Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নামাজে দুনিয়াবি চিন্তা আসলে কি করতে হয় অধিকাংশ লোক জানেনা??? আপনি জেনে নিন!!👇👇

 আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু

 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

  নামাজে দাঁড়িয়েছেন!!!! দুনিয়ার যত কথা আছে,, যা ভুলে গিয়েছিলেন,, সব মনে পড়ে যাবে। 

  যত হিসাব ছিল সব মিলে যাবে। 

  সুচিন্তা,, দুশ্চিন্তা, কুচিন্তা, খারাপ চিন্তা প্রতিমুহূর্তে যা ভির করেছিল সব মনে পড়ে যাবে। আজেবাজে চিন্তা ধারা অগণিত কথা সব মনে পড়ে যাবে।

   এগুলো আমাদের প্রায় সকলেরই অভিজ্ঞতা। 

   একটু অমনোযোগী হলে যেকোনো চিন্তা মনে চলে আসে। 

   অর্থাৎ আপনি যদি সচেতনভাবে আপনার মনকে নামাজে লাগান তাহলে মনে আপনার সাথে নামাজ পড়বে। নামাজে মন থাকবে। আমরা যখন মনকে অবকাশ দেই তখন বেশিরভাগ সময়ে আজেবাজে চিন্তায় ব্যস্ত থাকে। 

   অর্থাৎ শয়তান তাকে বিভিন্ন আজেবাজে চিন্তায় ব্যস্ত রাখে।

    আল্লাহ তালা বলেছেন,, নিশ্চয়ই মানুষের মন মন্দ কর্ম প্রবণতা। কিন্তু সে নয়,, আমার পালনকর্তা যার প্রতি ইহসান  করেন। 

    (সূরা ইউসুফ আয়াত 53) 

    পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,, যারা নিজেদের নামাজে বিনয়-নম্র তারাই সফলকাম।

    ( সুরা মুমিনুন আয়াত ২)

    আল্লাহতালা আরো বলেছেন,,, এবং তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করোনা,, নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। 

    (সূরা বাকারা আয়াত ২০৮)

    হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে,, হযরত উসমান 

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন,,

 আমি রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম কে বললাম শয়তান আমার এবং আমার নামাজ ও  কেরাতের মধ্যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। 

 এবং তাতে পেঁচ লাগিয়ে দেয়।

  রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বললেন ও একটা শয়তান যাকে খিনঝাব বলা হয়। 

  যখন তুমি তার উপস্থিতি অনুভব করবে তখন তা হতে আল্লাহর কাছে পানা চাইবে

  এবং বাম দিকে তিনবার প্রতিকি থুথু ফেলবে।

   অতপর আমি এরূপ করলাম এবং আল্লাহতালা আমার থেকে শয়তান কে দূর করে দিলেন।

   ( মুসলিম হাদিস নাম্বার 2203) 

   মিশকাত হাদিস নাম্বারঃ সত্তর) 

   দর্শক এখন আমরা জানবো এই ভয়ংকর সমস্যা থেকে আমরা আরো কিভাবে পরিত্রান পেতে পারি।

   ( এক নাম্বার) 

   আল্লাহর কথা স্মরণ করুন,,,, নামাজের মধ্যে যেসব খেয়াল ও কল্পনা আসে তা প্রতিরোধ করার অন্যতম একটি পদ্ধতি হলো আল্লাহর কথা স্মরণ করা। 

   নিয়ত বাধার পর এই কথা কল্পনা করা যে আল্লাহ আমাকে দেখছেন এবং আমি এক আল্লাহর ইবাদত করছি।

    অন্যদিকে মন দেওয়া মাত্রই আল্লাহ আমাকে দেখছেন। এই কথা নিজের অন্তরে কল্পনা করুন।

    ( দ্বিতীয় নাম্বার)

     অর্থ অনুধাবন করুন,,, নামাজের মধ্যে মনোযোগ ধরে রাখার অন্যতম উপায় হলো,, নামাজের মধ্যে কি পড়ছি তার অর্থ অনুধাবন  করা। 

     যেমন আমরা যখন আরবিতে সূরা পাঠ করি তার 

পাশাপাশি এর বাংলা অর্থ মুখস্থ করার চেষ্টা করব।


 ইমাম সাহেব যখন পড়ে তখন ও এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

  নামাজের তিলাওয়াত,, তাসবিহ ও জিকির  যেহেতু সব আরবি ভাষায়,,, তাই এর অর্থ ও মর্মের প্রতি মনোযোগ দিলেই মন সবসময় এরমধ্যে আকৃষ্ট থাকবে। 

  আর এই জন্য প্রত্যেকের উচিত হবে নামাজের মধ্যে আমরা যেসব সূরা ও তাসবিহ পাঠ করি এর অনুবাদ গুলো মুখস্থ করে নেওয়া।

  ( তিন নাম্বার)

   নামাজের পদ্ধতি,,, রুকন চিন্তা নিয়ে করা। নামাজের মধ্যে রুকু ও সিজদা সহ অনেকগুলো রুকন বা নিয়ম পালন করতে হয়।

    আর নামাজের সময় আমরা যদি এই সব নিয়মকানুন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করি তবে অন্য দিকে মন দেওয়ার সুযোগ থাকবেনা।

     নামাজের প্রতিটি রুকন ভেবেচিন্তে আদায় করতে হবে।

      নিয়ত বাধার পর এ কথা ভাবা যে,,,এখন আমি কিয়াম করছি। 

      এবং এটা আল্লাহর জন্য করছি। 

      রুকুতে যাওয়ার সময় একই কথা ভাবতে হবে যে আমি এখন আল্লাহকে রুকু করছি।

       সিজদায় যাওয়ার সময়ও একই ভাবে ভাবতে হবে।

   প্রতিটি রূকনে যাওয়ার সময় আল্লাহকে সামনে রেখে করছি এই চিন্তা এবং সেই সময় পড়া তাসবি ও কি রাতের অর্থ অনুধাবন করা। এই পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি রোকন ভেবেচিন্তে আদায় করলেই মন-মস্তিষ্কে কুপরিকল্পনা আসবে না ইনশাআল্লাহ।

    নামাজে অবশ্যই মনোযোগ সৃষ্টি হবে। 

এবং নামাযে নিমগ্নতা সৃষ্টি হবে ইনশাল্লাহ।

( চতুর্থ নাম্বার)


 একাকী নামাজ পড়লে নামাজের তেলাওয়াত একটু আওয়াজ করে পড়া।

  আপনি যখন একা একা নামাজ পড়বেন অর্থাৎ যেখানে কেউ থাকবে না তখন তেলাওয়াত তাসবি এবং তার প্রতিটি শব্দ আওয়াজ করে  পড়ুন* যাতে করে তার শব্দ আপনার কানে এসে পৌঁছায়।

  

 তেলাওয়াত তাসবি এবং দোয়ার শব্দগুলোর প্রতি মনোযোগ দিন।

  সেই সাথ শব্দগুলো দিকে খেয়াল রাখুন। 

  এবং সেগুলো নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে থাকুন। সাধারণ মানুষের জন্য এই পদ্ধতিটি বেশ সহজ।

   কেননা এর জন্য আরবি শব্দের অনুবাদ জানা জরুরী নয়। তবে এই পদ্ধতি অবলম্বনের সময় খেয়াল রাখতে হবে পাশের মুসল্লী থাকলে তার নামাজে যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। 

   কেননা এতে আপনার মনোযোগ আসলেও পাশেরজনের মনোযোগ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

   ( পঞ্চম নাম্বার) 

   বায়তুল্লাহ কে দেখছি এই চিন্তা করা। 

   অর্থাৎ চোখের সামনেই কাবা শরীফ কে কল্পনা করা।

    নামাজে মন বসানোর পদ্ধতি হলো মনে মনে কল্পনা করা যে আমি আল্লাহর বাইতুল্লাহ কে দেখছি।

     বায়তুল্লাহ আমার চোখের সামনে আমি বায়তুল্লাহ সামনে দাঁড়িয়েই নামাজ আদায় করছি।

      গোটা নামাজে বাইতুল্লাহর কথা কল্পনা আপনাকে দুনিয়াবি খারাপ কল্পনা থেকে দূরে রাখবে।

       আর নামাজে মনোযোগী হতে সাহায্য করবে। এবং নামাযের মধ্যে  একাগ্রতা আসবেই ইনশাল্লাহ। (ছয় নাম্বার)

        নামাজ পড়ার পূর্বেই কিছু সময় গভীর চিন্তা করা।

         নামাজ আদায় করার পূর্বে কিছু সময় আল্লাহর ধ্যান তথা গভীর চিন্তায় মগ্ন থাকা জরুরি।

          তবে চিন্তা হতে হবে আল্লাহর।

   এ সময়   আল্লাহর যিকির ও করা যেতে পারে। অনেক সময় আমরা জামাত শুরু হওয়ার পর মসজিদে যাই।

    এবং নামাযে শরিক হই।

     বরং আমাদের উচিত হবে জামাত শুরু হওয়ার পূর্বেই মসজিদে অবস্থান করা।

      এবং আল্লাহর ধ্যানে কিছুক্ষণ মৌন থাকার ফলে মনের মধ্যে যেমন একাগ্রতা তৈরি হবে তেমনি তাকবিরুল্লাহ এর সাথে  নামাজ আদায় করার সহজ হবে। 

      (সপ্তম নম্বর)

       বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা।

        তথা তাহাজ্জুদের নামাজ এবং আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করা।

         আল্লাহতালা বলেছেন,, নিশ্চযই ইবাদাতের  জন্য রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দমনের সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণে অনুকূল।

         ( সুরা মোজাম্মেল আয়াত 6)

         (অষ্টম নাম্বার)

          পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত পড়া।

          পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন,, নিশ্চই নামাজ অশ্লিল ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে। 

         ( সূরা আনকাবুত আয়াত 45) 

         

(9 নাম্বার)

 এটি সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি,, নামাজে মনকে অন্যদিকে যাওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য এক মন দিয়ে নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন।

  এবং যখন নামাজে এসব বাজে চিন্তা আসে,,, তখন মনে মনে আল্লাহর কাছে শয়তান থেকে পানাহ চাইতে হবে।

   এবং বাম দিকে তিনবার প্রতিকি থুথু নিক্ষেপ করতে হবে। 

   তবে সতর্ক থাকবেন!! যেন মুখ থেকে কোন তরল বা লালা বের না হয়। 

   শুধু থুথু নিক্ষেপ করার মত বাম দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে আওয়াজ করবেন। 

   তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আপনাকে সমস্যা থেকে রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ।

    সঠিকভাবে ওযু করতে হবে,, নামাজে মন কে হাজির রাখা, আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করা,, শুদ্ধভাবে নামাজের ভিতরে সূরাগুলো পাঠ করা,, নামাজে অহেতুক নড়াচড়া করা থেকে বিরত থাকা,, গা চুলকানো,,টুপি ঠিক করা, জামা টেনে টেনে ঠিক করা ইত্যাদি অযথা কাজ পরিহার করতে হবে।

    

 আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সবাইকে এক মনে এক দিলে নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন। নামাজে যেন আমাদের কোন খারাপ চিন্তা না আসে আল্লাহতালা আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করুন।

  আমীন।।

   প্রিযদর্শক ভিডিওটি যারা শেষ পর্যন্ত দেখেছেন তারা কমেন্টে আমিন লিখে জানাবেন। 

   আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের প্রত্যেককে যেন সুস্থ রাখেন সুন্দর রাখেন রাখেন এই কামনাই আজকের ভিডিওটি এখানেই সমাপ্তি আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু


Post a Comment

0 Comments