আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি  ওয়াবারাতুহ। 

প্রিয় দর্শক ,,

আমরা প্রত্যেকেই প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকি, তাই না? ঘুম কী? কোনো কোনো বিজ্ঞানী বলেন, ঘুম মানুষের একটি সহজাত ধর্ম এবং এটিই শরীরের মূল চাহিদা। ঘুমের মাধ্যমে শরীর ও মন বিশ্রাম পায়। সারা দিনের কাজকর্ম, ব্যায়াম ইত্যাদি কারণে আমরা ক্লান্ত হই, আর ঘুমের মধ্য দিয়ে শরীর, পেশি, মন ও মস্তিষ্ক বিশ্রাম লাভ করে ও শক্তি সঞ্চয় করে। প্রতিদিন নিয়মিত ঘুমাতে হয়। এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।


মুমিনের প্রতিটি কাজই ইবাদত। ঘুমও এর ব্যতিক্রম নয়। যদি কোনো ব্যক্তি ইসলামের নির্দেশিত পদ্ধতিতে ঘুমায়, তার ঘুমও ইবাদতে পরিণত হয়।


প্রিয় দর্শক ,,

আজকে আমরা জানব,,ঘুমালে মানুষের আত্মা কোথায় চলে যায়?

আত্মার ধরণ-রকম, আকার-আকৃতি ও কার্যক্রম নিয়ে দার্শনিকদের মাঝে অনেক মতভেদ থাকলেও আত্মা যে ঘুমায় না তা নিয়ে কারো মাঝে মতভেদ নাই। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, ‘আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন আমাদের আত্মা কি করে’?


এ প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই সরণাপন্ন হতে হবে পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও দার্শনিক, মহানব হযরত মুহাম্মাদ সা: এর কাছে। একমাত্র তিনিই আমাদেরকে এই জটিল ও কঠিন প্রশ্নের সুষ্ঠু সমাধান দিতে পারবেন।


প্রিয় পাঠক! তাহলে আর দেরি কেন? চলুন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও দার্শনিকের মুখেই শুনি আমরা ঘুমালে আমাদের আত্মা কি করে?


রাসুল সা: এর জলিলুল কদর সাহবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সা: বলেছেন, মানুষ যখন ঘুমায়, তখন তার আত্মা ঊর্ধ্ব আকাশে চলে যায়। অতঃপর তাকে মাহান আল্লাহর আরশের কাছে সিজদা করার নির্দেশ দেয়া হয়। যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় ঘুমায় তার আত্মা আল্লাহর আরশের কাছেই সিজদা করে। আর যে ব্যক্তি অপবিত্র অবস্থায় ঘুমায়, তার আত্মা আরশ থেকে দূরে সিজদা করে। (বায়হাকী, হাদিসটিিইমাম বুখারী তাঁর আত- তারীখুল কাবীর’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন)।


মহানবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় ঘুমায় তার মাথার কাছে একজনফেরেশতা রাতযাপন করে এবং ঐ ব্যক্তি জাগ্রত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। ফেরেশতা বলতে থাকে, “হে আল্লাহ! তুমি তোমার এই বান্দাকে ক্ষমা করে দাও। কেননা সে পবিত্র অবস্থায় রাতযাপন করছে। (তাবরানী ও বায়হাকী।)


অতএব, আসুন! আমরা পবিত্র অবস্থায় ঘুমায় যাতে আমাদের আত্মা আল্লাহর আরশের কাছেই সিজদা দিতে পারে এবং ফেরেশতারা যেন আমাদের জন্য মাহন প্রভুর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারে।