Header Ads Widget

Responsive Advertisement

এই দোয়াটি পড়ুন, জীবনেও টাকার অভাব হবে না ইনশাআল্লাহ!!

 আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

সুপ্রিয় হিদায়াহ বাংলার দর্শক মন্ডলী ,,আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন।



প্রিয় দর্শক ,,

ইসলাম এমন এক শান্তির ধর্ম যেখানে সবকিছুর সমাধান বিদ্যমান। একজন মানুষ কেবল তখনই শান্তির ধর্মের প্রকৃত অনুসারী হতে পারে যখন সে আল্লাহর সব নির্দেশাবলির ওপর আমল করে চলে। আল্লাহর নির্দেশাবলির ওপর পরিপূর্ণ আমল করলে রিজিকেরও ঘাটতি হতে পারে না। মূলত আমাদের নিজেদের ভুলের জন্যই সংসারে অভাব-অনটন দেখা দেয়। সংসারে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য হালাল জীবিকার গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা ইবাদত কবুলের পূর্বশর্তই হলো হালাল জীবিকা উপার্জন করা।


আজকের ভিডিওতে আমরা এমন একটি দোয়া সম্পর্কে আলোচনা করবঃ যে দোয়াটি   পাঠ করলে জীবনেও আপনার টাকার অভাব হবে না ইনশাআল্লাহ!!

প্রিয় দর্শক ,,

রিজিকের মালিক হলেন আল্লাহ। তিনি যাকে চান প্রভূত রিজিক দান করেন। আমাদের কাজ হলো তার নির্দেশ অনুযায়ী পরিশ্রম করে হালাল উপার্জন করা। যেভাবে আল্লাহ ইরশাদ করেন-


‘তুমি বল, নিশ্চয় আমার রব যার জন্য চান রিজিক সম্প্রসারিত করে দেন এবং সংকুচিতও করে দেন কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।’ (সুরা সাবা : আয়াত ৩৬)


হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি ঝামেলামুক্ত হও, আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেব। আর যদি তা না কর, তবে তোমার হাত ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব দূর করব না।’ (তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ ও ইবনে মাজাহ)


যেহেতু রিজিকে বরকতের মালিক আল্লাহ, তাই আমাদের কাজ হলো হালাল উপার্জনের জন্য চেষ্টা-প্রচেষ্টা করা আর আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা।


অভাবমুক্ত হতে আল্লাহ তাআলা আমাদের একটি দোয়া শিখিয়েছেন। অভাব মোচনে এ দোয়াটি আমরা বেশি বেশি পাঠ করব। আর তাহলো-


اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَاء تَكُونُ لَنَا عِيداً لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنكَ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ


‘আল্লাহুম্মা রাব্বানা আনযিল আলাইনা মাইদাতাম মিনাস্সামায়ি তাকুনু লানা ঈদাল্লি আউয়্যালিনা ওয়া আখিরিনা ওয়া আয়াতাম মিনকা ওয়ারযুকনা ওয়া আনতা খায়রুর রাযিকিন।’ (সুরা মায়েদা: আয়াত ১১৪)


অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু-প্রতিপালক আল্লাহ! তুমি আকাশ থেকে আমাদের জন্য খাবার ভরতি খাঞ্চা অবতীর্ণ কর যেন তা আমাদের প্রথম অংশের জন্য আর আমাদের শেষ অংশের জন্য আনন্দোৎসব হবে এবং তোমার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন হয়। তুমি আমাদেরকে রিজিক দান কর। প্রকৃতপক্ষে তুমিই উত্তম রিজিকদাতা।’


বিখ্যাত তাবেয়ি হজরত মাকহুল রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যে ব্যক্তি এ বাক্যগুলো সাতবার বলবে আল্লাহ তাআলা তার সত্তরটি অভাব দূর করবেন। (তন্মধ্যে) সবচেয়ে হাল্কা বিপদ হলো মানুষের অভাব। দোয়াটি হলো-


لاَ حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ ، وَلا مَلْجَأَ مِنَ اللهِ إِلاَّ إلَيْهِ


অর্থ : 'আল্লাহর সাহায্য ছাড়া গোনাহ থেকে বিরত থাকা এবং নেক আমলে মশগুল হওয়া সম্ভব না। আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তার কাছেই আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে।


রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অভাব ও প্রাচুর্যের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতেন।’ (আবু দাউদ)

হজরত আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি অভাবে পতিত হয়, অতপর তা সে মানুষের কাছে সোপর্দ করে (অভাব দূরিকরণে মানুষের ওপর নির্ভরশীল হয়), তার অভাব মোচন করা হয় না। পক্ষান্তরে যে অভাবে পতিত হয়ে এর প্রতিকারে আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হয় তবে অনিতবিলম্বে আল্লাহ তাকে তরিৎ বা ধীর রিজিক দেবেন।’ (তিরমিজি ও মুসনাদ আহমদ)

দর্শকঃ

মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের রিজিকে প্রভূত বরকত দিন এবং তার সন্তুষ্টির চাদরে আবৃত করে নিন। কুরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনাগুলো যথাযথ মেনে চলার তাওফিক দিন। আমিন।


Post a Comment

0 Comments