Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ঘুমানোর বিছানায় গিয়ে এই দোয়াটি ৩বার পড়লে সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়।

                                        


 

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

প্রিয় দর্শক ,,

মুমিনের প্রতিটি কাজই ইবাদত। ঘুমও এর ব্যতিক্রম নয়। যদি কোনো ব্যক্তি ইসলামের নির্দেশিত পদ্ধতিতে ঘুমায়, তার ঘুমও ইবাদতে পরিণত হয়।


তাই মুমিনের জীবনের প্রত্যেক অংশ আল্লাহর স্মরণ-জিকির ও তার বিধান মোতাবেক অতিবাহিত হয়। ফলে মুমিন জীবনের প্রতিটি কাজে-কর্মে আল্লাহর পক্ষ থেকে পুণ্য ও সওয়াব লাভে ধন্য হয়।


গোনাহ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে অনেক জিকির, তাসবিহ ও দোয়ার কথা বলেছেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এসব দোয়ার মধ্যে এমন একটি দোয়া আছে যে, বিছানায় ঘুমাতে গিয়ে শুয়ে দোয়াটি পড়লে সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ গোনাহও মাফ হয়ে যায়।


হাদিসে এসেছে- ‘যে ব্যক্তি বিছানায় শুয়ে এই দোয়া পড়বে, তার গোনাহগুলো মাফ হয়ে যাবে; যদিও তা সমুদ্রের ফেনা সমান হয়। 


لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَ لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ



উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু; লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির। লা হাওলা ওয়া লা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি। সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’


অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতিত সত্যিকারের কোনো উপাস্য নেই। তাঁর কোনো অংশীদার নেই। তাঁর জন্য রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সব প্রশংসা আর তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায় ও সামর্থ্য নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর জন্যই সব প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাহ নেই আর আল্লাহ সবচেয়ে মহান।’ (ইবনু হিব্বান, ইবনু আবি শায়বা)


এছাড়াও ঘুমানোর আগে রয়েছে একাধিক দোয়া ও আমল । যেসব দোয়া ও আমল  করলে যেমন গোনাহ মাফ হয়, দোয়া কবুল হয়, শান্তিপূর্ণ আরামদায়ক ঘুম হয়। আরও অনেক মর্যাদাপূর্ণ ফজিলত লাভ হয়।


সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ঘুমানোর সময় বিছায় শুয়ে উল্লেখিত দোয়া ও আমল গুলো করে নেয়া। আল্লাহ তাআলা এ দোয়া ও আমল এর  বরকতে সমুদ্রের ফেনা সমপরিমাণ গোনাহও ক্ষমা করে দেবেন।



আমলগুলো হলোঃ

সুরা ইখলাস ও নাস-ফালাক পড়ে  শরীরে ফুঁ দেওয়া

আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি রাতে যখন বিছানায় যেতেন, তখন দুই হাত একত্র করে তাতে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। অতঃপর মাথা ও চেহারা থেকে শুরু করে যত দূর সম্ভব দেহে তিনবার দুই হাত বোলাতেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫০১৭)


আয়াতুল কুরসি পড়া

রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়বে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বদা তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না। ’ (বুখারি, হাদিস : ২৩১১)


সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া

কোনো ব্যক্তি ঘুমানোর আগে এ দুই আয়াত পড়লে তা তাদের গোটা রাতের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হবে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যদি কোনো ব্যক্তি সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করে, তবে এটিই তার জন্য যথেষ্ট। (বুখারি, হাদিস : ৫০৪০)


সুরা মুলক পড়া

রাসুল (সা.) বলেছেন, কোরআনের মধ্যে ৩০ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা আছে, যেটি কারো পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। সুরাটি হলো তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক (সুরা মুলক)। (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯১) রাসুল (সা.) এই সুরা না পড়ে কখনো ঘুমাতে যেতেন না। (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯২)


Post a Comment

0 Comments