আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
প্রিয় দর্শক ,,
আপনি কি জানেন??
প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর চোখের মনি ও
জান্নাতের সকল মহিলাদের সর্দারণী, হযরত ফাতিমা রাঃ এর মৃত্যু কেমন ছিলো???
এবং তাকে দাফন করার সময়, হজরত আবু জর গিফারী (রাঃ) কবরকে কি প্রশ্ন করেছিলেন,,??অতপর কবর কি উত্তর দিয়েছিল??
জানতে হলে আমাদের সাথই থাকুন।
হযরত ফাতিমা রাঃ এর ইন্তেকালের দিন,
হযরত আলী রাঃ,ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে গেছেন ৷ এদিকে হযরত ফাতিমা রাঃআঃ,গায়ে অত্যান্ত জ্বর অবস্থায়৷
ঘরের সমস্ত কাজ, শেষ করেছেন ৷
আলী রাঃ, মসজীদ থেকে এসে দেখে, ফাতিমা রাঃ কে ক্রন্দনরত অবস্থায় পেলেন, আলী রাঃ কয়েকবার প্রশ্ন করার পরে, ফাতিমা রাঃ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ও আলী,,,,,,,,আমি স্বপ্নের মধ্যে দেখতেছি,আমার আব্বাজান, হযরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ সাঃ আমার ঘরের মধ্যে ঢুকে কি যেন তালাশ করতেছেন,,
আমি এব্যপারে জানতে চাইলে, তিনি উত্তর দিলেন,, ও আমার ফাতিমা, আমিতো তোমাকে তালাশ করতেছি, তোমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য৷
আরো বললেনঃ ও আমার ফাতিমা,আজকে তো তুমি রোজা রাখবা ৷ সাহরী করবা আলীর দস্তরখানায়, আর ইফতার করবা আমি আব্বাজানের দস্তরখানায় ৷
আলী (রাঃ) এই স্বপ্ন শোনার পর, দু’জনের বুঝতে বাকী থাকলোনা, যে ফাতিমা আজকেই ইন্তেকাল করবেন৷ দুনো জন আরো জোরে জোরে কাঁদতে লাগলেন৷
বিকেলের দিকে হজরত ফাতিমা (রাঃ) এর শরীর বেশি খারাপ হলো। তাকে বিছানাতে শোয়ানো হলো। ফাতিমা রাঃ মৃত্যুর পূর্বক্ষনে আলী রাঃ কে, তিনটি কথা বলেন ৷
【০১】ও আলী যেদিন থেকে আমি আপনার ঘরে এসেছি, ঐ দিন থেকে নিয়ে, আজ পর্যন্ত আপনাকে আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি, আলী আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন, তাহলে কিয়ামতের ময়দানে, আমি সন্তানের কারনে, আমার আব্বাজান অনেক লজ্জীত হবেন৷
বলেন আপনি আমাকে ক্ষমা করলেন কি না,আলী রাঃ বলেন ও ফাতিমা, তুমি এসব কি বলতেছো, আমি আলী তো তোমার যোগ্য ছিলাম না, উল্টো আমি তোমায় কস্ট দিয়েছি,, তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর, তাহলে আমাকে
ও কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে ৷
【০২ দ্বিতীয় কথা হল, আমি মারা যাওয়ার পরে, আপনি বিয়েকরে নিবেন,
【০৩ তৃতীয় কথা হল, হাসান হুসাইন যখন বালেগ হবে,তখন দুনো ভাইকে আল্লাহর
রাস্তায় সপর্দ করে দিবেন৷ এবং আমাকে রাতের বেলায় দাফন করবেন।
হজরত আলী (রাঃ) বললেনঃ “তুমি নবীর মেয়ে।
আমি সবখানে খবর দিয়ে তোমায় দাফন করবো। এতে সমস্যা কি? হজরত ফাতিমা (রাঃ) বললেনঃ “আামার কাফনের
কাপড়ের ওপর দিয়ে সবাই অণুমান করবে যে, নবীর মেয়ে কতটুকু লম্বা ছিলো, কতটুকু সাস্হ ছিলো।
এতে আমার পর্দা ভঙ্গ হবে।”
হজরত ফাতিমা (রাঃ) এর ইন্তেকালের পর তাঁর লাশের খাটিয়া বহন করার মানুষ মাত্র তিনজন। হজরত আলী (রাঃ)
এবং শিশু হাসান ও হোসাইন (রাঃ)আনহুমা ৷
হজরত আলী ভাবছিলেন যে, খাটিয়া বহন করার জন্য মানুষ আরও
একজন প্রয়োজন তবেই চার কোনায় চার জন কাঁধে নিতে পারবেন।
এমন সময় হজরত আবু জর গিফারী (রাঃ) এলেন ও খাটিয়ার এক কোনা বহন করলেন। হজরত আলী প্রশ্নকরলেন, ও
আবুজর আমি তো কাউকে বলিনাই, আপনি জানলেন কিভাবে ? হজরত আবু জর গিফারী (রাঃ) বলেন,
ও আলী আমাকে তো হুজুরে আকরাম সঃ আসতে বলছেন ৷ হযরত ফাতিমা রাঃ আনহা কে যখন কবরে নামাচ্ছেন, তখন হজরত আবু জর গিফারী (রাঃ) কবরের কাছে গিয়ে কবর কে উদ্দেশ্য করে
বললেন……….
………………………… হে কবর, তুই কি জানিস, আজ তোর মধ্যে কাকে রাখছি?
【০১】 এটা জান্নাতের সকল মহিলাদের সর্দার, ফাতিমা (রাঃ)আনহা৷
০২】 এটা হযরত হাসান হুসাইন এর আম্মা
【০৩ এটা হযরত আলী রাঃ এর স্ত্রী ৷
【০৪【এটা,দো জাহানের বাদশাহের মেয়ে।……..খবরদার কবর
বেয়াদবী করবি না ” “আল্লাহ্ তায়ালা কবরের জবান খুলে দিলেন, কবর বললঃ
০১ আমি অন্ধকার ঘর৷
【০২ আমি সাপ বিচ্ছ্যুর ঘর৷
【০৩】, আমি এমন একটি ঘর, যার মধ্যে কোন বংশ পরিচয় কাজ হয়না…… “আমি দো জাহানের বাদশাহের মেয়ে ফাতিমা কে চিনিনা,1 হজরত আলীর স্ত্রীকে চিনিনা,2 হাসান হোসাইনের আম্মাকে চিনিনা,3 জান্নাতের মহিলাদের সর্দারনীকে চিনিনা,4 আমি শুধু চিনি- ঈমান আর আমল।
আমার মধ্যে যদি কেহ্ ভাল আমল নিয়ে আসে তাহলে আমি কবর তাকে জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দিবো। আর যদি কেহ খারাপ আমল নিয়ে আসে, তাহলে আমি কবর দু’দিক থেকে এমন জোরে চাপা দিবো, হাড় মাংস মিশে একত্রিত হয়ে যাবে!!!
আল্লাহ্ আমাদের সকলকে ঈমান ও নেক আমল নিয়ে কবরে যাওয়ার. তৌফিক দান করুন। আমিন।
0 Comments