আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা।

আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন।  

হযরত আলি (রা.) ছিলেন ইসলামের চতুর্থ খলিফা। তিনি ৬০০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর চাচা আবু তালিবের পুত্র ছিলেন।

তাঁর ডাকনাম ছিল আবু তোরাব ও আবুল হাসান। বাল্যকাল থেকেই তিনি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর সাথে থাকতেন। মহানবি (স.) এর প্রতি তাঁর অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। তাই দশ বছর বয়সেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। বালকেদের মধ্যে তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবি।


মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) হিজরত করে মদিনা যাওয়ার সময় হযরত আলি (রা.) কে আমানতের মালের দায়িত্ব দিয়ে তাঁর বিছানায় রেখে যান। জীবনের কঠিন ঝুকিঁ সত্ত্বেও তিনি এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন।

মহানবি (স.) এর দেওয়া দায়িত্বের চেয়ে তিনি তাঁর জীবনের মূল্য তুচ্ছ মনে করেছেন, দায়িত্ব পালনই ছিল তাঁর কাছে বড় ব্যাপার। হযরত আলি. (রা.) এর মতো সত্যের পথে জীবনবাজি রাখা যুবক খুব কম আছে



একদিনের ঘটনাঃ

হযরত আলী রাঃ  সে তার ঘোড়াটিকে নিয়ে মসজিদে আসলেন । এবং দেখতে পেলেন মসজিদের বাইরে কাজের জন্য অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে । সব লোকদের মধ্যে একজন লোককে হযরত আলী রাঃ  ডাকলেন । এবং বললেন,, আমারে ঘোড়াটি তুমি দেখাশোনা করো । আমি মসজিদের ভেতর থেকে নামাজ আদায় করে আসছি।  তিনি দেখাশোনার জন্য যাকে ঘোড়াটি দিয়ে নামাজ পড়তে গেলেন্।  সে লোকটি হযরত আলী রাঃ তা'আলা আনহু মসজিদের ভেতরে যাওয়ার সাথে সাথেই ঘোড়ার থেকে ঘোড়ার লাগাম টি ছুটিয়ে নিল । এবং ঘোড়াটিকে বেওয়ারিশ রেখেই চলে গেল।  হযরত আলী রাঃ তা'আলা আনহু যখন নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বেরিয়ে এসে, পকেট থেকে দুই দিরহাম বের করে সেই লোকটিকে দেওয়ার জন্য ঘোড়ার কাছে গেলেন, কিন্তু তখন তিনি দেখলেন যাকে ঘোড়াটি দেখাশোনা করার জন্য রেখে গেছেন, সেই লোকটি নেই । শুধু তার ঘোড়াটি লাগামহীন দাঁড়িয়ে আছে।  হযরত আলী রাঃ তাই এবার ঘোড়াটিকে নিয়ে কোনরকমে বাসায় গেলেন । এবং তার গোলামকে বললেন এই নাও 2 দিরহাম।  এই দুইদিরহাম দিয়ে ঘোরার জন্য একটি লাগাম কিনে আনো।  

                                                                                                                                                                

      গোলাম কিনার জন্য বাজারে গেল।  বাজারে যাবার পর দেখতে পেল ,এক লোক একটি ঘোড়ার লাগাম নিয়ে বসে আছে।  গোলাম সেই লোকটির কাছে গেল, আর সেই লাগাম দেখে বুঝতে পারলো, এটা তার মালিকের ঘোড়ার লাগাম । তারপরেও গোলাম 2 দিরহামের  বিনিয়েই লাগামটি কিনে নিলেন।  এবং বাসায় যাবার পর আলী রাঃ এর কাছে পুরো ঘটনাটি বললেন।  তখন হেসে হযরত আলী রাঃ তা'আলা আনহু বললেন, কিছু কিছু বান্দা আছে ,যারা নিজের প্রাপ্য, নিজের রিজিক, আল্লাহ তার ভাগ্যে যা লিখে দিয়েছে  , সেই জিনিসটি তারা অগ্রিম হাসিল করার জন্য হারাম পথ বেছে নেয়।  আল্লাহতায়ালা আপনাকে ঠিক ঐ জিনিসটি দিবে কিন্তু তার জন্য ধর্য্য ধরুন।  ধর্য্য ধারণ করতে হবে ,,আর যদি তাড়াতাড়ি জিনিসটি পেতে চান ,তার জন্য যদি হারাম পথকেই বাছাই করেন, তাহলে এটিও আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হয়ে দাঁড়ায়।  যা ক্ষমা করা খুবই কষ্টকর । তবুও আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। যদি আপনি তওবা করে কোন প্রকার পাপ কর্ম না করার সিদ্ধান্ত নিতে চান।  আল্লাহতালা আপনার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ রিজিক লিখে দিয়েছেন, এবং তা আপনার কাছে অবশ্যই আসবে।  তবে তার জন্য আপনাকে সবুর করতে হবে । কেননা সবুরের ফল সব সময় মহান আল্লাহতায়ালা ভালো কিছুই দিয়ে থাকেন।                                                

 সম্মানিত দর্শক ভিডিওটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে???? তা আমাদের কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন্ ।  আর সবাই আমাদের সাথেই থাকবেন।ট  আজ তাহলে এই পর্যন্তই,, আপনারা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন,, আল্লাহ হাফেজ।