আসসালামুয়ালিকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ,,, প্রিয় দর্শক লাইলাতুল বরাত,, বা লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান । হাদীস শরীফে যা বলা হয়েছে আমরা এটাকে শবেবরাত বলে থাকি ।
প্রিয় দর্শক শবেবরাত হচ্ছে ভাগ্য রজনি বা পাপ থেকে মুক্তির রজনী। সুবহানাল্লাহ!!!!
প্রিয় দর্শক আজ দিবাগত রাত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র লাইলাতুল বরাত। এবং সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশে যারা আগের দিন চাদ দেখেন,, তারা আমাদের একদিন আগে শবে বরাত পালন করে থাকেন। আজ আপনাদেরকে এই শবে বরাত সম্পর্কে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিবো। এক নাম্বার হচ্ছেঃ শবে বরাত নামাজ কয় রাকাত ???এবং শবে বরাত নামাজের নিয়ত এবং কোন কোন সূরা দিয়ে শবে বরাত পড়তে হবে???? এবং আপনারা অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন,, শবে বরাতের রোজা কয়টি ????
প্রিয় দর্শক আসুন আমরা প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নেই,,,,, শুরুতে আমি নামাজের নিয়ত নিয়ে আলোচনা করছি। আপনি শবে বরাতের নামাজে যখন দাঁড়াবেন,,,, তখন আপনি বাংলাতে নিয়ত করে নিতে পারেন এভাবে,, আমি শবে বরাতের নফল নামাজ দুই রাকাত করে আদায় করছি, আল্লাহু আকবার। বলে আপনি নামাজ শুরু করতে পারেন ।
এবার আসুন আমরা জেনে নিই শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত ??? প্রিয় দর্শক,,,, শবে বরাতের নামাজ দুই রাকাত করে আপনি যত রাকাত ইচ্ছা পড়তে পারেন। মাগরিবের পর থেকে নিয়ে একদম ফজর পর্যন্ত আপনি যত রাকাত ইচ্ছা পড়তে পারেন। আল্লাহ পাক রব্বুল আলমিন বলেছেন ,,আমি দুনিয়ার আকাশে এসে মানুষকে বলতে থাকি,, কেউ আছো আমার কাছে আজকে ক্ষমা চাইবে??? আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিব। কে আছো রিজিক চাইবে??? কে আছো???? আজকে যা চাইবে আমি তোমাদেরকে তাই দিব। সুবহানাল্লাহ!!! এজন্য আসুন আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য আমরা বেশি বেশি করে নামাজ আদায় করি। কোরআন থেকে তেলাওয়াত করি । জিকির-আজকার করি,, তওবা-ইস্তেগফার একটু বেশি বেশি করে করি। আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন এইগুলোর বদৌলতে হয়তো আমাদেরকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। প্রিয় দর্শক,, আসুন আমরা জেনে নেই, কোন সূরা দিয়ে আমরা শবে বরাতের নামাজ আদায় করব??? শবে বরাতের নামাজ আপনি যে সূরা পারেন সেই সুরা দিয়েই আপনি পড়ে নিবেন ।
সূরা ফাতিহার সাথে আপনার যে সূরা হৃদয়াঙ্গম করা আছে ,,মনে আছে,, বা আপনি জানেন ,,এই সূরা দিয়েই পরবেন। তবে ওলামায়ে মুতাক্বদ্দিমিন,, উনারা বলেছেন যে,, সূরা ফাতিহার পরে আপনি অন্য একটা সূরা পড়ার পরে যদি সূরা এখলাছ মিলিত করেন ,,,তিনবার,, পাচবার,, সাতবার এভাবে যতবার ইচ্ছা মিলিত করতে পারেন, এটা উত্তম । কারণ সূরা এখলাছ কে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন ভালবাসেন। সুবহানাল্লাহ !!!!!
প্রিয় দর্শক,,,, এবার আসুন রোজা নিয়ে বলি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম শাবান মাসে পুরো মাস রোজা রাখতেন। শবে বরাতের একটি রোজার কথা হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে । অর্থাৎ আপনি যে রাতে ইবাদাত বন্দেগি করবেন,,, তার পরের দিন আপনি সারাদিন রোজা রাখবেন। কেউ কেউ বলেন,, তিন দিন রোজা রাখা যাবে কি না??? হ্যাঁ অবশ্যই কোন সমস্যা নেই। আপনি তিন দিনও রোজা রাখতে পারেন।
কারণ রাসুল সাঃ শাবান মাসে অনেক রোজা রাখতেন। আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদেরকে শবে বরাতে বেশি বেশি করে আমল করার তৌফিক দান করুন। আল্লাহ পাক আমাদেরকে ক্ষমা করুন। আমীন !!!আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু
0 Comments