আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা,,, আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন । বন্ধুরা একটি সুন্দরী যুবতী মেয়ে,, আল্লাহর একজন ওলীকে ঘরের মধ্যে আটকে দরজা বন্ধ করে দিল। এরপর সেই মেয়েটিই অর্ধনগ্ন অবস্থায় আল্লাহর অলির কাছে এসে নিজেকে সঁপে দিতে চাইল। সেই সুন্দরী মেয়ের হাত থেকে নিজের চরিত্র রক্ষা করার জন্য, আল্লাহর অলি এমন এক কাণ্ড করে বসলেন !!!!যা পুরো পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ।
প্রিয় বন্ধুরা,,,, আল্লাহর অলি ,,ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহির সেই জগৎ বিখ্যাত চরিত্র রক্ষাকারী ঘটনাটি জানতে হলে,, ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখার অনুরোধ করছি। আর হ্যাঁ ,,,এই ভিডিওতে একটি লাইক করে দিন। তো চলুন আমরা সেই ঘটনায় ফিরে যাই ।
সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের এক সুন্দরী যুবতী মেয়ে ইমাম গাজ্জালীর প্রতি প্রবল ভাবে আকৃষ্ট ছিল। ইমাম গাজ্জালী তখন ছিলেন টগবগে যুবক। যুবতী জানত পর পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া গুনাহের কাতারে পড়ে। তবুও ইমাম গাজ্জালীর চারিত্রিক সৌন্দর্য দেখে সে মোহে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সেই যুবতী ইমাম গাজ্জালিকে নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে থাকল। কিন্তু ইমাম গাজ্জালী সেই যুবতীর দিকে কখনো চোখ তুলেও তাকাননি।
এতে করে সে যুবতীর যেদ দিন দিন বাড়তেই থাকল। একদিন সেই নারী তার ফাঁকা বাড়িতে ইমাম গাজ্জালিকে আসতে বলল। কিন্তু ইমাম গাজ্জালী রাজি হলো না। তার কিছুদিন পর ওই যুবতী তাকে বাড়িতে আনার জন্য একটি চক্রান্ত করল। সে তার দাসী কে শিখিয়ে দিলো,,,ওই বাড়িতে যে যুবক আছে তাকে গিয়ে বলবে,, এই বাড়িতে ছোট্ট একটি বাচ্চা বিপদে কান্না করছে। আপনি এসে তাকে উদ্ধার করুন। এভাবে বললে সে আমার ঘরে চলে আসতে পারে। দাসি তখন যুবতীর নির্দেশ যথাযথ পালন করল। সে ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে এই ফাঁকা বাড়িতে আনতে সক্ষম হল। এরপর সে যুবতী ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাই কে একটি ঘরে বন্ধ করে ফেলল। তার কাছে নিজেকে সঁপে দিতে চাইল। এবং তার কাছে আসার চেষ্টা করল। কিন্তু ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি সাথেসাথে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চাইলেন। এবং নিজের চরিত্র রক্ষার উপায় খুঁজতে থাকলেন । যুবতী তখন ইমাম গাজ্জালিকে বলল,, আজ যদি আপনি আমার মনোবাসনা পূর্ণ না করেন,,, তবে আমি চিৎকার চেঁচামেচি করে এলাকার সবাই কে জানিয়ে দিব যে,, আপনি আমার চরিত্র হরন করার জন্য আমার বাড়িতে এসেছেন। কিন্তু ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাই কোনভাবেই তার প্রস্তাবে রাজি হল না।
বরং তিনি আশেপাশে পথ খুঁজছিলেন। কিভাবে এর থেকে নিস্তার পাওয়া যায়??? কিন্তু কোন পথ পাচ্ছিলেন না। তবে তিনি আল্লাহর উপর ভরসা রাখলেন। কেননা আল্লাহ চাইলে সব কিছু সম্ভব। হঠাৎ তার মাথায় বুদ্ধি এলো। তিনি ওই যুবতীকে বললেন,,, তিনি শৌচাগারে যাবেন। যুবতী তাকে বেশি দেরি করতে মানা করল। এবং তাকে যাওয়ার সম্মতি দিল। ইমাম গাজ্জালী রহঃ শৌচাগারে গিয়ে,, সেখানে থাকা নোংরা ময়লা আবর্জনা,, নোংরা পানি গায়ে মাখতে শুরু করল,, যেন তার শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। এরপর তিনি যুবতীর কাছে ফিরে এসে বললেন,, এবার আমি প্রস্তুত। তার শরীরে এত ময়লা দেখে, এবং দুর্গন্ধের জন্য যুবতীটি তখন ইমাম গাজ্জালিকে তার বাড়ি থেকে বের করে দিল। ইমাম গাজ্জালি অত্যন্ত খুশি হলেন। এবং আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে লাগলেন । বাড়ি চলে আসার সময় ইমাম গাজ্জালিকে সেই যুবতী প্রশ্ন করল,,, আপনি এমন টি কেন করলেন??? জবাবে ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,, দুনিয়ায় জিনার পাপ বহন করে জাহান্নামে বসে দুর্গন্ধযুক্ত পুচ খাওয়ার চেয়ে ,,দুনিয়ার এই নোংরা পানি অনেক ভালো। একথা শুনে মেয়েটির চোখে পানি এসে গেল। ইমাম গাজ্জালী সেদিন খুশিমনে ওস্তাদের কাছে উপস্থিত হলেন ।
পাঠ চলাকালীন ওস্তাদ সবাইকে জিজ্ঞেস করলেন,, তোমাদের মধ্যে কে এত সুন্দর সুগন্ধি মেখে এসেছে??? পুরো কক্ষ সুগন্ধিময় হয়ে গেছে। এর আগে কখনও আমি এমন সুগন্ধি পাইনি। এটি কোন সাধারণ সুগন্ধি নয়,,, আমি মেশকে আম্বরের সুগন্ধি পাচ্ছি। এই সুগন্ধি মেশক আম্বরের চেয়েও অধিক তীব্র এবং পবিত্র। ওস্তাদ একজন একজন করে সব ছাত্রের কাছে গেলেন। এবং সুগন্ধির উৎস খোঁজার চেষ্টা করলেন। ইমাম গাজ্জালীর কাছে গিয়ে ওস্তাদ বললেন,, সুগন্ধিত তোমার গা থেকে আসছে। তুমি এতক্ষণ পর্যন্ত কিছু বলছিলে না কেন???? আমার কাছে এসো,, ইমাম গাজ্জালী ভয়ে ভয়ে ওস্তাদের কাছে গেলেন। তিনি মনে মনে ধরে নিলেন,, আজ তাকে সবার সামনে অপমানিত হতে হবে। কিন্তু ওস্তাদ ইমাম গাজ্জালিকে অবাক করে দিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করল,,, তুমি এত সুন্দর সুগন্ধি মেখে এসেও কেন স্বীকার করছ না??? সত্যি করে বলতো,, এই সুগন্ধি তুমি কোথায় পেয়েছ ???ইমাম গাজ্জালী তার কথায় ভয় পেয়ে কাঁদতে শুরু করলেন । এবং সকালের সেই সুন্দরী যুবতীর ঘটনা বললেন । ঘটনা শুনে ওস্তাদ ইমাম গাজ্জালিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলেন ,ওস্তাদ সকল ছাত্রদেরকে ডেকে বললেন ,,
তোমরা যদি কেউ জান্নাতের সাথী দেখতে চাও,, তবে আমার এই যুবক ছাত্রকে দেখো। আল্লাহর ভয় ও তাকওয়ার পরীক্ষায় সে এই বয়েসেই উত্তীর্ণ হতে পেরেছে। যে বয়সে যুবকরা পাপের সাগরে ডুবে থাকে। সে বয়সে পাপ থেকে বেঁচে থাকার জন্য মহান আল্লাহ তা'আলা তাঁর শরীরে জান্নাতের সুগন্ধ ঢেলে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!!!
ওস্তাদ তখন ইমাম গাজ্জালিকে জড়িয়ে ধরে দুই হাত তুলে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করলেন,,, হে আল্লাহ আপনি আমার এ ছাত্রকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আলেম এর অন্তর্ভুক্ত করুন। মহান আল্লাহ তা'আলা সঙ্গে সঙ্গে ওস্তাদের দোয়া কবুল করে নিলেন। পরবর্তীতে ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি পুরো পৃথিবীর ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রইলেন। এবং তিনি ছিলেন জগদ্বিখ্যাত আলেমদের মধ্যে একজন। আল্লাহ তা'আলা যেন আমাদের কেউ চরিত্রের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করেন। আমীন!!! মনে রাখবেন ,,,আমরা শুধু গল্প শোনাচ্ছি না । বরং মানুষকে ইসলামের পথে ডাকছি। তাই আমাদের চ্যানেলের একটি ভিডিও শেয়ার করা মানে ,,,আপনিও মানুষকে ইসলামের পথে ডাকছেন ।
তো প্রিয়দর্শক আশা করি এই নামগুলো সন্তানের নাম রাখার পক্ষে খুবই উপযোগী হবে। তো ভিডিওটি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক করুন আর বন্ধুদের সঙ্গে বেশি বেশি করে শেয়ার করুন। যাতে প্রত্যেকেই এই সুন্দর সুন্দর ইসলামী নাম গুলো তাদের সন্তানের জন্য রাখতে পারে। সকলে ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আসসালামুয়ালাইকুম
0 Comments