Header Ads Widget

Responsive Advertisement

চিৎ হয়ে ঘুমালে কি হয় । জিন থেকে বাচার উপায়। প্রত্যেকে জেনে নিন।👇👇👇

 আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ 


আলমুনতাহা 24 এর আরো একটি নতুন ভিডিওতে আপনাদেরকে স্বাগতম। 


আজকে আপনাদেরকে জানাবো,,,


চিত হয়ে ঘুমালে জিন আপনার সাথে কি করবে??? যদি রাতে আপনার রুমে এসে দেখেন আপনি নিজে বসে আছেন,,, তাহলে কি করতে হবে??? রাতে আয়না কেন ঢেকে রাখতে হয়???

 এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আজকের ভিডিওতে আলোচনা করা হবে। 

 আশা করি আপনাদের কাছে এই ভিডিওটি ভালো লাগবে। 

 তো চলুন একটি লাইক দিয়ে ভিডিওটি দেখা শুরু করুন।

 ( এক নাম্বার)

  রাতে একা একা হাটলে যদি বুঝতে পারেন,,

   পিছনে কেউ আছে,, তাহলে শুধু ঘাড় ঘুরাবেন না।

    পুরো শরীর ঘোরাবেন। শুধু ঘার ঘোড়ালে মচকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

    অথবা আশ্চর্যরকম কোন কিছু দেখে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

     এজন্য অনেকের থেকে শুনবেন,, রাতে ভালো মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছে,, কিন্তু হঠাৎ অজ্ঞান বা মরে পড়ে আছে। 

     এরকম খবর অহরহ শোনা যায়।

      আমরা সাধারণ দৃষ্টিতে মনে করি লোকটার হয়ত স্ট্রোক হয়েছে বা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।

       কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার সাথে কি ঘটেছে সেটা অজানাই থেকে যায় বেশিরভাগ সময়। 

       তাই এ অবস্থায় একেবারে না তাকানোই উত্তম।

        

( দ্বিতীয় নাম্বার)


 গলি বা বিছানায় বা মসজিদে বা বাড়ির আঙ্গিনায় সাপ দেখলে সাথে সাথে মেরে ফেলবেন না। 

 প্রথমে দু-তিনবার চলে যেতে বলবেন। 

 

যদি না যায়,, তাহলে বুঝতে হবে সেটা সত্যি কারের সাপ ছিল। 

আর চলে গেলে বুঝবেন সেটা একটা জীন ছিল।

( তিন নাম্বার) 

যদি রাতে দেখেন গাছের কোন ডাল বা বাশ মাথার উপর ঝুঁকে আছে,, তবে তার উপর বা নিচ দিয়ে যাবেন না। 

প্রথমে আয়াতুর কুরসি পড়বেন। 

আয়াতুল কুরসি পড়ার পর চোখ বন্ধ করে তিনবার বুকে ফুক দিবেন।

 তারপর দেখবেন সেটা চলে গেছে।

  তারপর পথে অগ্রসর হবেন। 

  (চতুর্থ নাম্বার) 

  গভীর রাতে কেউ বাহির থেকে আপনার নাম ধরে ডাকলে,, যদি একবার ডাকে তাহলে সাথে সাথে উত্তর দেবেন না। 

  অন্তত তিনবার ডাকার পর তারপর সাড়া দিবেন।

  দেকে বুঝে সতর্কতার সহিত বের হবেন।

  ( পঞ্চম নাম্বার)

  রাস্তায যদি কিছু বসা দেখতে পান,, তাহলে তার দিকে তাকিয়ে থাকবেন না।

   চুপ করে মাটির দিকে তাকিয়ে চলে যাবেন।

   ( সষ্ট নাম্বার) 

   যদি রাতে আপনার রুমে তাকিয়ে দেখেন আপনি বসে আছেন,, মানে নিজেকে নিজে দেখতে পান।

    তাহলে ভয় পাবেন না।

     ওটা আপনার সাথে থাকা কারিন জ্বিন।

      শুধু চোখ বন্ধ করে আয়তন কুরসি পরবেন। 

      না পারলে সূরা ফাতিহা এবং সূরা ইখলাস পড়বেন। 

      তারপর চোখ খুলবেন।

    


  (সপ্তম নাম্বার)

      মাগরিবের সময়,, ঠিক দুপুর বেলায় বা রাত বারোটায় এবং অমাবস্যার সময় জ্বিনদের প্রভাব বেশি থাকে।

       তাই ওই সময় সতর্ক থাকবেন। ছোট বাচ্চাদের নিরাপদে রাখবেন। 

       বিশেষ করে মাগরিবের সময়,, বিসমিল্লাহ বলে ঘরের দরজা বন্ধ করবেন।

        (অষ্টম নাম্বার)

         পুকুর বা নদীতে গোসল করার সময় যদি বুঝতে পারেন কেউ আপনার পা ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে,, তাহলে সাথে সাথে দোয়া ইউনুস পড়া শুরু করবেন।

          এবং আয়াতুল কুরসি জানা থাকলে সেটা পরবেন। সূরা ইখলাস পরবেন 

          কারণ পুকুর বা নদীতে জ্বিন থাকতে পারে। 

          (নবম নাম্বার) 

          যদি রাতে দূর থেকে দেখতে পান কোন কুকুর আপনাকে আক্রমণ করতে আসছে,, আর যদি কুকুরটাকে অস্বাভাবিক মনে হয়,, তাহলে পাদ্বারা মাটিতে একটা বৃত্তের মত তৈরী করবেন। 

          এবং তার ভীতর দাড়িয়ে আয়াতুল কুরসি পরবেন।

           আর যদি বাস্তবিকভাবে কুকুর মনে হয় তাহলে সেখান থেকে সরে পরবেন। 

          


 (দশম নাম্বার)

           যদি আপনি রাতে পথ হারিয়ে ফেলেন,, একই পথে বারবার ফিরে আসেন,, বা অনেক দূরে যাওয়ার পরেও, কিছুক্ষণ পরে দেখেন যে, আপনি একই জায়গায় আছেন। 

           বা পথের দিশা পাচ্ছেন না, তাহলে এমত অবস্থায় সাহস হারাবেন না।

            দাঁড়িয়ে আজান দেবেন,, অথবা আয়াতুল কুরসি পাঠ করে বুকে ফুঁক দিবেন।

             ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে। 

             এটা গয়রান নামের জ্বিনের প্রভাবেই এমনটা হয়ে থাকে।

             

( 11 নাম্বার)


 রাতে ঘুমের মধ্যে যদি বুঝতে পারেন আপনার বুকের মধ্যে কেউ ভর করে আছে,, তাহলে সাথে সাথে চিতকার দেবেন না। 

 কারণ,, চিৎকার দিয়ে লাভ হবে না।

  আপনার চিৎকার মুখ দিয়ে বের হবে না।

   হলেও সেটা কেউ শুনতে পাবে না।

    সাথে সাথে দুটি কাজ করবেন,, 

    প্রথমত,, বাঁদিকের পা নাড়ানোর চেষ্টা করবেন দেখবেন সাথে সাথে সেজ্বিন আপনাকে ছেড়ে দেবে।

    

 তবে ভুলেও ডান দিকের পা নাড়াবেন না,, তাহলে খারাপ জিন আরো চেপে ধরবে।

 

 দ্বিতীয়তঃ আপনার জানা যে কোন সূরা মুখে পড়ার চেষ্টা করবেন,, সেটা না পারলে মনে মনে পরে হলেও বুকে ফুঁক দেওয়ার চেষ্টা করবেন। 

 সবচেয়ে ভালো হয়,, আয়াতুল কুরসি পাঠ করা।

  তবে যদি কিছু মনে না থাকে তাহলে 

  আল্লাহুস সামাদ 

  আল্লাহর এই নামটি যপতে থাকবেন।

  

( 12 নাম্বার) 

মরা মানুষের আত্মা যদি দেখতে পান,, অথবা যেলোক ইতিমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছে তার সুরতে যদি কাউকে দেখতে পান,, তাহলে ভয় পাবেন না।

 ওটা আত্বা নয় জ্বিন,, যিনি মৃত মানুষের রূপ ধারণ করেছে। 

 শুধু সালাম দিয়ে চলে যাবেন।

 (

  13 নাম্বার) 

  গভীর রাতে একা হাঁটার সময় যদি দেখেন,, কালো কুকুর বা কালো বিড়াল আপনার বাম পাশ থেকে অতিক্রম করার চেষ্টা করছে,, তাহলে তাকে অতিক্রম করতে দিন।

  

(14 নাম্বার) 

অনেকেই বলেন কবরস্থান একটি পবিত্র স্থান।

 কথাটির সম্পূর্ণ ঠিক। 

 তবে কবরস্থানেও দুল নামক জিন অবস্থান করে।

  তাই পবিত্র স্থান হলেও সতর্কতার সাথে চলাফেরা করবেন।

  

( 15 নাম্বার)

 আয়নার মধ্যেও জ্বিন প্রবেশ করতে পারে বলে অনেকেই বলে থাকেন।

  তাই গভীর রাতে আয়না না দেখাই ভালো। 

  আর বিশেষ করে রাতে আয়নাতে পর্দা দিয়ে রাখবেন।

   আর বাথরুমের আয়না না রাখাই ভালো,, কারণ বাথরুমে খান্নাস সামক জিন থাকে।

    যদিও দুর্বল জ্বিন তবুও সতর্ক থাকাই শ্রেয়।

     

(16 নাম্বার) 

বাসার ছাদের উপর জিন বসবাস করতে পারে,, তাই গভীর রাতে একলা ছাদে যাবেন না। 

যে কাউকে সাথে নিয়ে যাবেন। অথবা একা যাওয়া দরকার হলে আগে আয়াতুল কুরসি পড়ে বুকে ফুঁক দেবেন,, তারপর যাবেন।

( 17 নাম্বার)

 যদি আপনি একা একা কোনো মিষ্টি বা পিঠা জাতীয় কিছু খেয়ে থাকেন,, এবং দেখলেন কোন বিড়াল আপনাকে বিরক্ত করছে,,তাহলে তাকেও সেখান থেকে কিছু অংশ খেতে দিন। 

 কখনো খালি মুখে তাড়িয়ে দেবেন না বা মারবেন না।

 ( 18 নম্বর) 

 অতিরিক্ত রাগ করবেন না,, আমাদের মাঝে মধ্যে রাগ এতটাই বেড়ে যায় যে,, মুখ দিয়ে কথা আটকে যায়। 

 রাগের কারণে দুষ্ট জিন আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই রাগ হলে বসে পরবেন।

 আর বসে থাকলে শুয়ে পড়বেন। 

 এবং মনে মনে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকবেন।

 ( 19 নাম্বার)

  রাতে কখনো চিত হয় ঘুমাবেন না,,

   আর যদি ভয়ের স্বপ্ন দেখেন তাহলে জেগে যাওয়ার পর বাম দিকে তিনবার থুথু দিবেন। 

   এবং আল্লাহর কাছে শয়তান থেকে আশ্রয় চাইবেন।

    এই হল জীনের হাত থেকে বাঁচার কয়েকটি কার্যকর উপায়। 

    

তাই রাতে চিৎ বা উপুর হয়ে ঘুমানো উচিত নয়। 

সময় ডান কাত হয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। 

রাসূল সাল্লাহু  আলাইহিসসাল্লাম সব সময় ডান কাত হয়ে ঘুমাতেন' 

(বুখারি হাদিস নাম্বারঃ 5871) 

হযরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা বলেন,, একদা আমি উপুর হয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সা) আমার পাশ দিয়ে গেলেন,, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম আমাকে নাড়া দিয়ে বলেন,, এটা তো জাহান্নামের স্বয়ন।

( ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বার 3724) 

রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এর বাণী এটাতো জাহান্নামের স্বয়ন।

 এর সম্পর্কে  পবিত্র কোরআনের আয়াত ও পাওয়া যায়।

  পবিত্র কুরআনে জাহান্নামিদের প্রতি ইরশাদ হয়েছে,, যে দিন তাদের উপুর করে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের দিকে।

   সেদিন বলা হবে জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন করো।

   অতএব আমাদের উচিত হবে আল্লাহ এবং তার রাসুল যেভাবে সোয়া পছন্দ করেন না সেভাবে সোয়া থেকে বিরত থাকা।

    ইনশাল্লাহ এতে আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতে, তথা দোজাহানের কল্যাণ হবে। 

    তবে কারো যদি অসুস্থতার কারণে কিংবা অন্য কোনো সমস্যাই উপুর হয়ে সোয়ার একান্ত প্রয়োজন হয়,, তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ছাড় রয়েছে। 

    আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সবাইকে বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়ার তৌফিক দান করুন।

     আমিন!!! 

     যারা ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখেছেন তারা কমেন্টে আমিন লিখে জানাবেন। 

     

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের প্রত্যেককে যেন সুস্থ রাখেন, সুন্দর রাখেন, নিরাপদে রাখেন, এই কামনায় আজকের ভিডিওটি এখানেই সমাপ্তি। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি


Post a Comment

0 Comments