আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ , আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানি ও দয়ায় আপনারা সকলেই ভাল আছেন।
প্রিয় দর্শক,,
কুরআনের উপর যাদের অগাধ বিশ্বাস, ভালবাসা ও ভক্তি আছে, তাদের জন্য আজ কুরআনের আমল নিয়ে হাজির হয়েছি। কোরআন শরীফের সবচেয়ে ছোট সূরা হলো সূরা আল কাওসার। অত্যন্ত ফজিলত ও বরকত ময় একটি সূরা । সবচেয়ে ছোট্ট ,মাত্র তিনটি আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা, এই সুরাটা যখন নাযিল হয়েছিল, তখন রাসুল সাঃ মুচকি হাসি দিয়ে উঠলেন।
মুসনাদে আহমদে হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কিছুক্ষণ তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েছিলেন। হঠাৎ মাথা তুলে হাসিমুখে তিনি বললেন অথবা তার হাসির কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ “এই মাত্র আমার উপর সূরা কাওসার অবতীর্ণ হয়েছে। তারপর তিনি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে সূরা কাওসার পাঠ করলেন।
তারপর তিনি সাহাবীদেরকে জিজ্ঞেস করলেনঃ “কাওসার কি তা কি তোমরা জান?” উত্তরে তারা বললেনঃ “আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই (সঃ) ভাল জানেন।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “কাওসার হলো একটা জান্নাতী নহর।
তাতে বহু কল্যাণ নিহিত রয়েছে। মহামহিমান্বিত আল্লাহ আমাকে এটা দান করেছেন। কিয়ামতের দিন আমার উম্মত সেই কাওসারের ধারে সমবেত হবে। আসমানে যতো নক্ষত্র রয়েছে সেই কাওসারের পিয়ালার সংখ্যাও ততো।
কিছু লোককে কাওসার থেকে সরিয়ে দেয়া হবে তখন আমি বলবো: হে আমার প্রতিপালক! এরা আমার উম্মত!” তখন তিনি আমাকে বলবেনঃ “তুমি জান না, তোমার (ইন্তেকালের) পর তারা কত রকম বিদআত আবিষ্কার করেছে!”
সুপ্রিয় সম্মানিত দর্শক শ্রোতা,,এই সুরার আমলটা যদি আপনি করতে পারেন,,তাহলে আপনার স্বামী সারা জীবন আপনার গোলাম হয়ে থাকবে। আপনার কথা শুনবে। মনে রাখবেন হালালভাবে আপনি আমলটা করবেন। আপনার স্বামী ছাড়া শ্বশুর শ্বাশুরী অথবা ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন যাকে বাধ্য করতে চান, হালাল উপায়ে আপনি এটা করতে পারেন। কোন সমস্যা নেই। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। মনে রাখবেন,,লাগাতার তিনদিন আপনাকে এই আমলটি করতে হবে।
তাদের আমলটি খুব দ্রুত কাজ হবে,, যারা হালাল খাবার খাবেন। নামায পড়েন। তাদের আমল খুব দ্রুতই কবুল হবে।
প্রিয় দর্শক,, আপনারা যদি বেশি বেশি সূরায়ে কাউসার পাঠ করেন,, আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন সূরা কাওসারের উসিলায় আপনাকে শত্রুর অনিস্ট থেকে হেফাজত করবেন। শত্রুরতা থেকে বাচতে চাইলে অবশ্যই এই সুরাটি বেশি বেশি পড়বেন। এবং অনেকে বলেছেন এই সুরাটি বেশি বেশি পাঠ করলে আল্লাহ তালা আপনার ধন-সম্পদ বাড়িয়ে দিবেন। এবং আপনার মান সম্মান বাড়িয়ে দিবেন।
আসুন স্বামীকে বাধ্য করার এই আমলটি আমরা জেনে নেই। এই আমলটি শরুর পূর্বে আবশ্যই আপনাকে তিনবার দরুদ শরিফ পরে নিতে হবে। সেটি যেকোন দরুদ শরিফ হতে পারে। তাতে কোন অসুবিধা নেই। অতপর আপনি সূরায়ে আল কাউসার 15 বার পরবেন। অতপর আপনি আবার তিন বার দরুদ শরীফ পাঠ করবেন। এরপর আপনার কাজ হলো এই যে, ডানহাতের বৃদ্ধাঙ্গুল টা হাতের তালুর মাঝখানে আনবেন । মাঝখানে এনে আপনি সেই আঙ্গুলের ওপর ফু দিবেন। অতঃপর আপনি এই বৃদ্ধাঙ্গুলি মাঝখানে রেখেই আপনি আপনার হাতকে মুষ্টিবদ্ধ করবেন। মুষ্টিবদ্ধ করে আপনি সাতবার আপনার স্বামীর নাম দিবেন। এভাবে আপনাদের সাতবার করেন ইনশাল্লাহ কাজ হয়ে যাবে।
অতঃপর আপনি যে কাজটা করবেন, এভাবে হাত মুষ্টিবদ্ধ রেখেই আপনি আপনার স্বামীর ব্যপারে কল্পনা করবেন। স্বামীর চেহারা কল্পনা করবেন। কল্পনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে আপনার প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয় ।কমপক্ষে পাঁচ মিনিট এমন করতে হবে।
এভাবে কমপক্ষে তিনদিন আমল করার পর দেখবেন আল্লাহ আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আপনার প্রতি আপনার স্বামীর ভালোবাসা বেড়ে যাবে। তিন দিনের ভিতরে আল্লাহ পাক আপনার স্বামীকে আপনার বাধ্যগত করে দিবেন। ইনশাল্লাহ
0 Comments