিচের পাথরটির সাথে একটি রশি দ্বারা বাঁধা।